ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

পরিবেশের ক্ষতি ও ব্যয় বৃদ্ধির আশঙ্কা

ব্রিটেনের নতুন পরমাণু প্লান্ট নির্মাণ স্থগিত

প্রকাশিত: ০৩:৫২, ৩০ জুলাই ২০১৬

ব্রিটেনের নতুন পরমাণু প্লান্ট নির্মাণ স্থগিত

ব্রিটেনের নতুন পরমাণু প্লান্ট নির্মাণ চুক্তি হোঁচট খেল। ২০ বছরের মধ্যে এটি ছিল দেশটির প্রথম পরমাণু প্রকল্প। কিন্তু সরকার এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ শরতের প্রথম ভাগ পর্যন্ত স্থগিত করলে ১ হাজার ৮শ’ কোটি পাউন্ডের হিঙ্কলে পয়েন্ট প্রকল্প ঝুলে যায়। সমারসেটে নির্মিতব্য এ প্লাটের অধিকাংশ অর্থ সরবরাহ করছে ফরাসী প্রতিষ্ঠান ইডিএফ। সম্প্রতি এক বোডসভায় ইডিএফ প্রকল্পের জন্য অর্থায়ন অনুমোদিত হয়। শুক্রবার এই প্রকল্পের চুক্তি স্বাক্ষরিত হওয়ার কথা ছিল, কিন্তু বাণিজ্যমন্ত্রী গ্রেগ ক্লাক বলেছেন, প্রকল্পটি অনুমোদনের আগে সরকার সতর্কতার সঙ্গে কিছু বিষয় বিবেচনা করবে। ইডিএফের প্রধান নির্বাহী ভিনসেন্ট ডি রিভাজ বাণিজ্যমন্ত্রী ক্লাকের ঐ মন্তব্যের পর হিঙ্কলে পয়েন্ট পরিদর্শনের পরিকল্পনা বাতিল করেছেন। হিঙ্কলে প্রকল্পের সমালোচকরা এর সম্ভাব্য পরিবেশগত ক্ষতি এবং ব্যয় বৃদ্ধির আশঙ্কা সম্পর্কে সতর্ক করে দিয়েছেন। তারা আরও উদ্বিগ্ন যে, প্লান্টটি নির্মিত হচ্ছে বিদেশী সরকারের ছায়ায়। ১ হাজার ৮শ’ কোটি পাউন্ড ব্যয়ে নির্মিতব্য এই প্লান্টে এক-তৃতীয়াংশ ব্যয় বহন করছে চীনা বিনিয়োগকারীরা। খবর বিবিসির। তবে ইডিএফ এখনও আশা করছে আগামী বছর নাগাদ প্রকল্প এলাকায় আড়াই হাজারের বেশি শ্রমিক কর্মরত থাকবে। এর আগে এ সংক্রান্ত বিনিয়োগ অনুমোদনের ঘোষণা দিয়ে ইডিএফ প্লান্টটিকে ফরাসী ও ব্রিটিশ শিল্পের জন্য এক অনন্য সম্পদ হিসেবে অভিহিত করে। ইডিএফ জানায়, প্রকল্পটিতে উভয় দেশের পরমাণু খাত উপকৃত হবে এবং কর্মসংস্থান বৃদ্ধি পাবে। এই ঘোষণাকে তাৎক্ষণিকভাবে স্বাগত জানিয়েছে নিয়োগকারীদের জোট সিবিআই, নিউক্লিয়ার ইন্ডাস্ট্রি এ্যাসোসিয়েশন এবং ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কার্স ইউনিয়ন জিএমসি হিঙ্কলি প্রজেক্ট অনুমোদন করা হবে কিনা তা নিয়ে ভোটাভুটির আগে ইডিএফ বোর্ড মেম্বার জেরার্ড ম্যাগনিন একথা বলে পদত্যাগ করেছেন যে, প্রকল্পটি আর্থিকভাবে ‘খুবই ঝুঁকিপূর্ণ’। এ বছরের গোড়ার দিকে ইডিএফের অর্থ পরিচালক থমাক পিকুমাল পদত্যাগ করেন। ঐ সময় খবর বের হয় যে, তিনি মনে করেন হিঙ্কলে প্রকল্পের কারণে খোদ ইডিএফ ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। ইডিএফের আর্থিক সক্ষমতা নিয়ে উদ্বেগের কারণে সাম্প্রতিক মাসগুলোতে প্রকল্পের কাজ বিঘিœত হয়। চীনা বিনিয়োগকারী ছাড়াও হিঙ্কলে পয়েন্ট নিয়ে ফরাসী কোম্পানিটি যথেষ্ট বেকায়দায় রয়েছে। কারণ ইডিএফের মালিকদের কাছ থেকে তাদের অর্থ সংগ্রহ করতে হবে। এ সপ্তাহের গোড়ার দিকে ইডিএফ শেয়ারহোল্ডারগণ প্রকল্পটির অর্থায়নে সহায়তা করতে ৪শ’ কোটি ইউরো সংগ্রহের টার্গেট নিয়ে নতুন শেয়ার ইস্যুর পরিকল্পনা অনুমোদন করেন।
×