ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

জঙ্গীবাদ মোকাবেলায় ভারতের সমর্থন পুনর্ব্যক্ত

প্রকাশিত: ০৫:৩২, ২৯ জুলাই ২০১৬

জঙ্গীবাদ মোকাবেলায় ভারতের সমর্থন পুনর্ব্যক্ত

ভারতের রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জী বাংলাদেশের পাশে থাকার এবং সন্ত্রাসবাদ ও জঙ্গীবাদ মোকাবেলায় সহায়তাকল্পে তার দেশের দৃঢ় সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছেন। বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বুধবার সন্ধ্যায় রাষ্ট্রপতি ভবনে ভারতের রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাতকালে প্রণব মুখার্জী বলেন, ‘আমরা সন্ত্রাসবাদ ও জঙ্গীবাদের বিরুদ্ধে ঢাকার জিরো টলারেন্স নীতিকে সমর্থন করছি।’ এর পরদিন বৃহস্পতিবার দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাত করেন বালাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। সাক্ষাতকালে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধে ভারত সরকার সব সময় বাংলাদেশের পাশে থাকবে বলে নরেন্দ্র মোদি পুনরায় দৃঢ়তার সঙ্গে উল্লেখ করেন। খবর বাসসর। এ সময় বাংলাদেশের সাম্প্রতিক সহিংস কর্মকা- দমনে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সময়োপযোগী এবং দৃঢ় পদক্ষেপের প্রতি সর্মথন জানিয়ে নরেন্দ্র মোদি শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বের ভূয়সী প্রশংসা করেন। মোদি বলেন, ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে ভারত যেভাবে বাংলাদেশের পাশে দাঁড়িয়ে সাহায্য এবং সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছিল, সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধে ভারত একই রকমভাবে বাংলাদেশের পাশে থাকবে। এ সময় আসাদুজ্জামান খান বলেন, অতীত থেকেই বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়সহ সকল ধর্ম ও বর্ণের মানুষ বাংলাদেশে তাদের ধর্মীয় আচার-উৎসব স্বাধীনভাবে পালন করে আসছেন। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকার সংখ্যালঘু সম্প্রদায়সহ সকল সম্প্রদায়ের ধর্মীয়, সাংস্কৃতিক ও মানবিক অধিকার রক্ষায় সর্বদা সচেষ্ট রয়েছে। বাংলাদেশের সাম্প্রতিক সন্ত্রাসী ঘটনার কথা বলতে গিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এসব ঘটনায় যারা জড়িত তারা বাংলাদেশের নাগরিক এবং বাংলাদেশেই লালিত-পালিত। এদের সঙ্গে আন্তর্জাতিক কোন সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর সংযোগের প্রমাণ পাওয়া যায়নি। ভারতের প্রধানমন্ত্রীও এ বিষয়ে একমত পোষণ করেন। ঢাকার গুলশানের রেস্তরাঁ ও কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়ায় সন্ত্রাসী হামলার পরপরই ভারতের রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জী ওই সব হামলার কঠোর নিন্দা জানান এবং আশ্বস্ত করেন যে, নয়াদিল্লী ঘৃণা, বিশৃঙ্খলা ও অস্থিতিশীলতা ছড়ানো এ জঙ্গীদের পরাস্ত করতে বাংলাদেশ সরকারের সক্ষমতা বাড়াতে সম্ভব সব ধরনের সহায়তা দেবে। বুধবারের বৈঠককালে ভারতের রাষ্ট্রপতি সন্ত্রাসবাদ ও জঙ্গীবাদের বিরুদ্ধে ঢাকার লড়াইয়ের প্রতি ভারতের অনুরূপ মনোভাব ব্যক্ত করেন। এ সময় আসাদুজ্জামান খান ভারতের রাষ্ট্রপতিকে অবহিত করেন যে, বাংলাদেশে সাম্প্রতিক সন্ত্রাসী হামলা ছিল পরিকল্পিত এবং উন্নয়ন কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত ও দেশকে অস্থিতিশীল করতেই কেবল দেশীয় জঙ্গীরা এসব হামলা করছে।ভারতে বাংলাদেশের হাইকমিশনার সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলী, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মোঃ মোজাম্মেল হক খান, মহাপুলিশ পরিদর্শক (আইজিপি) একেএম শহীদুল হক, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) প্রধান মেজর জেনারেল আজিজ আহমেদ, কোস্টগার্ডের প্রধান রিয়ার এ্যাডমিরাল আওরঙ্গজেব চৌধুরী ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের মহাপরিচালক খন্দকার রাকিবুর রহমান বৈঠকে অংশ নেন।
×