ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীর

মেলের ক্যাফে ॥ ওয়েল্যান্ড

প্রকাশিত: ০৩:৫৬, ৩০ জুলাই ২০১৬

মেলের ক্যাফে ॥ ওয়েল্যান্ড

ওয়েল্যান্ড বস্টনের শহরতলী। মূল শহর থেকে ৩০ মাইল দক্ষিণে। আমি বছরে দু’বার এখানে আসি-আমার নাতি অনিম ও নাতনি অড়ির সঙ্গে দু’সপ্তাহ থাকি। সকালে ওদের শিশুযতœ কেন্দ্রে নামিয়ে দিয়ে ফেরার পথে বাসার অদূরে কমনওয়েলথ সড়কের পশ্চিম পাড়ে মেলের ক্যাফেতে বউমা আমাকে নামিয়ে দিয়ে যান। ক্যাফেতে ঢুকতেই মাঝ বয়সী মালিক- ব্যবস্থাপক আমাকে জানালার পাশে টেবিলে জায়গা করে দেন। পরিচারিকা প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই কফি নিয়ে আসেন। ধূমায়িত কফিতে চুমুক দিতে দিতে আমি তিন পাশে সকালে নাশতা নিয়ে বসে থাকা লোকজনকে আর জানালা ছাড়িয়ে পুবের আকাশে সূর্যের ছটায় উদ্ভাসিত পৃথিবীকে দেখতে থাকি। সময় থাকলে দুপুরেও বসি। ওয়েল্যান্ডে প্রথম বসতি গাড়া হয়েছিল প্রায় ১৪৬ বছর আগে। অপরাজেয় মানুষরা আটলান্টিকের ওপার- ইউরোপ থেকে দারিদ্র্য ও বঞ্চনাকে পেছনে ফেলে নতুন জীবনের খোঁজে ঠাঁই নিয়েছিলেন এখানে। শহরটির প্রায় মাঝখানে সেসব পূর্বপুরুষদের অন্তিম শয়নস্থান পাথর চিহ্নিত করে শহরবাসীরা সযতেœ রক্ষা করে আসছেন। সাম্প্রতিককালের মৃতরা এখানে স্থান পান না। কাউন্টির বিধি দিয়ে প্রসারিত সবুজ কোমল ঘাসে মোড়া কবরস্থানে শ্বেত পাথরে বা কংক্রিটে নামাঙ্কিত নির্দিষ্ট ঠিকানায় তাদের কালান্তরিক পরিচিতি লেখা হয়। ওয়েল্যান্ড সমৃদ্ধশালী কাউন্টি। এর অনেকটা জায়গাজুড়ে মাঝবয়েসী সফল যুগলদের ছড়ানো ছিটানো সবুজ ঘাসে মোড়া আঙ্গিনার বেড় দেয়া দৃষ্টির মাধুরিমা নিয়ে দাঁড়ানো একতলা বা দোতলা কাঠ-কংক্রিটের বাড়িঘর। শান্ত সুনিবিড়- সুস্থ সুপ্রসন্ন জীবনের প্রতিচ্ছবি। অদূরে অঙ্গরাজ্য ম্যাসাচুসেটস কর্তৃক সংরক্ষিত কচিচুয়েট হ্রদ ও বন, পাশেই ব্রানডাইস বিশ্ববিদ্যালয়, রেজিস কলেজ আর জগতজোড়া নাম কুড়ানো মেয়েদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান- ওয়েলেসলি কলেজ। অদূরে ক্যামব্রিজের হার্ভার্ড ও এমআইটির সঙ্গে জ্ঞান প্রযুক্তির নিরবধি অন্বেষণের সেই স্পন্দিত আবহের সঙ্গে লাগোয়া তারুণ্যের প্রতিবিম্ব। মেল দু’পুরুষ আগে যিনি এই পরিবারভিত্তিক ক্যাফের গোড়াপত্তন করেছিলেন তার