আরণ্যিক কবোষ্ণ চোখে
রাহমান ওয়াহিদ
বিদীর্ণ রোদে শুকোচ্ছে ইচ্ছের পাথুরে ফসিল,
ভেতরে স্বপ্ননীল মাতামাতি। রংধনু নৌকার পালে
জোছনা মাখা ছায়া বন্ধ্যা জমিনের মতো নির্জীব
শুয়ে আছে একা, যেন বা কুলভ্রষ্টা মৌনি এক নারী।
আরণ্যিক কবোষ্ণ চোখে যে মায়াবী দ্যুতি, তাতেও
লৌকিকতার ঘোলা জল, নগ্ন ক্ষুধা আর রক্ত মাটির
নিঃসঙ্গ চিৎকার। কোন আঁধারেই অপেক্ষার জোনাকি নেই।
দেখি শুধু ভুলিয়ে রাখার শতেক বাহুল্য প্রকার।
হায়! শাজাহান
বাদল আশরাফ
একালের শাজাহান
তুমি যত বড় প্রেমিক হও না কেন
আজ বড় অসহায়
জড়-
তোমার হৃদয়ের পূর্বাচলে নেই আর অনিন্দ্য মিথুন,
মমতাজ লুটে নিয়েছে তোমার প্রেম
হৃদয়ের শোভিত পরিসর সব!
হায়!
তোমার পিতার সমাধিতে নেই শিল্পের কারুকাজ
জননীর জন্য নেই আকুলতা
তোমার কণ্ঠে নেই গুনগুন গান
কবিতার শব্দমালা,
বন্ধু-স্বজন-সমাজের দায় স্পর্শ করে না আর...
তোমার আওরঙ্গ
প্রিয় সন্তান কেউ কেউ
লঙ্ঘন করে তোমাকে আবর্তনের সব সীমারেখা
মমতাজের ¯েœহের আধিক্যে
অথবা প্রশ্রয়ে...
তুমি তো প্রেমিক এবং পিতা
যেভাবেই হোক তোমার যুগপৎ সত্তা হয়েছে অর্বাচীন
এবং জড়,
সেই পরস্পরায় তোমার সন্তান নির্বোধ আজ
রক্তে ভরায় পেয়ালা!
তুমি চেয়ে থাকো নির্বাক
নিথর দৃষ্টিতে-
শাজাহান! এভাবে আর কতকাল?
শীর্ষ সংবাদ: