ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

যে কোন মূল্যে দেশ থেকে সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদ নির্মূল করতে হবে ॥ রাষ্ট্রপতি

প্রকাশিত: ০৮:১৪, ২৮ জুলাই ২০১৬

যে কোন মূল্যে দেশ থেকে সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদ নির্মূল করতে হবে ॥ রাষ্ট্রপতি

রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ দেশের মাটি থেকে যে কোন মূল্যে সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদ নির্মূল করতে বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসকদের আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, ধর্ম নিরপেক্ষতা ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত বাংলাদেশ। কিছু ধর্মান্ধ, বিপথগামী ও সন্ত্রাসী এ দেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও স্থিতিশীলতা বিনষ্ট এবং দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত করার অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে। তিনি বলেন, সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদ বর্তমানে বিশ্বশান্তির জন্য মারাত্মক হুমকি। সম্প্রতি গুলশান ও শোলাকিয়ায় সন্ত্রাসী হামলা দেশের জনগণকে ভাবিয়ে তুলেছে। সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদের ব্যাপারে সরকারের স্পষ্ট ও সুদৃঢ় অবস্থান হচ্ছে জিরো টলারেন্স। আপনাদের এ নীতির আলোকেই সর্বাত্মক পদক্ষেপ নিতে হবে। তিনি বলেন, বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অংশ নিতে জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন সফরে যাবেন তখন সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদের কুফল এবং এর পরিণতি সম্পর্কে জনগণকে আপনারা অবহিত করবেন। যুবসমাজ ও কোমলমতি ছাত্র-ছাত্রীরা যাতে এসব অপকর্ম থেকে দূরে থাকে সে ব্যাপারে তাদের উদ্বুদ্ধ করবেন। প্রয়োজনে এ ব্যাপারে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও অভিভাবকদের সম্পৃক্ত করবেন। রাষ্ট্রপতি বুধবার ঢাকায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় ভাষণকালে এ আহ্বান জানান। খবর বাসস’র। অনাবশ্যক আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় জনগণ যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয় তা নিশ্চিত এবং সকল প্রকার ভয়ভীতি, অনুরাগ বা বিরাগ, তোষণ ও স্বজনপ্রীতির উর্ধে উঠে দায়িত্ব পালন করতে ডিসিদের আহ্বান জানিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, সেবা পাওয়ার ক্ষেত্রে নানা জটিলতা ও দীর্ঘসূত্রতার কারণে সরকারী প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে এখনও জনগণের মাঝে নেতিবাচক ধারণা কাজ করে। সেবা প্রদানে অহেতুক বিলম্ব পরিহার করতে হবে। তিনি বলেন, গণতন্ত্র ও সুশাসন প্রতিষ্ঠায় দক্ষ, জ্ঞাননির্ভর ও আলোকিত জনপ্রশাসন খুবই জরুরী। প্রশাসনের প্রতিটি কাজে নিরপেক্ষতা, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে। রাষ্ট্রপতি আশা প্রকাশ করে বলেন, জেলা প্রশাসকদের দায়িত্ব পালনকালে সরকারী আইন, বিধি-বিধান ও জনস্বার্থকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেবেন। তাদের সুযোগ্য নেতৃত্ব মাঠপর্যায়ের অন্যান্য কর্মকর্তাদের অনুপ্রাণিত করবে এবং সরকারী কর্মসূচীর সফল বাস্তবায়ন ত্বরান্বিত হবে। নিজেরা আইন মেনে কাজ করবেন এবং অন্যরাও যাতে আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয় সে ব্যাপারে সচেষ্ট থাকবেন। মনে রাখতে হবে ‘মানুষের জন্য আইন, আইনের জন্য মানুষ নয়’।
×