ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

কেন এমন হলো

প্রকাশিত: ০৩:৫৬, ৩০ জুলাই ২০১৬

কেন এমন হলো

ইজিয়েন সাগর পাড়ে দেবশিশুর মতো পড়ে থাকা আয়নালের নিথর ছবিটি মন থেকে মুছে না যেতেই ভূমধ্যসাগর পাড়ের নিস শহরে ট্রাক চাপায় নিহত শিশুটির পাশে পড়ে থাকা পুতুলটির জন্য কার না হৃদয় কাঁদে? তবে হ্যাঁ, হৃদয় কাঁদে না এমন হাইওয়ান আমাদের এই পোড়া বাংলাদেশে খুঁজে পাওয়া যাবে। এই হাইওয়ানগুলোর নাম বহির্বিশ্বে আইএস, আল কায়েদা, তালেবান, ইখওয়ানুল ইসলাম বা মুসলিম ব্রাদারহুড নয়, বোকো হারাম, বাংলাদেশে জামায়াত-শিবির, মুসলিম লীগ- নেজামে ইসলামীর জীবাশ্ম এবং জামায়াত-শিবিরের ক্লিনজিং পার্টি হিযবুল মুজাহিদীন, হিযবুত তাহরীর, আনসারুল্লাহ বাংলা টিম কিংবা হামযা ব্রিগেড...ডট ডট। ২০১৩ সালে এরা দেশব্যাপী মানুষ হত্যা, হাত-পা কেটে দেয়া, জনপথ কেটে গাছ কেটে ব্যারিকেড সৃষ্টি, পুকুরের মাছ, গোয়ালের গরু লুট, এমনকি যাত্রীবাহী বাস, গরুর ট্রাক পুড়িয়ে তাদের নিষ্ঠুরতার প্রমাণ দিয়েছিল। ২০১৫-এর প্রথম ৯২ দিন পেট্রোলবোমার হিংস্রতায় মানুষ গরু ছাগলের বীভৎস পোড়া শরীর কি তাদের এতটুকু বিচলিত করেছে? খালেদা জিয়া যে তাদের গডমাদার এটি যারা আজও মনে করে না তারাই জঙ্গীদের দলে! ক’দিন পর শোকের মাস আগস্ট জাতির সামনে উপস্থিত। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট কালরাতে পরাজিত পাকিস্তানের অনুচর প্রতিবিপ্লবী শক্তি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নির্মমভাবে সপরিবারে হত্যা করে। স্বাধীনতা সংগ্রামের সূতিকাগার বঙ্গবন্ধুর ৩২ নম্বরের বাসভবনে সে রাতে আরও হত্যা করা হলো বেগম ফজিলাতুন্নিসা মুজিব, তাদের ছেলে মুক্তিযোদ্ধা শেখ কামাল, শেখ জামাল, তাদের নবপরিণীতা স্ত্রী, শিশু রাসেলসহ অনেককে। যে মহামানব বাঙালীর আপন জাতি-রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করে দিলেন সেই তাঁকেই হত্যা করল বাঙালী নামের কতিপয় হায়েনা। এমন নির্মমতা, এমন নিষ্ঠুরতার নজির বিশ্বে বেশি নেই। হত্যাকারীদের উদ্দেশ্য ছিল বাংলাদেশকে আবার পাকিস্তান বানানো, নিদেনপক্ষে পাকিস্তানী প্রতিক্রিয়াশীল ভাবধারায় গড়ে তোলা। পাকিস্তান আমলে মিলিটারি জান্তার চেহারার নাম ছিল আইয়ুব, ইয়াহিয়া আর বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধু হত্যার পর এই চেহারা রং পাল্টে হয়েছে মিলিটারি জিয়া, এরশাদ এবং হাফ মিলিটারি খালেদা। বেশিদিন তারা আসন গেড়ে থাকতে পারেনি। রাষ্ট্রভাষা আন্দোলন