ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

সেমিনারে প্রধান তথ্য কমিশনার

তথ্য অধিকার আইনের মাধ্যমে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে

প্রকাশিত: ০৮:৪১, ২৯ জুলাই ২০১৬

 তথ্য অধিকার আইনের মাধ্যমে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে

বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার ॥ প্রধান তথ্য কমিশনার অধ্যাপক ড. মোঃ গোলাম রহমান বলেছেন, তথ্যের অভাবে একসময় দেশে সার্বিক উন্নয়ন ব্যাহত হয়েছে। কিন্তু বর্তমানে ‘তথ্য অধিকার আইনে’র তথ্য প্রাপ্তির মাধ্যমে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হচ্ছে। বৃহস্পতিবার সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ ভবনের মুজাফ্ফর আহমেদ চৌধুরী মিলনায়তনে ‘তথ্য অধিকার আইন কি এবং কেন’ শীর্ষক এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বিশ্ববিদ্যালয় টেলিভিশন ও চলচ্চিত্র অধ্যয়ন বিভাগ এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকের সভাপতিত্বে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন তথ্য কমিশনার অধ্যাপক ড. খুরশিদা বেগম। স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন তথ্য কমিশনের পরিচালক জাফর রাজা চৌধুরী। বিশেষ অতিথি ছিলেন টেলিভিশন ও চলচ্চিত্র অধ্যয়ন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এ জে এম শফিউল আলম ভূইয়া। গোলাম রহমান বলেন, আমাদের ভেতরে তথ্য লুকিয়ে রাখার সংস্কৃতি রয়েছে। যেহেতু এদেশের মালিক জনগণ তাই তথ্যটাকে লুকিয়ে রাখা এখন আর সম্ভব নয়। তবে আইন থাকলেই হবে না, এর প্রায়োগিক দিকটা বিবেচনা করতে হবে। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে তথ্য আইন কাজে লাগবে মন্তব্য করে তিনি বলেন, তথ্যের অধিকার দিয়েই একজন নাগরিক তার জীবনকে সাজাতে পারবে। সরকারের সকল স্তরে স্বচ্ছতা থাকলে দেশে দুর্নীতি কমে যাবে। এই আইনটি আরও জনপ্রিয় করে তুলতে হবে। পাশাপাশি তরুণদের এ বিষয়ে আরও উজ্জীবিত করা প্রয়োজন। অনেক গুরুত্বের সঙ্গেই আইন জানতে ও কাজ করতে হবে। মূল প্রবন্ধে অধ্যাপক ড. খুরশিদা বেগম চেতনার দিক থেকে তথ্য অধিকার আইনের নানা দিক উপস্থাপন করে বলেন, তথ্য অধিকারের মূল দার্শনিক ভিত্তি ছিল জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চের ভাষণের মধ্যে। বঙ্গবন্ধু ভাষণের শুরুতে জনগণের উদ্দেশে বলেছিলেন, ‘আপনারা সবই জানেন এবং বোঝেন’, তাই ‘তথ্য অধিকার আইন ২০০৯’টি জনগণের অন্যতম হাতিয়ার হিসেবে কাজ করবে। যার মাধ্যমে সরকারী বেসরকারী কাজে স্বচ্ছতা ও দায়বদ্ধতা সৃষ্টি হবে। সভাপতির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, ‘তথ্য অধিকার আইন’ যে লক্ষ্যে প্রণীত হয়েছে সেই বিষয়গুলো সম্পর্কে স্পষ্ট হওয়া প্রয়োজন। পূর্বে সরকারী অনুমোদন ছাড়া তথ্য প্রাপ্তি সম্ভবপর ছিল না। তবে এখন একজন ব্যক্তি সরাসরিভাবে তথ্য চাইতে পারছেন। এ সময় তিনি সাধারণ মানুষের সুবিধার জন্যই এই আইন প্রণীত হয়েছে বলে মন্তব্য করেন।
×