ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

কৃষকের পাশে বন্ধুর মতো থেকে সহায়তা করে যাচ্ছে সরকার ॥ কৃষিমন্ত্রী

প্রকাশিত: ০৫:৩৭, ২৯ জুলাই ২০১৬

কৃষকের পাশে বন্ধুর মতো থেকে সহায়তা করে যাচ্ছে  সরকার ॥ কৃষিমন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার ॥ কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী বলেছেন, সরকার কৃষকের পাশে বন্ধুর মতো থেকে সহায়তা করে যাচ্ছে। সবকিছু মোকাবেলা করে উদ্ভাবনী শক্তি ব্যবহার করে দেশের কৃষক এগিয়ে যাচ্ছে। নতুন নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবনের মাধ্যমে কৃষিক্ষেত্রে আমূল পরিবর্তন ঘটেছে। আর পরিবর্তিত পরিস্থিতির সঙ্গে খাপ খাইয়ে চলতে গেলে নতুন নতুন সিদ্ধান্ত নিতে হয়। দেশের স্বার্থে কোন সিদ্ধান্ত নিলে কেবলমাত্র এনজিও সংস্থাগুলো সমালোচনা করে। যদি তাদের সমালোচনা সহ্য করতে না পারতাম তাহলে বর্তমানের অবস্থানে পৌঁছাতে পারতাম না। বৃহস্পতিবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নভোথিয়েটারে ‘উদ্ভাবনের মাধ্যমে কৃষি সেবার রূপান্তর’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের একসেস টু ইনফরমেশন (এটুআই) ও মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের উদ্যোগে আয়োজিত ‘সিভিল সার্ভিস ইন ডেভেলপমেন্ট ইনোভেশন’ অনুষ্ঠানে কৃষির নানাবিধ উদ্ভাবন তুলে ধরতে এই সেমিনার আয়োজিত হয়। সেমিনারে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. আলী আকবর, কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব মইনুদ্দিন আবদুল্লাহ, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ মাকসুদুল হাসান খান ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের মহাপরিচালক মোঃ হামিদুর রহমান। বেগুনে জীন প্রযুক্তি ব্যবহারের কারণে বিদেশী টাকায় পরিচালিত এনজিও সংস্থা প্রবল সমালোচনা করে উল্লেখ করে কৃষিমন্ত্রী বলেন, যারা এনজিও সংস্থা ও বিদেশী টাকায় পরিচালিত হয় তারা সমালোচনা করে। আমরা যদি সেই সমালোচনা সহ্য করতে না পারতাম তাহলে নতুন কোন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারতাম না। বেগুনে জীন প্রযুক্তি ব্যবহারের কারণে এত সমালোচনার দরকার ছিল না। গত রমজানের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, যার গুণ নেই সেই বেগুনে জীন প্রযুক্তি ব্যবহারের কারণে পোকা দমন হয়েছে। বেগুনের উৎপাদন বেড়েছে। তিনি আরও বলেন, আমাদের সিদ্ধান্ত সব সময় দেশের স্বার্থে, কৃষকের স্বার্থে। দেশের স্বার্থ ক্ষুণœ হয় এমন কোন সিদ্ধান্ত বর্তমান সরকার নেয়নি, নেবেও না। আমি বা আমরা ভাল আছি তা বাইরের কেউ বলে দেবে না। আর অন্য কেউ বলে দিলেই তা বুঝতে হবে এমনও নয়। বরং আমাকেই উপলব্ধি করতে হবে আমি ভাল আছি কি-না। কৃষিমন্ত্রী বলেন, শুধু খাদ্য নিরাপত্তা নয়, আমরা খাদ্যের ক্ষেত্রে পরিশুদ্ধতাও বজায় রাখব। কৃষি ক্ষেত্রে গতানুগতিক কাজে সীমাবদ্ধ না থেকে বৈচিত্র্য বৃদ্ধির দিকে চলে যাচ্ছি। ১৯৯৬ সালে দেশে হাইব্রিডের আমদানি হয়েছিল বলেই বর্তমানে আমরা এই অবস্থানে পৌঁছাতে পেরেছি। একটা সময় কৃষিকে সম্পূর্ণ পরনির্ভরশীল করা হয়েছিল, আমদানিনির্ভর করা হয়েছিল। আর বাইরে হাত পাতা আজকের বাস্তবতা নয়, বরং বাইরে খাবার পাঠাইÑ এটাই আজকের বাস্তবতা। এ সময় গণমাধ্যমে প্রকাশিত ‘তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারের কারণে নারী চাষীরা অধিক লাভবান হচ্ছেন’ এমন তথ্যের কথা উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, সেবা পেয়ে নারীরা ঘরে ঘরে ক্ষমতাবান হচ্ছেন। এ সময় সমুদ্র উপকূলের জমিকে কাজে লাগাতে আর কোন ধরনের কৃষি প্রযুক্তি ব্যবহার করা যায়Ñতা নিয়ে কাজ করার জন্য কৃষি গবেষকদের আহ্বান জানান মন্ত্রী।
×