নাম। প্রধানত এখনকার মাঝ ও শেষ বয়সী লোকজনের মিলনমেলা। সকাল ৭টা থেকে দুপুর দুটো পর্যন্ত খোলা। রাতের খাবার নেই এখানে। কেবল সকালের নাশতা ও দুপুরের খাবারের লভ্যতা আর সুস্বাদুত্ব টেনে আনে গ্রাহকদের। এদের কথাবার্তা ও আচরণে বোঝা যায় এদের কারও কারও মূল বাস ছিল স্ক্যান্ডিনিভিয়ান দেশে, কেউবা এসেছেন ব্রিটেন, ডেনমার্ক ফ্রান্স, স্পেন থেকে, কারও কারও মনে এখনও আয়ারল্যান্ডের স্মৃতি মায়া জড়ানো রং ছড়ায়, আবার কিছু সংখ্যক এসেছেন চীন, পূর্ব এশিয়া আর ভারত থেকে। এদের সাথে মিশে আছেন এক দু’ঘর বাঙালী। দৃশ্যত প্রথম বা দ্বিতীয় প্রজন্মের অভিবাসী। আর দেখি বলিষ্ঠ কৃষ্ণাঙ্গদের- যাদের পূর্ব পূরুষদের দাস হিসেবে আফ্রিকার গহীন থেকে বেঁধে নিয়ে আসা হয়েছিল এই নতুন মহাদেশে। সকল দেশ, জাতি, বর্ণের নির্ভেজাল সমতা ও সফলতার ধারক ও বাহক হিসেবে হিংসা-দ্বেষ ও ভিন্নতা ছাড়িয়ে এরা এখানে বসে থাকেন কফি আর বৃহদাকার সকালের আমেরিকান নাশতা নিয়ে। কথা বলছেন, হাসছেন, ভোগ করছেন, এক মিশ্র অসাম্প্রদায়িক বর্ণবাদ বিবর্জিত মানবিক সমাজের সামনের দিকে এগুনো ও তাকানো মহিলা পুরুষ, তরুণ-তরুণীরা। আমি দেখি, শুনি আর ভাবি এই সমাজের প্রগতি, বলিষ্ঠতা ও নাগরিক শান্তির উৎসের কথা। আমার বিবেচনায় মেলের ক্যাফেতে প্রতিফলিত মার্কিন সমাজের প্রগতি, বলিষ্ঠতা ও শান্তির প্রধান উৎস সামাজিক সমতা। এই ক্যাফের আবহে আমি প্রত্যক্ষ করেছি সৃজনশীলতা ও পরিশ্রমে বিশ্বাসী এখানকার সকল সাধারণ মানুষ ধর্ম, বর্ণ, কর্ম ও লিঙ্গ নির্বিশেষে সম অধিকারে বিঘোষিত এবং সম্পূর্ণায়িত। এখানে কৃষ্ণাঙ্গকে কেউ অবজ্ঞা করছেন না। হলুদ চামড়ায় মেড়ো চীনা এবং পূর্ব এশীয়দের কেউ ঘৃণা করছেন না, পূর্ব ইউরোপ থেকে আগত অভিবাসীদের পশ্চিম ইউরোপ থেকে কয়েক যুগ আগের অভিবাসীরা দূরে সরিয়ে দিচ্ছেন না। পূরনো জীবনের প্রতিচ্ছবি নিয়ে সুখী ও ভাবনাবিহীন জীবনের অনুসারী আমিশরাও এখানে আসেন মাঝে মাঝে। আমাদের মতো বাদামী রঙের মানুষের প্রতিকূলে কোন অসম্মানজনক কথা ও আচরণে এই সার্বিক সমতার দর্শন লঙ্ঘিত হচ্ছে না। আমি দেখেছি সকাল ১১টার পর ক্যাফের মালিক ও তার স্ত্রী ক্যাফেতে কর্মরত শেফ বা পাচক এবং বয়স্ক পরিচারিকাদের নিয়ে একই টেবিলে কফি সহযোগে নাস্তা করছেন, একে অন্যকে প্রথম নামে ডাকছেন, হাসি ঠাট্টা করছেন। আমি এও লক্ষ্য করেছি যে, তারুণ্যের প্রভায় অতিমাত্রায় সচল তরুণ-তরুণীরা নিজেদের ইচ্ছে অনুযায়ী ছোটখাটো বিষয় নিয়ে কল-কাকলীতে মেতে আছেন। তাদের মাঝ থেকে পার্শ্ববর্তী মোটরযান মেরামতকারী এবং গাড়িতে তেল সরবরাহকারী, কলেজ-যাওয়া তরুণ-তরুণীদের সাথে মিলে মিশে এক নতুন এবং সোচ্চারিত অধিকারসম্পন্ন সমাজ গড়ে তোলার লক্ষ্যে অবচেতনভাবে নিজেদের পরিচয়কে ফুটিয়ে তুলছেন। আমি এখনকার মাঝবয়সী মহিলা ও পুরুষ গ্রাহকদের সাথে কথা বলার মাঝে উপলব্ধি করি যে, এদেশে স্থান ও সময় বিশেষে কৃষ্ণাঙ্গদের উপর পুলিশের সাম্প্রতিক বৈষম্যমূলক আচরণ এবং পুলিশদের উপর কৃষ্ণাঙ্গদের আক্রমন-আঘাত সম্পর্কে তারা যুক্তরাষ্ট্রের উত্তরাঞ্চলের মানুষের বহু যুগ ধরে লালিত দর্শন অনুযায়ী প্রতিবাদমুখর হয়ে তাদের অবস্থান ব্যক্ত করছেন। কৃষ্ণাঙ্গ প্রেসিডেন্ট ওবামার জ্ঞান ও উপলব্ধির অনুকূলেও মত তুলে ধরছেন। এই ক্যাফেতে আগত ধর্ম, বর্ণ ও লিঙ্গ নির্বিশেষে সমতার আবহে আমি লক্ষ্য করি সকল মানুষের মধ্যে অব্যাহত উদ্যমের শক্তি। এরা গণতন্ত্রকে ভিত্তি করে স্বাস্থ্য সেবা ও শিক্ষার ব্যপ্তি প্রায় শতভাগে উন্নীত করে এবং ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে উদ্যমের অনুকূলে সংবেদনশীল ও সহযোগিতামূলক কৃত্যকের বলে অদৃষ্টবাদকে দূরে সরিয়ে স্ব-স্ব সৃজনশীলতা ও পরিশ্রমে বিশ্বাস নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছেন। এদের কথোপকথনে ও আমার সাথে মাঝে মাঝে আলাপচারিতায় তারা তাদের উদ্যম ও সৃজনশীলতার প্রতিকূলে কোন পিছুটান কিংবা সামাজিক বা অর্থনৈতিক বেড়িতে আবদ্ধতা নেই বলে প্রতীতি জন্মিয়েছেন। উপলব্ধি হয়েছে সমাজের প্রবৃদ্ধি বা উৎপাদনশীলতা বিস্তৃতকরণ ও বাড়ানোর জন্যে সামাজিক এই সমতা এক বিঘœবিহীন মহাসড়ক। মনে হয়েছে যে এ ক্ষেত্রে এদের অভিজ্ঞানের আলোকে আমরাও আমাদের সমাজে উৎপাদনশীল উদ্যম বাড়ানোর লক্ষ্যে যথাযথ পদক্ষেপ নিতে পারি। এ পদক্ষেপ নেয়ার পরিধি আমাদের বহুদূরের এই উন্নয়নশীল সমাজে বেশ বিস্তৃত বলেই মনে হয়। মেলের ক্যাফেতে সকাল ১১টার দিকে দেখেছি ষাটোর্ধ নর-নারীর ভীড়। এরা মূলত অবসর গ্রহণকারী কিন্তু এই জীবনে সম্ভাব্য বা আশঙ্কিত কোন অভাবের চিন্তায় উদ্বিগ্ন নন। এর প্রধান কারণ তাদের কর্মকালীন জীবনে তারা পেনশন ফান্ড এবং শেয়ার বাজারের বিভিন্ন আর্থিক হাতিয়ারে নিয়মিত সঞ্চয় করেছেন এবং সবচাইতে বড় কথা ফেডারেল সরকার কর্তৃক পরিচালিত সামাজিক নিরাপত্তা ব্যবস্থায় অবসর জীবনের যুক্তিসঙ্গত প্রয়োজন মেটানোর জন্য মাসিক আনুতোষিক পাচ্ছেন। ফেডারেল সরকার কর্তৃক পরিচালিত মেডিএইড ও মেডিকেয়ার কর্মসূচীর আওতায় তারা অধিকার হিসেবে সকল প্রয়োজনীয় চিকিৎসার অনুকূলে ব্যয় নির্বাহ করতে সক্ষম। আমি ভাবি একটি সুখী ও দুশ্চিন্তাবিহীন ষাটোর্ধ সমাজ প্রতিরক্ষণের জন্য যে পদক্ষেপগুলো যুক্তরাষ্ট্রে নেয়া হয়েছে তা আমাদেরও অনুসরণ করা প্রয়োজন। বাংলাদেশে সাম্প্রতিককালে মানুষের গড় জীবনে প্রত্যাশা প্রায় ৭১ বছরে উন্নীত হয়েছে। ধারণা হয়, জনমিতীয় এই পরিবর্তনের আলোকে এবং সর্বোপরি একটি কুশলধর্মী সমাজ গড়ার লক্ষ্যে যে সব পদক্ষেপ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের রাজ্য ও ফেডারেল সরকার জনগণের মৌলিক চাহিদার নিরাপত্তা এবং সেবা নিশ্চিত করেছেন তা বিশ্লেষণ করে আমাদের ক্রমান্বয়ে ঐ ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করে সমাজ থেকে অভাব, রোগ বালাই ও দুশ্চিন্তা দূর করার এবং ব্যাপ্ত সামাজিক নিরাপত্তা বিধান করার পথে এগিয়ে যেতে হবে। মেলের ক্যাফের বাইরে সড়কের পাড়ে পাশের ক্যামব্রিজ কিংবা দূরের প্যারিস বা ভিয়েনার মতো আকাশ দেখা উন্মুক্ত ক্যাফে নেই। ক্যামব্রিজে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন সড়ক পাড়ে ও সেখান থেকে বস্টন বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত নেমে আসা এই সব ছড়ানো ছিটানো উন্মুক্ত ক্যাফেতে অবকাশের মুহূর্তগুলো বই বা সাময়িকী পড়ার কিংবা আঁতেল ধর্মী আলোচনা বাঙময় করার পরিবেশ রয়েছে। সময় ও সুযোগ পেলে সেখানেও আমি প্রহরের পর প্রহর বসে কফির পেয়ালায় চুমুক দিতে থাকি। যে সন্তোষ ও সৃজনমুখী আবহ এসব উন্মুক্ত ক্যাফেতে বিদ্যমান তার অনুপ্রবেশ ঘটে মেলের বদ্ধ ভবনের ক্যাফেতেও। দুপুর ১২ টার পরে দেখেছি এখানে আসেন দু’চোখ ভরা স্বপ্ন নিয়ে তরুণ-তরুণীরা এবং অভিজ্ঞানের পরিধি বাড়ানোর নিরবধি প্রচেষ্টায় প্রযোজিত শিক্ষক, লেখক ও লেখিকারা। পরম যতেœ পরিচারিকারা এদের প্রয়োজন হাসিমুখে মিটিয়ে যান। আর এদেরকেও দেখেছি পরম শ্রদ্ধা ও মমতাভরে মাঝে মাঝে এদের সাথে আলাপচারিতায় রত হন। যথাযথ শিক্ষা ও মানবতা বোধের নিরহংকার