ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

গ্রেফতার হাসানসহ ১০ জনকে আসামি করে মামলা

পাকিস্তান স্টাইলে স্কুলে হামলার ছক ছিল কল্যাণপুর জঙ্গীদের

প্রকাশিত: ০৫:৩০, ২৯ জুলাই ২০১৬

পাকিস্তান স্টাইলে স্কুলে হামলার ছক ছিল কল্যাণপুর জঙ্গীদের

গাফফার খান চৌধুরী ॥ পাকিস্তানের আদলে একটি কেজি স্কুলের শিক্ষক শিক্ষার্থীসহ সবাইকে জিম্মির পর হত্যার পরিকল্পনা ছিল কল্যাণপুরের আস্তানায় হতাহত ও পালিয়ে যাওয়া জঙ্গীদের। পরিকল্পনা সফল হলে বাংলাদেশে এটিই হতো সবচেয়ে বড় জঙ্গী হামলার ঘটনা। গুলশানের চেয়েও বড় ঘটনা ঘটিয়ে সারা পৃথিবীতে হৈচৈ ফেলে দিতেই এমন পরিকল্পনা ছিল জঙ্গীদের। তারই অংশ হিসেবে টার্গেটকৃত ডিন কেজি ইন্টারন্যাশনাল নামের ওই স্কুলটির পাশেই আস্তানা গেড়েছিল জঙ্গীরা। স্কুল থেকে আস্তানার দূরত্ব মাত্র এক থেকে দেড় শ’ গজ। সুরক্ষিত স্কুলটির সবাইকে জিম্মির পর হত্যা করে বাংলাদেশে আইএসের অস্তিত্ব রয়েছে বলে বিশ্বকে জানান দেয়াই ছিল জঙ্গী ও তাদের মদদদাতাদের মূল উদ্দেশ্য। এদিকে কল্যাণপুরের ঘটনায় আহত অবস্থায় গ্রেফতারকৃত হাসানসহ ১০ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। এছাড়াও সন্দেহভাজন হিসেবে বাড়ির মালিক, তার ছেলে, বাড়ির ম্যানেজার ও কেয়ারটেকারসহ ৫ জনকে আটক রাখা হয়েছে। বাড়ির মালিক মমতাজ বেগমকে দুই দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। জঙ্গীরা ৫১ পরিবারকে আর্থিক সহায়তা করছে বলে জানিয়েছেন ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার মনিরুল ইসলাম। সংশ্লিষ্ট সূত্রে আরও জানা গেছে, গত ১ জুলাই গুলশানে হলি আর্টিজান বেকারি ও রেস্তরাঁয় দুই পুলিশ কর্মকর্তা ও ১৭ জন বিদেশীসহ মোট ২২ জনকে হত্যা করে ৬ জঙ্গী। সাইট ইন্টেলিজেন্সের মাধ্যমে হত্যার দায় স্বীকার করে আইএসের নামে বিবৃতি প্রকাশিত হয়। এমন ঘটনার পর বাংলাদেশে আইএসের অস্তিত্ব রয়েছে বলে নানাভাবে আলোচনা চলতে থাকে। সেই আলোচনা আরও পাকাপোক্ত করতে এবং বাংলাদেশে যে আইএসের তৎপরতা রয়েছে তা জানান দিতে নতুন করে পরিকল্পনা শুরু হয়। সেই পরিকল্পনার অংশ হিসেবে গুলশানের চেয়েও বড় ঘটনা ঘটানোর প্রস্তুতি চলে। পরিকল্পনার অংশ হিসেবে শুরু হয় তৎপরতা। তৎপরতার অংশ হিসেবে কল্যাণপুরের ৫ নম্বর সড়কে অবস্থিত সুরক্ষিত ডিন কেজি ইন্টারন্যাশনাল স্কুলটিকে টার্গেট করা হয়। মূলত পাকিস্তানের একটি স্কুলে শিক্ষক শিক্ষার্থীদের জিম্মির পর সবাইকে হত্যা করার ঘটনার আদলেই ছক সাজানো হয়। প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালে পাকিস্তানের পাখতুন খোওয়া প্রদেশে সেদেশের সেনাবাহিনী পরিচালিত একটি স্কুলের সবাইকে জিম্মি করে জঙ্গীরা। জিম্মির পর স্কুলটির আট শিক্ষককে পুড়িয়ে হত্যা করে। আর এ দৃশ্য শিক্ষার্থীদের দেখতে বাধ্য করে জঙ্গীরা। এমন দৃশ্য দেখার পর স্কুলটির ৪১ জন ক্ষুদে শিক্ষার্থীকে নির্মমভাবে ব্রাশফায়ারে হত্যা করে। এমন ঘটনা সারা পৃথিবীতে তোলপাড় সৃষ্টি করে। এ ঘটনার পর পাকিস্তানে সাঁড়াশি অভিযান শুরু করে সেদেশের সব বাহিনী। গত বছরের ৮ জানুয়ারি সেই সাঁড়াশি অভিযানে পাকিস্তানের ওয়াজিরিস্তানের একটি জঙ্গী ক্যাম্পে নিহত হয় বাংলাদেশের জেএমবির আমির জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় শূরা কমিটির সাবেক সদস্য মুফতি মাওলানা সাইদুর রহমান জাফরের মেয়ের জামাই ইজাজ ওরফে কারগিলসহ চার বাংলাদেশী জঙ্গী। নিহতরা জেএমবির সদস্য। তারা সবাই এক সময় ছাত্র শিবিরের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিল। ইজাজ ওরফে কারগিল ঢাকার মহাখালী সরকারী তিতুমীর কলেজে ছাত্রশিবিরের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। তিনি ২০০২ সালে বাংলাদেশে আসা জামায়াতুল মুসলিমিনের আন্তর্জাতিক আমির জর্দানী বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ নাগরিক শেখ আবু ইসা আলী আররিফাই আল হাশেমী আল কোরাইশি-ই- আবু ইসার মাধ্যমে জঙ্গীবাদে উদ্ধুদ্ধ হন। আবু ইসা আলোচিত নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশের একটি দোতলা বাড়ি ভাড়া নিয়ে জঙ্গী কার্যক্রম শুরু করেছিলেন। পরবর্তীতে তিনি ব্রিটেনে ফিরে গিয়ে জঙ্গীবাদে জড়িত থাকার দায়ে গ্রেফতার হন। আবু ইসার কাছ থেকে দীক্ষা নেয়ার পর ইজাজ ২০০৬ সালে জেএমবিতে যোগ দিয়েছিলেন। তিনি একই সঙ্গে জেএমবি ও আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের হয়ে কাজ করছিলেন। ইজাজ বাংলাদেশে থাকা অবস্থায় জামা’আতুল মুসলিমিন বাংলাদেশ শাখার আমির ছিলেন। ২০০৮ সালে তিনি পাকিস্তান গিয়ে আন্তর্জাতিক জঙ্গী সংগঠন আল কায়েদায় যোগ দেন। ইজাজের হাত ধরেই বাংলাদেশে আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের গোড়াপত্তন হয়। ইজাজের মতাদর্শে বিশ্বাসী হয়ে ২০০৮ সালে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র তেহজীব করিম, রেজওয়ান শরীফ, মইনউদ্দিন ইয়েমেনে গমন করে। তারা আল কায়েদা নেতা আনোয়ার আল আওলাকির ঘনিষ্ঠ সহযোগী সামির খানের সঙ্গে যোগাযোগ করে। সেখানে জঙ্গী প্রশিক্ষণ নেয়ার সময় ২০০৯ সালে রেজোয়ান শরিফ ইয়েমেনে গ্রেফতার হয়। রাজীব ইংল্যান্ডে ব্রিটিশ এয়ারলাইন্স উড়িয়ে দেয়ার চেষ্টার দায়ে গ্রেফতার হয়ে ২০ বছরের সাজাপ্রাপ্ত হয়। আর নাফিস যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক উড়িয়ে দেয়ার ষড়যন্ত্রে জড়িত থাকার দায়ে গ্রেফতার হয়ে ৩০ বছরের সাজাপ্রাপ্ত হয়। সূত্র বলছে, পাকিস্তানের স্কুলের ঘটনাকে সামনে রেখে বাংলাদেশেও সেই আদলে জিম্মির পর হত্যার পরিকল্পনা ছিল। অন্যান্য গুপ্তহত্যায় চার থেকে ৫ জন করে সাধারণত অংশ নেয়ার প্রমাণ মিলেছে। যেহেতু একটি স্কুলের সবাইকে জিম্মি করা হবে, তাই দলটি বড় করা হয়েছিল। মোট ১৭ জন জঙ্গীর সমন্বয়ে দলটি গঠন করা হয়েছিল। এরমধ্যে ১১ জন জঙ্গী বাড়িটির পঞ্চম তলায় অবস্থান করছিল। বাকিদের মধ্যে অন্তত ৬ জন ছয়তলার একটি ফ্ল্যাটে অবস্থান করছিল। ছয়তলায় বসবাসকারীদের সবাই কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। তাদের আটক করার তথ্য জানা গেলেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তরফ থেকে তা নিশ্চিত