এবং মহান মুক্তিযুদ্ধের বাঙালী আবার রাজপথের মিছিলে মিছিলে ‘জয়বাংলা’ ‘জয় বঙ্গবন্ধু’ ধ্বনি তুলে জানিয়ে দিল ‘আমাদের দাবায়ে রাখতে পারবা না’। খুনীদের বস মিলিটারি জিয়া-মুশতাক তাদের দায়মুক্তি দিয়ে ভেবেছিল চ্যালেঞ্জ করার কেউ থাকবে না। বাংলার অর্থনীতি, রাজনীতি, সংস্কৃতি মুখ থুবড়ে পড়বে, আর গা-ঝাড়া দিয়ে উঠতে পারবে না। পাপীদের মতোই গোটা বাংলাদেশ বিবর্ণ প্রতিক্রিয়াক্রান্ত। কিছুদিনের জন্য জাতির অগ্রযাত্রা তারা থামিয়ে দিতে পেরেছিল সত্য; কিন্তু বেশিদিন নয়। অল্পদিনেই বঙ্গবন্ধুর রক্ত কথা বলতে শুরু করল। আওয়ামী লীগ আবার ঘুরে দাঁড়াল। বিশ্ব প্রেক্ষাপট বিশ্ব পরিস্থিতি আজ জঙ্গী হামলার শিকার। প্রেক্ষাপট নির্মম। একদিকে বিশ্বব্যাপী আমেরিকা ও তার মিত্রদের আগ্রাসন। দীর্ঘদিন তারা দেশে দেশে জাতীয়তাবাদী নেতাদের হত্যা এবং মিলিটারি শাসন ও ধর্মান্ধতাকে উসকিয়ে সাম্রাজ্যবাদী টার্গেট চরিতার্থ করার চেষ্টা করেছে। অপরদিকে মিসরে ইখওয়ানুল ইসলাম, তুরস্কের মুসলিম ব্রাদারহুড, আফগানিস্তানের আল কায়েদা, পাকিস্তান-আফগানিস্তানের তালেবান এবং অধুনা আফগানিস্তান থেকে ইরাক, তুরস্ক, সিরিয়া নিয়ে কল্পিত ইসলামী খিলাফতীদের জঙ্গী তৎপরতা গোটা বিশ্বকে অস্থির করে তুলেছে। প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করার জন্য মনোস্টার বানিয়ে এখন সেই মনোস্টারই মনিবকে গিলে খেতে উদ্যত হয়েছে। বেশিদিন আগের কথা নয়। কয়েকদিন আগে খোদ আমেরিকার ফ্লোরিডা বা ওরল্যান্ডোর এক নৈশক্লাবে হামলা করে রক্তাক্ত করা হলো। ২০০১ সালে ৯ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কের টুইন টাওয়ারের গায়ে পূর্ণগতির বিমান ঠুকে ৩ হাজারেও বেশি মানুষ মারা হলো। ফ্রান্সে সাম্প্রতিককালে অনেক হামলার ঘটনা ঘটল। সর্বশেষ নিস শহরে বাস্তিল দুর্গের পতন বা স্বাধীনতা দিবসের আনন্দানুষ্ঠান চলাকালে এক ব্যক্তি ট্রাক চাপা দিয়ে ৮৪ জনকে হত্যা করে। এসবই হচ্ছে শান্তির ধর্ম ইসলামের মনগড়া ব্যাখ্যা দিয়ে। যারা অংশ নিচ্ছে তারা মুসলমান ঘরের সন্তান। গত কয়েকদিনে তুরস্কের কামাল আতাতুর্ক বিমানবন্দরে, শপিং মলে জার্মানিতে রক্তাক্ত হামলা হয়েছে। আফগানিস্তান, ইরাক ও সিরিয়ার পরিস্থিতি সমুদ্রপাড়ে মিথর পড়ে থাকা শিশু আয়নালের ছবি সব কিছু বলে দেয়। গোটা ইউরোপ আয়নালের মৃতদেহ ধারণ করতে পারছে না, পারছে না নিস শহরের নিথর শিশুর পাশে থাকা পুতুলটির ভার! জাতীয় প্রেক্ষাপট গুলশানের হলি আর্টিজান রেস্তরাঁ বা শোলাকিয়ায় হামলার আগে বিভিন্ন