ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

বেনাপোল কাস্টমসের রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা ৩৭০০ কোটি টাকা

প্রকাশিত: ০৫:৫৪, ২৯ জুলাই ২০১৬

বেনাপোল কাস্টমসের রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা ৩৭০০ কোটি টাকা

স্টাফ রিপোর্টার, বেনাপোল ॥ বেনাপোল কাস্টম হাউসে ২০১৬-১৭ অর্থবছরে তিন হাজার ৭০০ কোটি টাকা রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। কাস্টম হাউসের কমিশনার এএফএম আব্দুল্লাহ খান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, গত ২০১৫-১৬ অর্থবছরে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড বেনাপোল কাস্টমস হাউসে রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছিল তিন হাজার ১৪৩ কোটি টাকা। বছর শেষে লক্ষ্যমাত্রা পূরণে অনিশ্চয়তা দেখা দেয়ায় পরে তা কমিয়ে নির্ধারণ করা হয় দুই হাজার ৮৫০ কোটি টাকা। ৩০ জুন বছর শেষে আদায় হয়েছিল দুই হাজার ৯৪০ কোটি টাকা। ওই অর্থবছরে বেনাপোল বন্দর হয়ে ভারত থেকে আমদানি হয় বিভিন্ন ধরনের ১২ লাখ ৯৮ হাজার ৯৮৩ মেট্রিক টন পণ্য। যা তার আগের অর্থবছরের তুলনায় ৮০ হাজার ৩৬৫ টন কম। বন্দরের অবকাঠামো সঙ্কট, রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে পণ্য পাচার ও আমদানি পণ্যের ওপর কাস্টমস কর্তৃপক্ষের অযৌক্তিক হারে শুল্ক বৃদ্ধির কারণে বেনাপোল বন্দর দিয়ে মালামাল আমদানি কমেছিল বলে ব্যবসায়ীরা মনে করেন। বেনাপোল সিএ্যান্ডএফ এজেন্টস এ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মফিজুর রহমান সজন বলেন, বর্তমান সরকারের আমলে বেনাপোল বন্দরে সবচেয়ে বেশি অবকাঠামোগত উন্নয়ন হয়েছে। কিন্তু সে উন্নয়নও প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম। বেনাপোল বন্দরের ধারণ ক্ষমতা ৩৮ হাজার মেট্রিক টন। কিন্তু সেখানে সব সময় পণ্য থাকে প্রায় দ্বিগুণ। বন্দর পণ্যাগারে স্থান সঙ্কটে দিনের পর দিন আমদানি করা পণ্য নিয়ে ট্রাক চালকদের খালাসের অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। অনেক সময় জায়গা না পেয়ে মূল্যবান পণ্য অনেকটা নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে খোলা আকাশের নিচে খালাস করতে হয়। রোদে পুড়ে-বৃষ্টিতে ভিজে এসব পণ্যের গুণগতমান নষ্ট হয়। পণ্যের রক্ষণাবেক্ষণের সমস্যা ও আমদানি খরচ বেড়ে যাওয়ায় ব্যবসায়ীরা চলে যাচ্ছে অন্য বন্দরে। এতে কমছে আমদানি বাণিজ্য, ঘাটতি হচ্ছে রাজস্ব। ভারত-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্সের ল্যান্ডপোর্ট সাব-কমিটির সভাপতি মতিয়ার রহমান বলেন, বর্তমানে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ বেশ কিছু পণ্যের ওপর ট্যারিফ মূল্যে পণ্য খালাস নির্ধারণ করেছে। এক্ষেত্রে ভারত থেকে কেনা পণ্যের ইনভয়েজ মূল্য মানা হচ্ছে না। প্রকৃত মূল্যের চেয়ে বেশি মূল্যে শুল্কায়ন করা হলে বৈধ পথে আমদানি কমে সীমান্তের অবৈধ পথে বাড়বে চোরাচালান। এতে ডলার পাচারেরও আশঙ্কা রয়েছে বলে মনে করেন এই ব্যবসায়ী নেতা। বেনাপোল কাস্টম হাউসের কমিশনার এএফএম আব্দুল্লাহ খান জানান, নতুন অর্থবছরের লক্ষ্যমাত্রা পূরণে কাস্টমস কর্মকর্তারা চেষ্টা করবেন। আমি যোগদানের পর বেনাপোল বন্দরে আমদানি পণ্যের ওপর শুল্ক আদায়ে আগের চেয়ে অনেক স্বচ্ছতা ও শৃঙ্খলা ফিরে এসেছে। সঠিক নিয়ম অনুসরণ করে দ্রুত পণ্য খালাসে এখন সবাই আন্তরিক। তাই লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে আশাবাদী আমি বলেন কাস্টমসের এই উর্ধতন কর্মকর্তা।
×