ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

গুরুত্ব পাবে আসাদকে ক্ষমতাচ্যুত করার চেষ্টা

সিরিয়া নীতি ঢেলে সাজাবেন হিলারি

প্রকাশিত: ০৩:৫৪, ৩১ জুলাই ২০১৬

সিরিয়া নীতি ঢেলে সাজাবেন হিলারি

হিলারি ক্লিনটন তার প্রেসিডেন্ট পদের অন্যতম প্রথম কাজ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের সিরিয়া কৌশলের পূর্ণ পর্যালোচনার নির্দেশ দেবেন এবং আসাদ ও শাসকগোষ্ঠীর নৃশংস প্রকৃতি তুলে ধরতে সিরিয়া নীতিকে ঢেলে সাজাবেন। তার প্রচার শিবিরের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা জেরেমি ব্যাশ একথা বলেন। খবর টেলিগ্রাফের। ব্যাশ বলেন, হিলারি ইসলামিক স্টেটের বিরুদ্ধে লড়াই এবং সিরীয় প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদকে ক্ষমতাচ্যুত করার তৎপরতা উভয়ই জোরদার করবেন। তিনি পেন্টাগন ও সিআইএর চীফ অব স্টাফ ছিলেন। টেলিগ্রাফের সঙ্গে একান্ত সাক্ষাতকারে ব্যাশ বলেন, আসাদ শাসকগোষ্ঠী ঠিক কি তা স্পষ্ট করে তুলতে হিলারি প্রশাসন সংকোচ করবে না। এটি হলো এক ‘খুনী’ শাসকগোষ্ঠী, যা মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে, যা আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করেছে, যা তার নিজের জনগণের ওপর রাসায়নিক অস্ত্র প্রয়োগ করেছে, যা হাজার হাজার শিশুসহ লাখ লাখ মানুষকে হত্যা করেছে। প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা সিরীয় যুদ্ধের বিষয়ে স্ববিরোধিতাপূর্ণ এমন এক দৃষ্টিভঙ্গি অনুসরণের দায়ে শীর্ষস্থানীয় বিশেষজ্ঞ ও তার নিজস্ব প্রশাসনের সদস্যদের কাছে ব্যাপকভাবে সমালোচিত হয়েছেন। এ যুদ্ধে চার লাখেরও বেশি লোক নিহত হয় বলে ধারণা করা হয়। আসাদকে অপসারণ করতে নীতিগতভাবে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকলেও হোয়াইট হাউস একই সময়ে দামেস্কের সবচেয়ে বড় সমর্থক রাশিয়ার সঙ্গে জোট বেধে কাজ করছে। চলতি মাসের প্রথম দিকে মস্কোর সঙ্গে এক নতুন চুক্তির আওতায় মার্কিন বাহিনীকে জাবহাত আল-নুসরার ওপর এক বোমাবর্ষণ অভিযানে রাশিয়ার সঙ্গে যোগ দেয়ার কথা। আল-নুসরা এমন এক ইসলামপন্থী দল যাতে আল কায়েদা সম্পৃক্ত চক্রগুলো অন্তর্ভুক্ত রয়েছে, কিন্তু সিরীয় সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই করাই যার লক্ষ্য। যখন আমেরিকা আইএসকে ধ্বংস করা এবং মস্কোর সঙ্গে জোট বাধার দিকে দৃষ্টি দেয়, তখন হোয়াইট হাউস আসাদ সরকারের বিরুদ্ধে এর বাকরুদ্ধ নীরবে বাদ দিয়ে দেয়। এ দৃষ্টিভঙ্গি সিরীয়দের মনে আমেরিকাবিরোধী মনোভাবই কেবল জাগিয়ে তুলবে বলে সমালোচকরা সতর্ক করে দেন। কারণ দামেস্কের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত ব্যবস্থা নিতে যুক্তরাষ্ট্র ব্যর্থ হলে তারা আমেরিকা তাদের পরিত্যাগ করেছে বলে বোধ করবে। হোয়াইট হাউসের কর্মকর্তাদের কাছে প্রবেশাধিকার রয়েছেন এমন এক সূত্রে বলা হয়, রাশিয়ার সঙ্গে অংশীদারির ফলে বাস্তব অবস্থার অবনতি হওয়ার যে বিপদ রয়েছে তা প্রশাসন দেখতে পায়, কিন্তু প্রেসিডেন্ট নবেম্বরে পদত্যাগ না করা পর্যন্ত সব সম্ভাবনার কথাই বিবেচনায় রাখার চেষ্টা করছেন। ঐ সূত্রে বলা হয়, আমেরিকার জাতীয় নিরাপত্তার প্রতি ঝুঁকিপূর্ণ সময়ে আল-কায়েদার এক শাখার বিরুদ্ধে হোয়াইট হাউসে কিছুই করেনি এমনটি মনে হোক তা প্রশাসন চায় না। যদি যুক্তরাষ্ট্রে এমন কোন হামলা ঘটে, যার কৃতিত্ব দাবি করে আল-কায়েদা, তবে প্রেসিডেন্টের সুনাম বিনষ্ট হবে।
×