সময় বাংলাদেশ গত কয়েকদিনে একজন মসজিদের মোয়াজ্জিন, একজন মন্দিরের সেবায়েত, একজন খ্রীস্টান দোকানদার ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক রেজাউল করিমকে হত্যা করা হয়। এসব হত্যাকা-ের ধরন হলো চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে বা জবাই করে। বলা হয় জান্নাত প্রাপ্তির আশায় তারা ওই সব করছে। এই তো ২/৩ দিন আগে কল্যাণপুর মারা গেল ৯ জঙ্গী, উদ্ধার হলো জঙ্গী উপকরণ, অস্ত্র। গুলশান হলি আর্টিজানে যারা হত্যাকা-ে অংশ নেয় তারা অপেক্ষাকৃত তরুণ এবং বড় ঘরের ইংরেজী মাধ্যমের ছাত্র। তাদের টার্গেট ছিল বিদেশী। ৯ জন ইতালিয়ান, ৭ জন জাপানী ও একজন ভারতীয়কে তারা হত্যা করল। তারা নাকি ‘আল্লাহ আকবর’ বলে হত্যাকা- চালিয়েছে। বাংলাদেশে এ যাবত যত জঙ্গী সন্ত্রাসী কর্মকা- ঘটেছে তা ঘটিয়েছে দেশী জঙ্গীরাই। কেউ কেউ আইএস আমদানি করে দেশকে অন্যের হাতে তুলে দিতে চাইছে। জাতি তা প্রত্যাখ্যান করেছে। কারণ এখানে যত জঙ্গী সংগঠন সবই জামায়াত-শিবিরের বেনামীতে গড়া। এদের অর্থায়নও হয় ইসলামী ব্যাংকসহ জামায়াতের বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান থেকে। জেএমবি বা হিযবুত তাহরীর নিষিদ্ধ হলেও তাদের সন্ত্রাসী তৎপরতা থেমে নেই। সবচেয়ে বেশি তৎপর রয়েছে আনসারুল্লাহ বাংলা টিম। মাঝে-মধ্যে হামযা ব্রিগেড প্রভৃতি নামও শোনা যায়। কেন এমন হলো ‘সকালে উঠিয়া আমি মনে মনে বলি/সারাদিন আমি যেন ভালো হয়ে চলি/ আদেশ করেন যাহা মোর গুরুজনে/ আমি যেন সেই কাজ করি ভালো মনে ...।’ কিংবা : ‘সদা সত্য কথা বলিও’ : ‘মিথ্যা কথা বলিও না’ : ‘গুরুজনে ভক্তি করিও’ : ‘ আলস্য দোষের আকর’ সেই ছোটবেলায় এগুলো পড়েছিলাম। পঞ্চাশের দশকে। সব মনে নেই, অনেক বিস্মৃত হয়ে গেছে। রচয়িতার নামেও কনফিউশন ছিল। তাই বন্ধু সিনিয়র সাংবাদিক শামসুদ্দিন আহমেদ পেয়ারার স্মরণাপন্ন হয়ে কনফার্ম করে নিলাম। লিখতে বসে ধরা খেয়ে গেলে সব সময় পেয়ারার শরণাপন্ন হই। আরেক বন্ধু সিনিয়র সাংবাদিক স্বদেশ রায়। সেও আমার রেফারেন্স ফ্যাকাল্টি। প্রথম কবিতাটি লিখেছেন কবি কামিনী রায় এবং দ্বিতীয় যে মহাজনী বাক্যগুলো উল্লেখ করলাম সেগুলোর সংগ্রাহক-সম্পাদক মহামতি বিদ্যাসাগর কিংবা রামসুন্দর বসাক। বিদ্যাসাগরের রচনাটির নাম বর্ণশিক্ষা এবং রামসুন্দর বসাকের রচনার নাম বাল্যশিক্ষা। আদর্শলিপি বা বাল্যশিক্ষা নামের সুখপাঠ্য রচনাও আমাদের শিশুপাঠ্য ছিল। উল্লিখিত কবিতা বা মহাজনী বাক্যগুলোর সংগ্রহ ও রচনাকাল ধরা হয় ১৮৭৭ থেকে ১৯৭৭ (উইকিপিডিয়া)। তারপর ধর্মীয় অপব্যাখ্যায় বা আধুনিকতার নামে ওগুলো বাচ্চাদের সামনে থেকে তুলে নেয়া হলো। বাচ্চাদের মনে দাগ কাটার কোন নীতিবাক্য রইল না। বরং তাদের সামনে দেয়া হলো ‘টুইংকল টুইংকুল লিটল স্টার...’ ইত্যাদি। ইংরেজী কবিতাও পড়তে হবে, তবে শিশুকালে নয়। লাইনটির মধ্যে বাচ্চারা কি বুঝল না বুঝল সেটি শিক্ষা বিস্তারের আমলা-মন্ত্রীদের মনে এতটুকু চেতনার উদ্রেক হলো না। আর বাচ্চারা আকাশের ‘লিটল স্টার’ গুনতে থাকল। এমনকি যে মানুষটি আমাদের শিখিয়েছিলেন ‘আমি মানুষ আমি বাঙালী আমি মুসলমান’ (অন্য ধর্মের মানুষের শেষের শব্দটি হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান, পাহাড়ী বলতে পারেন) তাঁকেও সপরিবারে হত্যা করা হলো। ১৯৭৭ সালের পর থেকে বাচ্চাদের মানস সংগঠন বা মেন্টাল ফ্যাকাল্টির ডেভেলপমেন্টের জন্য কোন নীতিবাক্য থাকল না। এমনকি তখন সোভিয়েত ইউনিয়নের রুশ বা অন্য কোন ভাষার শিশু সাহিত্য (অনুবাদ) এশিয়া ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে পেতাম, তাও মিলিটারি জিয়া-এরশাদের বুটের তলায় পিষ্ট হতে হতে নিঃশেষ হয়ে গেল। আমাদের ছোটবেলায় পড়তে এবং লিখতে শেখার আগেই আমরা ‘সকালে উঠিয়া আমি মনে মনে বলি/সারাদিন আমি যেন ভালো হয়ে চলি...’ মুখস্থ উচ্চারণ করতে করতে স্কুলে যাওয়া-আসা করতাম। কিংবা সেই যে ‘সদা সত্য কথা বলিও, মিথ্যা বলিও না’ এগুলো এমনভাবে গেঁথে আছে যে, এখনও অবচেতন মন দেয়াল রচনা করে আছে। কেন যে এগুলো বাচ্চাদের চোখের সামনে থেকে তুলে নেয়া হলো আজও মাথায় ঢোকে না। তবে আমলা-মন্ত্রী কিংবা একশ্রেণীর শিক্ষাবিদ যেভাবে খারাপ হচ্ছেন এবং কথায় কথায় মিথ্যাচার করছেন, তা দেখে শুনে মনে হয় ওই মহাজনী বাক্যগুলো তাদের জন্য সরমের ব্যাপার বলেই হয়ত। এখন তো বেসরমের রাজনীতি বেশি চলছে। স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধু স্বনামধন্য শিক্ষাবিদ সর্বজন শ্রদ্ধেয় ড. মুহম্মদ কুদরত-ই খুদাকে দিয়ে শিক্ষা কমিশন গঠন করেছিলেন। রিপোর্ট দিয়েছিলেন শিক্ষাকে দ্বাদশ শ্রেণী (এইচএসসি) পর্যন্ত একমুখী, অবৈতনিক এবং জাতীয়করণ করতে হবে। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর সেই শিক্ষানীতি মাটিচাপা দিয়ে যত শিক্ষামন্ত্রী এসেছেন প্রত্যেকেই একটা করে শিক্ষানীতি বানিয়েছেন। এর জন্য বিভিন্ন প্রজেক্ট বানানো হতো। কাজ যা হতো তা হলো কিছু দুর্নীতিবাজ আমলা-মন্ত্রীর পকেটে টু-পাইস পড়ত। বিদেশ ভ্রমণ হতো। বাচ্চাদের সামনে আজ এই নীতি, কাল ঐ নীতি, পরশু অবজেকটিভ প্রশ্ন, তারপর দিন রচনামূলক, ক্লাস ফাইভের পরীক্ষা আজ জাতীয়ভাবে, কাল বাতিল আবার পরদিন জাতীয়ভাবে- এইভাবে বাচ্চাদের সামনে আমরা এক বিভ্রান্তির জগত (ডড়ৎষফ ড়ভ পড়হভঁংরড়হ) রচনা করে চলেছি। এই তো গেল একদিক। আরেকদিক হলো ইংরেজী ও আরবী ভাষাভাষী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও কারিকুলাম। যদিও মাদ্রাসায় অনেক কিছু এখন বাংলায় পড়ানো হয়। ইসলামী ফাউন্ডেশনের ডিজি শামীম মুহম্মদ আফজাল এক সেমিনারে বলেছেন, মাদ্রাসার বিষয়গুলো বাংলা করতে গিয়ে পাঠক্রম এমন সংকোচিত করা হয়েছে, বিশেষ করে আরবী ভাষা, পবিত্র কোরান ও হাদিস-এ রসুল (সা)-এর পাঠ এখন রুটিনের পর্যায়ে চলে গেছে। পক্ষান্তরে যারা ইংরেজী মাধ্যমে পড়ে তাদের পাঠ্যবইগুলো এমনভাবে রচিত যে, তারা টেমস-মিসিসিপি, আমাজানের নাম জানে, আমাদের পদ্মা-যমুনা-গৌরী-মেঘনা-ইছামতি-ডাকাতিয়ার নাম জানে না। ‘পদ্মা-মেঘনা-যমুনা- তোমার আমার ঠিকানা’ সেøাগান বোঝে না। তাদের মধ্যে দেশাত্মবোধ বা দেশপ্রেম জন্ম নেবে কিভাবে? নইলে জঙ্গী ছেলেমেয়েগুলো তো আমাদেরই সন্তান। কেন তারা ও পথে গেল? হতাশা কেন? আজকাল শোনা যায় হতাশা থেকে তরুণ সমাজ জঙ্গী হচ্ছে। কেন হতাশা? হ্যাঁ, অবৈধভাবে উপার্জিত অর্থ-প্রাচুর্যের মধ্যে থাকতে থাকতে হতাশার জন্ম নিতে পারে এবং তখনই একজন তরুণের বিভ্রান্ত হবার শঙ্কা দেখা দেয়। আজ বঙ্গবন্ধু নেই পথ দেখাবার জন্য; কিন্তু তাঁরই উত্তরাধিকার শেখ হাসিনা আমাদের প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রনেতা। যিনি বিশ্বের ১০ জন প্রভাবশালী রাষ্ট্রনেতার অন্যতম। বাংলাদেশকে উন্নয়নের এমন উচ্চতায় নিয়ে গেছেন যা বিশ্ববাসীর জন্য রোলমডেল, আমাদের জন্য বাতিঘর। এই বাংলাদেশ আজ চাল রফতানি করছে, মাথাপিছু আয় ১৪৬৬ মার্কিন ডলার, যা ৭/৮ বছর আগেও ছিল মাত্র ৫শ’ ডলার, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ২৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, জিডিপি বা প্রবৃদ্ধির হার ৭.০২%; গড় আয়ু ৭০ বছর ছাড়িয়েছে, শিক্ষার হারও ৭০% ছাড়িয়েছে, এমনকি শেখ হাসিনা সাহসের সঙ্গে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার করে এবং একাত্তরে গণহত্যা, নারী ধর্ষণসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য দায়ী যুদ্ধাপরাীদের বিচার করে জাতিকে দায়মুক্তি দিয়েছেন। এরপর আর কারও মধ্যে হতাশা থাকতে পারে না। ঢাকা ॥ ২৮ জুলাই ২০১৬ লেখক : সিনিয়র সাংবাদিক ও সভাপতি জাতীয় প্রেসক্লাব নধষরংংযধভরয়@মসধরষ.পড়স
×