ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠকের পর সংবাদ সম্মেলনে বাণিজ্যমন্ত্রী

ব্যবসা-বাণিজ্য স্বাভাবিক ॥ কোন বিদেশী ক্রেতা অর্ডার বাতিল করেনি

প্রকাশিত: ০৭:১২, ২৯ জুলাই ২০১৬

ব্যবসা-বাণিজ্য স্বাভাবিক ॥ কোন বিদেশী ক্রেতা অর্ডার বাতিল করেনি

বিশেষ প্রতিনিধি ॥ দেশের ব্যবসাবাণিজ্য সব স্বাভাবিক আছে। কোন বিদেশী ক্রেতা কোন অর্ডার বাতিল করেনি। জঙ্গীর ঘটনা নিয়ে আতঙ্কের কিছু নেই। বিদেশীদের নিরাপত্তায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সদা সতর্ক রয়েছে। ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠক শেষে বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ এ কথা জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘জঙ্গীদের অশুভ তৎপরতা মোকাবেলায় সরকার সব ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের মানুষ জঙ্গীবাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। অচিরেই জঙ্গী তৎপরতা বন্ধ হয়ে যাবে। আমাদের সামনে চ্যালেঞ্জ আছে। কিন্তু কোন কিছুই আমাদের অগ্রযাত্রাকে বাধাগ্রস্ত করতে পারবে না।’ সাংবাদিক সম্মেলনে ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ বলেন, সরকারের জঙ্গীবিরোধী পদক্ষেপে বিদেশী ক্রেতাদের মধ্যে আস্থা ফিরে আসছে। বিদেশী ক্রেতারা অনুধাবন করেছেন যে, জঙ্গীবাদ বাংলাদেশের কোন একক সমস্যা নয়। এটি বৈশ্বিক সমস্যা। তারা বাংলাদেশের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন হলেও আতঙ্কিত নন। তারা বলেছেন, বাংলাদেশ ছেড়ে তারা যাবেন না, বরং আগের মতোই তারা এদেশে তাদের ব্যবসায়িক কার্যক্রম অব্যাহত রাখবেন। এক্ষেত্রে তারা এদেশে ব্যবসা পরিচালনার জন্য নিরাপত্তা চেয়েছেন। তাদের এ আস্থাটা ফিরিয়ে আনতে হবে। আর আস্থা ফিরিয়ে আনার জন্য সরকারকে জঙ্গীবিরোধী অভিযান অব্যাহত রাখার পাশাপাশি ব্যবসায়ী ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে নিরবচ্ছিন্ন নিরাপত্তা দিতে হবে। ব্যবসায়ী নেতারা আরও বলেন, সাম্প্রতিক জঙ্গী হামলা দেশের ব্যবসাবাণিজ্যে কোন নেতিবাচক প্রভাব ফেলেনি। সব কিছু স্থিতিশীল রয়েছে। কোন বিদেশী ক্রেতা চলে যায়নি এবং কোন রফতানি আদেশও বাতিল হয়নি। কোন কোন মহল এসব নিয়ে মিথ্যে প্রপাগান্ডা চালাচ্ছে। বাংলাদেশে সাম্প্রতিক জঙ্গী হামলার ঘটনাটিকে ‘বৈশ্বিক সমস্যা’ হিসেবে উল্লেখ করে ব্যবসায়ী নেতারা বলেন, এখানে কোন রাজনীতি টেনে আনা উচিত নয়। সমগ্র জাতিকে ঐক্যবদ্ধভাবে এ সমস্যা মোকাবেলা করতে হবে। একই সঙ্গে এ ঘটনায় দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনের জন্য গণমাধ্যমের প্রতিও আহ্বান জানান তারা। সন্ত্রাস ও জঙ্গী মোকাবেলায় সরকারের কঠোর অবস্থানের প্রশংসা করে ব্যবসায়ীরা আরও বলেন, বিশ্ববাসী তাকিয়ে আছে এ ঘটনায় সরকার কী পদক্ষেপ নেয়। এটাই এখন মুখ্য বিষয়। বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘এসব জঙ্গী হামলার মূল কারণ হচ্ছে বাংলাদেশের অগ্রযাত্রাকে ব্যাহত করা। কিন্তু কোন কিছুই বাংলাদেশের অগ্রযাত্রাকে ব্যাহত করতে পারবে না। জঙ্গী ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে সারাদেশে জাতীয় ঐক্য গড়ে উঠেছে। গ্রাম-গঞ্জের মানুষও এখন সচেতন। জঙ্গী ও সন্ত্রাস মোকাবেলায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে আরও আধুনিক ও শক্তিশালী করা হচ্ছে। বিদেশীরা সরকারের কাছে নিরাপত্তা চাইলে তাদের আরও বাড়তি নিরাপত্তা দেয়া হবে বলে জানান মন্ত্রী। এফবিসিসিআই সভাপতি আব্দুল মাতলুব আহমেদ বলেন, ‘জঙ্গী দমনে সরকারের পদক্ষেপ বিদেশীদের আশ্বস্ত করেছে। বিশ্বব্যাপী বার্তা গেছে যে, বাংলাদেশ জঙ্গীবাদকে প্রশয় দিচ্ছে না। এ বিষয়ে আমাদের মিডিয়াকেও সঠিক ভূমিকা রাখতে হবে। দেশের এই সঙ্কটময় মুহূর্তে দায়িত্বশীল সাংবাদিকতা করতে হবে।’ তিনি তার নিজের ব্যবসার কথা তুলে ধরে বলেন, আমরা ট্রাক-বাসের ব্যবসা করি।
×