ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

স্বয়ংসম্পূর্ণ বোনম্যারো ট্রান্সপ্লানটেশন সেন্টার চালুর উদ্যোগ

প্রকাশিত: ০৬:০৪, ৩১ জুলাই ২০১৬

স্বয়ংসম্পূর্ণ বোনম্যারো ট্রান্সপ্লানটেশন সেন্টার চালুর উদ্যোগ

স্টাফ রিপোর্টার ॥ একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ বোনম্যারো ট্রান্সপ্ল্যান্টেশন সেন্টার চালু করার উদ্যোগ নিতে যাচ্ছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়। ব্লাড ক্যান্সার ও অন্যান্য জটিল রক্তরোগে আক্রান্ত রোগীদের কম খরচে এ চিকিৎসাসেবা দেয়া হবে। আর রোগীদের প্রয়োজনে সি ব্লকে আরও ১৭ শয্যাবিশিষ্ট আইসিইউ ও এইচডিইউ চালু করা হবে। অত্যাধুনিক মেডিক্যাল রিহ্যাব চিকিৎসাসেবা সম্প্রসারণ ও আধুনিকায়নের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। সম্প্রসারণ করা হবে মৌলিক গবেষণার ক্ষেত্র। আন্তর্জাতিক মানের গবেষণার ক্ষেত্র আরও বৃদ্ধি করতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয় ও প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে পারস্পরিক যোগাযোগ বৃদ্ধি করা হবে। শনিবার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের বার্ষিক প্রতিবেদন ২০১৫-এর প্রকাশ অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডাঃ কামরুল হাসান খান এ তথ্য জানান। অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেনÑ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডাঃ মোঃ শহীদুল্লাহ সিকদার, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ডাঃ মোঃ শারফুদ্দিন আহমেদ, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ডাঃ এএসএম জাকারিয়া (স্বপন), কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডাঃ মোঃ আলী আসগর মোড়ল, রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ডাঃ এবিএম আব্দুল হান্নান, প্রক্টর অধ্যাপক ডাঃ মোঃ হাবিবুর রহমান (দুলাল) প্রমুখ। উপাচার্য অধ্যাপক ডাঃ কামরুল হাসান খান বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশে মেডিক্যাল উচ্চশিক্ষা ও চিকিৎসা ব্যবস্থার পথিকৃৎ। মেডিক্যাল উচ্চশিক্ষা এবং বিশেষায়িত চিকিৎসাসেবা প্রদানের ক্ষেত্রে এটি একটি নির্ভরযোগ্য প্রতিষ্ঠান। ঐতিহ্যগতভাবেই এ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা, চিকিৎসাসেবা এবং গবেষণার প্রতি দেশের মানুষের আকাক্সক্ষার জায়গাটি রয়েছে অনেক অনেক উচ্চে। উপাচার্য আরও বলেন, ২০১৫ সালে আমি এ বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্ব গ্রহণের পরপরই কয়েকটি বিষয়ের ওপর অধিক গুরুত্ব দিয়েছি। এর মধ্যে চিকিৎসাসেবার মানোন্নয়ন, সত্যিকারার্থেই বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি পূর্ণাঙ্গ পরিবেশ সৃষ্টি করা এবং সর্বত্র শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা উল্লেখযোগ্য। এর সঙ্গে অতীতের উন্নয়নের ধারাবাহিকতা রক্ষা করাটাও চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছি। পাশাপাশি এ বিশ্ববিদ্যালয়কে সকল দিক থেকে এগিয়ে নিতে মাস্টারপ্ল্যান তৈরির পরিকল্পনাসহ বিভিন্ন পরিকল্পনা গ্রহণ করেছি। চিকিৎসাসেবার মান ও রোগীর সুস্থতা অনেকখানিই নির্ভর করে নিবিড় নার্সিংয়ের ওপর। আমি দায়িত্ব নেয়ার পর একাধিকবার এ বিশ্ববিদ্যালয়ের নার্সিংসেবার মান বাড়াতে নার্সদের সঙ্গে সভা করি। ওই সব সভায় রোগীদের নিজের হাতে ওষুধ খাওয়ানো, রোগীদের সঙ্গে হাসিমুখে কথা বলাসহ সুন্দর ও ভাল ব্যবহারে উৎসাহিত করি। বর্তমানে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের নার্সিংসেবার মান অনেকখানিই বেড়েছে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ১৮ বছর অতিক্রম করলেও কোন ছাত্র শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) ছিল না। বর্তমানে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি টিএসসি রয়েছে। একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য মেধার চর্চার পাশাপাশি মননের বিষয়টিও গুরুত্বপূর্ণ। এ বিষয়টির গুরুত্ব উপলব্ধি করে প্রথমবারের মতো উদযাপন করি বাঙালীর সার্বজনীন প্রধান উৎসব পহেলা বৈশাখ ও বিভিন্ন সাংস্কৃতিক কর্মকা- জোরদার করি, যাতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় একটি পূর্ণাঙ্গ রূপ পায়। আমাদের বর্তমান প্রশাসন সর্বত্রই শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠার ওপর নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। সময়মতো অফিসে উপস্থিত নিশ্চিত করা, নিয়মিত রাউন্ডের ব্যবস্থা করা, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতরে অবাধে গাড়ির প্রবেশ বন্ধ করা, ইনস্টিটিউট অব কোয়ালিটি এ্যাসুরেন্স গঠন করে ‘দায়িত্ব, কর্তব্য ও নৈতিক’ বিষয়ের ওপর সম্মানিত শিক্ষক, চিকিৎসকসহ বিভিন্ন পর্যায়ে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা গ্রহণ করাসহ প্রশাসনের সর্বত্র শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। উপাচার্য অধ্যাপক ডাঃ কামরুল হাসান খান আরও বলেন, দায়িত্ব গ্রহণের পরপরই এ বিশ্ববিদ্যালয়ের সেবা, শিক্ষা ও গবেষণা কার্যক্রম এগিয়ে নিতে বহুমুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি। বিশ্ববিদ্যালয়ে চিকিৎসা, শিক্ষা, জনস্বাস্থ্য ও রোগ প্রতিরোধ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে গবেষণামূলক কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
×