করা হয়নি। ডিএমপির মিরপুর বিভাগের উপকমিশনার মাসুদ আহমেদ জানান, অনেককেই জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এদিকে কল্যাণপুরের ঘটনায় দশ জনকে আসামি করে মিরপুর মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোঃ শাহজালাল আলম বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় আহত অবস্থায় গ্রেফতারকৃত রিগ্যান ছাড়াও আসামি করা হয়েছে নয় জনকে। এরা হচ্ছে, পালিয়ে যাওয়া জঙ্গী ইশবাল, তামিম চৌধুরী, রিপন, খালিদ, মামুন, মানিক, জোনায়েদ খান, বাদল ও আজাদুল ওরফে কবিরাজ নামের নয় জনকে। এসব নাম ছদ্মনাম হওয়ার সম্ভাবনা বেশি বলে তদন্তকারীরা বলছেন। তদন্তকারী সূত্রে জানা গেছে, আটককৃতদের মধ্যে ৫ জনকে রেখে সবাইকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। আটককৃত অবস্থায় রয়েছেন বাড়িটির মালিক সাবেক কাস্টমস কর্মকর্তা হাজী আতাহার উদ্দিন আহমেদের স্ত্রী মমতাজ বেগম। মমতাজ বেগমের বাড়ি ঢাকায়। আর আতাহার উদ্দিন আহমেদের বাড়ি বরগুনা জেলার আমতলী থানাধীন উত্তরতক্তা গ্রামে। অন্যদের মধ্যে রয়েছেন মমতাজ বেগমের ছেলে ব্যারিস্টার মাজহারুল ইসলাম জুয়েল। মেয়ের জামাই মাহফুজুল আনফাল, পিতা হাজী মফিজুল হক, বাসা রাজধানীর দক্ষিণখান থানাধীন আনাল মসজিদ সংলগ্ন ১৪৩১/১ নম্বরে। বাড়ির ম্যানেজার মমিন উদ্দিন। যিনি মূলত বাড়ির মালিকের ভাগ্নে বলে জানা গেছে। মমিনের পিতার নাম হাজী নাসির উদ্দিন। বাড়ি উত্তরতক্তা, বরগুনায়। বাড়ির কেয়ারটেকার জাকির হোসেন। পিতা মজিদ মল্লিক। বাড়ি বরগুনা জেলার আমতলী থানার মহিষভাঙ্গা গ্রামে। মিরপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বলছেন, অভিযানকালে জঙ্গীরা তাদের লক্ষ্য করে গ্রেনেড হামলা করছিল। পুলিশও পাল্টা গুলি চালাচ্ছিল। ফজরের নামাজের আজানের পর জঙ্গীরা জামায়াতে নামাজ আদায় করে। এরপর শুরু হয় আবার গোলাগুলি। জঙ্গীরা আল্লাহু আকবর বলে ধ্বনি দিচ্ছিল। তারা অকথ্য ভাষায় পুলিশকে গালিগালাজ করছিল। পুলিশ শেখ হাসিনার চামচা বলে গালিগালাজ করছিল। তবে কৌশলগত কারণে পুলিশ কোন উত্তর দেয়নি। নামাজ আদায়ের পর আবার গোলাগুলি শুরু হলে জঙ্গীরা প্রচুর টাকা ও কাগজপত্র পোড়াতে থাকে রুমের মধ্যে। ধারণা করা হচ্ছে, খুবই গুরুত্বপূর্ণ কোন দলিল তারা পুড়িয়ে দিয়েছে। পুড়িয়ে ফেলা কাগজপত্র সম্পকেী আহত অবস্থায় গ্রেফতারকৃত রিগ্যান গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিতে পারে। তদন্ত সংশ্লিষ্ট একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, বাড়ির মালিক আতাহার উদ্দিন আহমেদ জামায়াত নেতা। পুরো পরিবারই জামায়াতে ইসলামীর রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। দীর্ঘ দিন ধরেই বাড়িটি জামায়াত-শিবিরের আস্তানা হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছিল। মমতাজ বেগম নিহত ও পালিয়ে যাওয়া জঙ্গীর কোন প্রকার পরিচয় না রেখেই তাদের কাছে বাড়িটি ভাড়া দিয়েছিলেন। এদিকে বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর পুলিশের কাউন্টার টেররিজম