ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

ডেমোক্র্যাটিক কনভেনশনে ঘুরে ফিরে আসে বাংলাদেশ প্রসঙ্গ

প্রকাশিত: ০৩:৫৫, ৩১ জুলাই ২০১৬

ডেমোক্র্যাটিক কনভেনশনে ঘুরে ফিরে আসে বাংলাদেশ প্রসঙ্গ

এনআরবি নিউজ, নিউইয়র্ক থেকে ॥ যুক্তরাষ্ট্রে ফিলাডেলফিয়ায় অনুষ্ঠিত ডেমোক্র্যাটিক পার্টির চারদিনের ন্যাশনাল কনভেনশনে ট্রাম্পকে তুলোধুনা করার পাশাপাশি এসেছে বাংলাদেশ প্রসঙ্গও। অভিবাসন ইস্যুতে হিলারির বক্তব্যে বাংলাদেশী কমিউনিটি স্বস্তি প্রকাশ করেছে। সম্মেলনে কংগ্রেস সদস্য টিম রায়ান (ওহাইও), সিনেটর কোরি বুকার (নিউজার্সি) ও স্বাগতিক মেয়র জিম কেনি অভিন্ন ভাষায় বলেন, শ্রমিক-কর্মচারীদের ঠকাতে গত কয়েক বছরে ৬ বার নিজ প্রতিষ্ঠানকে দেউলিয়া ঘোষণা করেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি এখন সদম্ভে বিদেশে আউটসোর্সিংয়ের বিরুদ্ধে কথা বলছেন। অথচ এই ট্রাম্পই তার সকল প্রতিষ্ঠানের পণ্যসামগ্রী আমদানি করছেন বাইরে থেকে। তারা বলেন, ওইসব দেশের শ্রমিকদের ন্যায্য পারিশ্রমিক তিনি কখনও দেন না। ট্রাম্প যে বক্তিস্বার্থে আমেরিকার স্বার্থ জলাঞ্জলি দিচ্ছেন হিলারি ক্লিনটনের কথায়ও সেটি উঠে এসেছে। তিনি বলেন, ‘ট্রাম্পের পণ্য আসছে চীন থেকে, অথচ কলরাডোতে তার কোন কারখানা নেই। তার পোশাক এবং অন্যান্য সামগ্রী আসছে মেক্সিকো থেকে, কিন্তু মিশিগান থেকে তিনি কিছু কেনেন না। ট্রাম্পের সমস্ত ফার্নিচার আসে তুরস্ক থেকে ও ছবির ফ্রেম আসছে ভারত থেকে, উইসকনসিনে তৈরি ফ্রেম তিনি ব্যবহার করেন না। এভাবেই যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় স্বার্থকে তিনি বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন করে অর্থের পাহাড় গড়ছেন বলেও অভিযোগ করেন হিলারি। বাংলাদেশের নাম অবশ্য হিলারি উচ্চারণ করেননি। তবে অন্য ডেলিগেটরা অবশ্য বাংলাদেশের কথা উল্লেখ করে শ্রমিক-কর্মচারীদের ন্যায্য পারিশ্রমিক থেকে বঞ্চিত করার প্রসঙ্গটিকে সামনে এনেছেন। বাংলাদেশের তৈরি পোশাক এখনও যে মার্কিনীদের কাছে লোভনীয় ডেমোক্র্যাটিক কনভেনশন থেকে সেটাও জানা গেল। অভিবাসন ইস্যুতে হিলারির বক্তব্যে বাংলাদেশী কমিউনিটিতে স্বস্তি এসেছে। একইভাবে, ৪ বছরের কলেজ ডিগ্রী লাভের জন্যে যারা ঋণ নিয়েছেন, বকেয়া সেই ১ দশমিক ৩ ট্রিলিয়ন ডলার মওকুফের পাশাপাশি এখন থেকে মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তানদের কলেজ শিক্ষা ফ্রি করার সংকল্প ব্যক্ত করেছেন। ডেমোক্র্যাটিক ভাইস চেয়ার হলেন গ্রেস মেং ডেমোক্র্যাটিক পার্টির জাতীয় কমিটির ভাইস চেয়ারওম্যান হলেন নিউইয়র্কের কংগ্রেস সদস্য গ্রেস মেং। শুক্রবার জাতীয় কমিটির সভায় সর্বসম্মতভাবে বাংলাদেশী-আমেরিকানদের প্রিয় এ মেংকে এ পদে অধিষ্ঠিত করা হয়। মার্কিন কংগ্রেসে বাংলাদেশ ককাসের প্রভাবশালী সদস্য গ্রেস মেং কংগ্রেসে পররাষ্ট্র বিষয়ক কমিটির এশিয়া সম্পর্কিত সাব কমিটিরও চেয়ারপার্সন। গ্রেস মেং এর এ নয়া দায়িত্বে অভিনন্দন জানিয়েছেন ডেমক্র্যাটিক পার্টির অন্যতম সংগঠক খোরশেদ খন্দকার ও ওসমান চৌধুরী। তারা বলেছেন, ‘বাংলাদেশীদের প্রিয় এ কংগ্রেসওম্যানের মাধ্যম মূলধারায় বাংলাদেশীদের আরও জোরালোভাবে সম্পৃক্ত হবার পথ সুগম হলো।
×