মননশীলতা নিয়ে এদের এ আচরণ, আলাপচারিতা কিংবা চর্চা একটি চলিষ্ণু সমাজের প্রতিনিয়ত সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়া এবং গভীরভাবে অন্তর্দৃষ্টি বিকশিত করাকে প্রতিফলিত করে বলে আমার কাছে প্রতীয়মান হয়। প্রগতিশীলতার চর্চার সাথে অভাববিহীন জীবনের নিশ্চয়তা এভাবেই ব্যক্তি ও সমাজ জীবনের উৎকর্ষ বিকশিত করার সুযোগ দেয়। ঠিক এমনি মননশীলতার অভিব্যক্তি আমি দেখেছি প্যারিসের সীন নদীর ধারে তথাকথিত ল্যাটিন কোয়ার্টার সংলগ্ন সড়ক পাড়ে ছড়ানো ছিটানো ক্যাফেতে। তেমনি দেখেছি সন্ধ্যার আলো আঁধারিতে ভিয়েনার পাশে হৃদয়ের তন্ত্রিতে জীবনের অস্তিত্ব অনুশীলন করার মদিরা গ্রামগুলোতে। সম্ভবত তারই জীবনধর্মী প্রশান্তিতে ভরা অনুভূতিগুলো হৃদয়ঙ্গম হওয়ার আবহ ওয়েল্যান্ডের মেলের ক্যাফে কিংবা ক্যামব্রিজে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় বা বস্টন বিশ্ববিদ্যালয় সংলঘœ রাস্তার পাড়ে উন্মুক্ত ক্যাফে-রেস্তরাঁতে আমি দেখতে পেয়েছি। এই ক্যাফেতে আশপাশের কর্মবৃত্ত বা বাণিজ্যের নিলয় হতে তরুণ কর্মীদের আসতে দেখেছি। তারা বসে একে অন্যের সাথে কাজের কথা বলছেন, আশপাশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বেজ বল কিংবা সকার প্রতিযোগিতার ফলাফল নিয়ে আলোচনা করছেন এবং স্মিত হাসিমুখে, সম্ভবত অধিকতর কর্ম উদ্যোগ নিয়ে আবার বেরিয়ে গেছেন নিজেদের কর্মবৃত্তে। তাদের কথা ও আচরণে কাজের প্রতি সৎ আনুগত্য প্রতিফলিত হয়েছে বলে আমার মনে হয়েছে। মনে পড়ছে একবার ওয়েল্যান্ড থেকে ফ্রেমিংহাম যাওয়ার পথে মহাসড়কে হঠাৎ আমার চালানো গাড়িটি অচল হয়ে যায়। আমি আমেরিকান অটো মোবাইল এসোসিয়েশন বা তথাকথিত ট্রিপল-এ তে মোবাইল করে এ অচল অবস্থার কথা জানাই। সেখান থেকে একজন কর্মী বললেন, তিনি অনধিক ২০ মিনিটের মধ্যে ট্রেলারসহ এসে আমার গাড়িকে মেলের ক্যাফের লাগোয়া উত্তর দিকে ওয়েল্যান্ড অটোমোবাইল কর্মশালায় নিয়ে যাবেন। তিনি আরও বললেন, আমার কাজ থাকলে গাড়ির চাবিটা চালকের আসনের উপর রেখে আমি চলে গেলেও তারা এ কাজটি করতে পারবেন। আমি অপেক্ষা করলাম এবং প্রায় ১৫ মিনিটের মাথায় ট্রেলার নিয়ে হাফ প্যান্ট পরা টপস গায়ে এক মনকাড়া চেহারার তরুণী কর্মী আমার অচল গাড়ির পাশে এসে দাঁড়ালেন। চলবে... লেখক : সংসদ সদস্য, সাবেক মন্ত্রী
×