এ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের প্রধান অতিরিক্ত কমিশনার মনিরুল ইসলাম এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, নিহত জঙ্গীদের মধ্যে রায়হান কবির ওরফে তারেক নিষিদ্ধ জঙ্গী সংগঠন জেএমবির ঢাকা অঞ্চলের সমন্বয়েকের দায়িত্ব পালন করছিল। গুলশান হামলায় অংশ নেয়া জঙ্গীদের গাইবান্ধার চরে প্রশিক্ষণ দিয়েছিল তারেক। গত বছরের ৪ নবেম্বর আশুলিয়ার বারুইপাড়া পুলিশ চেকপোস্টে তল্লাশির সময় ছুরিকাঘাতে কনস্টেবল হত্যার ঘটনায়ও রংপুরের পীরগাছার শাহজাহান কবিরের ছেলে রায়হান জড়িত। চলতি বছরের প্রথম দিকে জেএমবির কয়েকজন সংগঠক পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হওয়ার পর থেকেই সংগঠনটির ঢাকা অঞ্চলের সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করছিল রায়হান ওরফে তারেক। মনিরুল ইসলাম আরও জানান, গত ২১ জুলাই হুজির ঢাকা মহানগরীর কমান্ডার মাওলানা মোঃ নাজিমুদ্দীন শামীমসহ তিন সক্রিয় সদস্য গ্রেফতার হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানায়, হুজি ঢাকা মহানগরীর সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ সাইফুল্লাহ ওরফে সগির বিন এমদাদ। খালেদ সাইফুল্লাহর বাংলাবাজারে মাকতাবাবুল কোরান নামে একটি নিজস্ব প্রকাশনা রয়েছে। ওই প্রকশানীর মাধ্যমে সে উগ্রপন্থী বই প্রকাশ ও প্রচার করে হুজির সাংগঠনিক কার্যক্রম বৃদ্ধির চেষ্টা করছে। ওই প্রকাশনা থেকে ৫ হাজার জিহাদী বই জব্দ হয়েছে। খালেদ বর্তমানে মালয়েশিয়ায় রয়েছে। তিনি মিরপুর এলাকার একটি মসজিদের ঈমাম ছিলেন। হুজি সদস্যরা ধর্মের কথা বলে বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান থেকে টাকা নিত। সেই টাকায় তারা সংগঠনের কার্যক্রম চালানোর পাশাপাশি ৫১টি হুজি পরিবারকে আর্থিক সহায়তা করত। কল্যাণপুরের জঙ্গীদেরও মাস্টারমাইন্ড নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক হাসনাত করিম কিনা সে বিষয়ে অনুসন্ধান চলছে। সরেজমিনে তাজ মঞ্জিলে গিয়ে দেখা গেছে, বাড়িটি তালাবদ্ধ। বাড়ির বাসিন্দারা অন্যত্র চলে গেছেন। বাড়ির সামনে পুলিশ পাহারা বসানো রয়েছে। কবে নাগাদ বাড়িটি খুলে দেয়া হবে সে বিষয়ে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কোন সিদ্ধান্ত হয়নি। কল্যাণপুরে অভিযান ১৯ সেপ্টেম্বরের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দিতে আদালতের নির্দেশ ॥ কোর্ট রিপোর্টার জানান, কল্যাণপুরে আভিযানে নিহত ও আহত জঙ্গীদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে দায়ের করা মামলায় আগামী ১৯ সেপ্টেম্বরের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দিতে বলেছে আদালত। বুধবার রাতে মিরপুর মডেল থানার পরিদর্শক মোঃ শাহজাহান আলম বাদী হয়ে সন্ত্রাসবিরোধী আইনের ৬(২), ৮, ৯, ১০, ১২ ও ১৩ ধারায় এই মামলা করেছিলেন। বৃহস্পতিবার মামলার এজাহার ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে পৌঁছানোর পর মহানগর হাকিম মোঃ সাজ্জাদুর রহমান পুলিশ প্রতিবেদন দেয়ার তারিখ ঠিক করে দেন।
×