ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

প্রতারণা করে দ্বিতীয় বিয়ে ॥ গৃহবধূকে হুমকি

প্রকাশিত: ০৪:১৪, ৩১ জুলাই ২০১৬

প্রতারণা করে দ্বিতীয় বিয়ে ॥ গৃহবধূকে হুমকি

নিজস্ব সংবাদদাতা, বরগুনা, ৩০ জুলাই ॥ এক সন্তানের জনক রফিকুল ইসলাম প্রথম স্ত্রীর অনুমতি ছাড়াই প্রতারণা করে দ্বিতীয় বিয়ে করেছেন। প্রতারণার শিকার হয়েছেন বরগুনা সদর উপজেলার কেওড়াবুনিয়া ইউনিয়নের জাহাঙ্গীরের মেয়ে আছমা বেগম। আছমার সঙ্গে বিয়ের পরপরই স্বামী রফিকুল যৌতুকের টাকার জন্য স্ত্রীকে চাপ প্রয়োগ করেন। একে তো প্রতারণার বিয়ে তারপর আবার যৌতুকের টাকার জন্য গৃহবধূ আছমার উপর শুরু হয় নির্যাতন। স্বামী, শ্বশুর, শাশুড়ি ও ভাসুরের অত্যাচার ও শারীরিক নির্যাতন সইতে না পেরে আছমা বাবার বাড়ি চলে আসে। বাবার বাড়িতেও আছমাকে বিভিন্ন ভাবে ভয় দেখানোর পরে উপায় না পেয়ে আছমা বাদী হয়ে প্রথমে যৌতুক ও পরে বরগুনা নারী শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতে মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় আসামিরা হলেন, স্বামী রফিকুল ইসলাম, ভাসুর বাবুল মিয়া, শ্বশুর মকবুল হোসেন ও শাশুড়ি পারুল বেগম। মামলাটি বর্তমানে তদন্তাধীন অবস্থায় রয়েছে। জানা গেছে, স্বামীর বাড়ির লোকজন মীমাংসার কথা বলে ২৪ জুলাই রাতে আছমার বাড়িতে আসে। সেখানে মীমাংসা তো দূরে থাক আছমাকে মেরে ফেলতে চেয়েছিল আসামিরা। এ সময় প্রতিবেশীরা এসে আছমা ও তার পরিবারের লোকজনকে রক্ষা করে। প্রতিবেশীদের দৌড়ঝাপ টের পেয়ে পালিয়ে যায় রফিকুল ও তার সহোযোগীরা। গাইবান্ধায় অপহৃত চিনু মিয়ার সন্ধান চায় পরিবার নিজস্ব সংবাদদাতা, গাইবান্ধা, ৩০ জুলাই ॥ প্রশাসনের লোক পরিচয়ে অপহৃত গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার বিশ্বনাথপুর গ্রামের ডিস ব্যবসায়ী চিনু মিয়ার তিন সপ্তাহেও কোন সন্ধান মিলেনি। এ ব্যাপারে গোবিন্দগঞ্জ থানায় একটি জিডি এবং গোবিন্দগঞ্জের চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মামলা দায়ের করেও কোন প্রতিকার পাওয়া যায়নি। শনিবার গাইবান্ধা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে তার স্ত্রী ময়না বেগম এক লিখিত বিবৃতিতে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে এর প্রতিকার এবং চিনু মিয়াকে ফেরত পাওয়ার আবেদন জানান। লিখিত বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, গত ৬ জুলাই ডিস বিল আদায়ের জন্য চিনু মিয়া বাড়ি হতে বের হয়ে ছাতারপাড়া ইউনিয়ন ভূমি অফিসের সামনে মিজানুরের চায়ের দোকানে বসার সঙ্গে সঙ্গে বুজরুক বোয়ালিয়া ঘোষপাড়া গ্রামের মৃত ফজুলল হকের ছেলে মনোয়ারুল ওরফে মোনারুল ও তার সহযোগী বিশ্বনাথপুরের বিদ্যুৎ প্রধান, বিপুল প্রধান, শাহিন প্রধান, আব্দুল ওয়াহেদ প্রধান, আব্দুল আজিজ প্রধান, জহুরুল ইসলাম, শাকপালা গ্রামের তাপস মোহন্তসহ অজ্ঞাত আরও ৪ জন পিস্তুল বের করে চিনু মিয়াকে পেছন থেকে হ্যান্ডকাপ দিয়ে বেঁধে ফেলে। ওই সময় চায়ের স্টলে উপস্থিত লোকজন চিনু মিয়াকে আটকের কারণ জানতে চাইলে তারা প্রশাসনের লোক পরিচয় দিয়ে তাকে টেনে হিঁচড়ে সিএনজিতে উঠিয়ে নিয়ে যায়। এরপর থেকে আজ পর্যন্ত তার কোন সন্ধান মিলছে না।
×