ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

আশঙ্কা থাকলেও গ্লাক্সো বিনিয়োগ বাড়াবে

প্রকাশিত: ০৬:২১, ২৮ জুলাই ২০১৬

আশঙ্কা থাকলেও গ্লাক্সো বিনিয়োগ বাড়াবে

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে ব্রিটেনের বের হয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্তে (ব্রেক্সিট) বিশ্ব অর্থনীতিতে বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে বলে আশঙ্কা করেছেন অর্থনীতিবিদরা। বিশ্বব্যাংক, আইএমএফ থেকে শুরু করে অধিকাংশ আন্তর্জাতিক সংস্থা ও রাজনীতিবিদরা বলছেন, ব্রিটেনের এমন সিদ্ধান্তে দেশটির অর্থনীতিতে ধাক্কা লাগতে পারে। তবে এ ধরনের আশঙ্কাকে কোন গুরুত্ব দিচ্ছে না ওষুধ কোম্পানি গ্ল্যাক্সোস্মিথক্লাইন (জিএসকে)। কোম্পানিটি এই ব্রিটেনকেই তাদের চাঙ্গা হওয়ার ঢাল হিসেবে দেখছে। ব্রেক্সিট সত্ত্বেও দেশটিতে বিনিয়োগ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে গ্ল্যাক্সো। সব পরিকল্পনা ঠিক থাকলে এখানেই উৎপাদন খাতে কোম্পানিটির আরও সাড়ে ২৭ কোটি পাউন্ড বিনিয়োগ হবে। খবর বিবিসি। গ্ল্যাক্সোর প্রধান নির্বাহী এ্যান্ড্র উইটি জানিয়েছেন, ব্রিটেনের পরিবেশ ও কর পলিসিই তাদের এ সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষেত্রে উৎসাহ যুগিয়েছে। নতুন বিনিয়োগের ভিত্তিতে উৎপাদনশীল পণ্য রফতানি করা হবে। এর ফলে এখানে নতুন কর্মসংস্থানও তৈরি হবে বলে আশা করছে ব্রিটেনের সবচেয়ে বড় ওষুধ প্রস্তুতকারক এই কোম্পানিটি। ব্রিটেনে কোম্পানিটির এখন কর্মী রয়েছে ১৬ হাজার; যার মধ্যে ৬ হাজার সরাসরি উৎপাদনের সঙ্গে জড়িত। তবে ২৩ জুন অনুষ্ঠিত গণভোটের গণরায়ে এ্যাস্ট্রাজেনেকা ও গ্ল্যাক্সোর মতো ওষুধ কোম্পানিগুলো তাদের প্রধান কার্যালয় সরাতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। উইটি এর আগে বলেছিলেন, ব্রিটেন ইইউ থেকে বের হওয়ার সিদ্ধান্ত নিলে তা অর্থনীতিতে অনিশ্চয়তা তৈরি করবে; যা হবে ব্রিটেনের জন্য ভুল সিদ্ধান্ত। এর ফলে দেশটির স্বাস্থ্য খাতেও জটিলতা তৈরি হতে পারে। বাংলাদেশের বাজারেও ব্যবসা রয়েছে জিএসকের। কোম্পানিটি বাংলাদেশের পুঁজিবাজারে ১৯৭৬ সালে তালিকাভুক্ত হয়। কোম্পানিটির ৮১.৯৮ শতাংশ শেয়ার উদ্যোক্তা ও পরিচালকের কাছে, ১৭.০৭ শতাংশ শেয়ার প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীর কাছে এবং ০.৯৫ শতাংশ শেয়ার সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে রয়েছে। তবে ব্রিটেনে কোম্পানিটির নতুন বিনিয়োগের উদ্যোগ বা প্রধান কার্যালয় সরিয়ে নেয়ার মতো পরিকল্পনা বাংলাদেশের বাজারে প্রভাব ফেলবে কি- না তা আপাতত বলা যাচ্ছে। তবে বাংলাদেশে তালিকাভুক্ত কোম্পানিটি সমাপ্ত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। এতে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় আগের তুলনায় কমেছে। সমাপ্ত অর্থবছরে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় দাঁড়িয়েছে ৪.৭৬ টাকা, যা আগের বছরে একই সময়ে ছিল ১২.২৯ টাকা। একইভাবে গত ছয় মাসে অর্থাৎ অর্ধবার্ষিকীতে কোম্পানিটির ইপিএস দাঁড়িয়েছে ২৫.৩২ টাকা, যা আগে ছি ৩০.৮৩ টাকা। ঢাকা স্টক একচেঞ্জে বুধবারে মোট ২০ লাখ টাকার ১ হাজার ২৫৭টি শেয়ার লেনদেন হয়েছে। সারাদিনে কোম্পানিটির শেয়ারের দর ১ হাজার ৬২২ টাকা থেকে ১ হাজার ৬৩৬ টাকায় ওঠানামা করে। আগের দিনে কোম্পানিটির প্রতিটি শেয়ারে দর কমেছে ১৩.৯০ টাকা।
×