ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

নিহত আট জঙ্গীর পরিচয় মিলেছে

প্রকাশিত: ০৫:৫১, ২৮ জুলাই ২০১৬

নিহত আট জঙ্গীর পরিচয় মিলেছে

গাফফার খান চৌধুরী ॥ রাজধানীর কল্যাণপুরে জঙ্গী আস্তানায় হতাহত ও পালিয়ে যাওয়া এক জঙ্গী ছাত্র শিবিরের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিল। নিহত ৯ জঙ্গীর মধ্যে আটজনের পরিচয় মিলেছে। তবে ডিএমপির তরফ থেকে জাতীয় পরিচয়পত্র যাচাই করে সাতজনের পরিচয় নিশ্চিত করেছে। আর পালিয়ে যাওয়া জঙ্গী সম্পর্কেও বিস্তারিত তথ্য পাওয়া গেছে। যে কোন সময় গ্রেফতার হতে পারে পালিয়ে যাওয়া জঙ্গী ইকবাল। গুলশানের চেয়েও ভয়াবহ ঘটনা ঘটাতে নির্দেশ ছিল কল্যাণপুরের আস্তানায় বসবাসকারী জঙ্গীদের ওপর। নিহত ও আহত জঙ্গীদের আঙ্গুলের ছাপ নেয়া হয়েছে। এছাড়া তাদের ডিএনএ পরীক্ষার আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে। তদন্ত সংশ্লিষ্ট সূত্রে আরও জানা গেছে, কল্যাণপুরের অভিযানে নিহত ৯ জঙ্গীর মধ্যে সাতজনের পরিচয় মিলেছে। মোঃ জোবায়ের হোসেন ॥ পিতা: আব্দুল কাইয়ূম। মাতা: আয়েরা বেগম। গ্রাম: পশ্চিম মাইজদী। আব্দুল্লাহ মেম্বারের বাড়ি। থানা: সুধারাম, জেলা: নোয়াখালী। জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর-৭৫০৯৮১০০০৪৭৯, জন্ম তারিখ: ০১-০১-১৯৯৬ ইং। তদন্ত সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, জুবায়ের হোসেন ছাত্র শিবিরের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিল। নোয়াখালী সরকারী বিশ্ববিদ্যালয় কলেজে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অনার্সের ছাত্র ছিল। জুবায়েরের পিতা জানান, গত ৪ মে থেকে জুবায়ের নিখোঁজ ছিল। স্থানীয়ভাবে তার ছেলে শিবিরের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিল। বুধবার বিভিন্ন গণমাধ্যমে ছবি দেখে তারা জুবায়েরকে চিনতে পারে। জুবায়েরের চাচাত ভাই বাহাদুরও জামায়াতে ইসলামের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। বাহাদুরের হাত ধরে জুবায়ের ঢাকায় গিয়ে জঙ্গী হয়। জুবায়েরের ভগ্নিপতির দাবি, বাহাদুর দীর্ঘদিন থেকে নিখোঁজ। বাহাদুরের মাধ্যমে জুবায়ের জঙ্গী হয়ে ওঠে। জুবায়ের স্কুলজীবন থেকেই শিবির করত। একবার তাকে তবলীগ জামাতে পাঠানো হয়েছিল। সে তবলীগ থেকে এসেও শিবিরের রাজনীতি ছাড়েনি। ঘটনা জানতে নোয়াখালীর সুধারাম থানা পুলিশ জুবায়ের ও নিখোঁজ বাহাদুরের পরিবারের স্বজনদের জিজ্ঞাসাবাদ করে। জুবায়ের নিখোঁজের পর তার পরিবারের পক্ষ থেকে গত ১২ জুলাই সুধারাম থানায় জিডি করা হয়েছে বলে জানায় পুলিশ। নিখোঁজ বাহাদুরের শ্বশুর নুরুল আমিন জানান, তার জামাতা সৌদি আরব থেকে দেশে ফেরার পর স্থানীয়ভাবে জামায়াতের রাজনীতির সঙ্গে যোগ দেয়। বিভিন্ন সময়ে সে বাড়িতে যুদ্ধাপরাধী জামায়াত নেতা সাঈদীর ওয়াজের ক্যাসেট শুনত। আর বাড়ির যারা আওয়ামী লীগ করত তাদের কাফের বলত। সাব্বিরুল হক ॥ নিহতদের মধ্যে একজন সাব্বিরুল হক কনিক। পিতা আজিজুল হক চৌধুরী রাশেদ। কনিকের পিতা চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার বরুমছড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদ্য বিদায়ী সভাপতি। বর্তমানে তিনি চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনে কর্মরত। সাব্বিরের চাচা প্রয়াত মোজাম্মেল হক চৌধুরী বাবুলও একই ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন। সাব্বিরের পরিবার চট্টগ্রাম শহরের রাহাত্তারপুল এলাকায় বসবাস করে। নিহত জঙ্গীদের ছবি প্রকাশের পর ছেলেকে শনাক্ত করে পরিবার। সাব্বির প্রায় ছয় মাস ধরে নিখোঁজ ছিল। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াকালীন সীতাকু-ের কুমিরা ক্যাম্পাসের আবাসিক হোস্টেলে থাকত। তবলীগের কথা বলে মাঝে মধ্যে বেশ কয়েকদিনের জন্য উধাও হয়ে যেত সে। বছরখানেক আগে একবার তিনমাসের জন্য নিরুদ্দেশ ছিল। সর্বশেষ গত চার মাস আগে রাউজানে এক বিয়েতে যাওয়ার কথা বলে বাবার কাছ থেকে পাঁচ শ’ টাকা নিয়ে বের হয় সাব্বির। এরপর থেকেই নিখোঁজ ছিল। সাব্বিরুল হক চট্টগ্রাম নগরীর চকবাজারের আন্তর্জাতিক ইসলামিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ছিল। ২০১০ সালে সরকারী মুসলিম উচ্চ বিদ্যালয় থেকে গোল্ডেন জিপিএ ৫ পেয়ে মাধ্যমিক পাস করে। ২০১২ সালে চট্টগ্রাম সরকারী কমার্স কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করে। চট্টগ্রাম ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইকনোমিকস এ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের ছাত্র। শিবির নিয়ন্ত্রিত কোচিং সেন্টারে গিয়েই সাব্বির জঙ্গী হয়। ছেলের জঙ্গী হওয়ার লজ্জায় পরিবারের তরফ থেকে সাব্বিরের নিখোঁজের বিষয়ে কোন জিডি করা হয়নি। যুক্তরাষ্ট্রের পাসপোর্টধারী শেহজাদ নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ॥ নিহত জঙ্গীদের আরেকজন শেহজাদ রউফ। তার পিতার নাম তৌহিদ রউফ। ৬২ পার্ক রোড, বাসা নং-৩০৪, রোড নং-১০, ব্লক-সি, ফ্ল্যাট নং-৯, বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা, থানা-ভাটারা, ঢাকা। পাসপোর্ট নং- ৪৭৬১৪৫৯৯২। জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর-২৬২১৮৬০০০৫৩৬। জন্ম তারিখঃ ০৬-০২-১৯৯২ ইং। সে বেসরকারী নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের এমবিএর শিক্ষার্থী ছিল। সর্বশেষ র‌্যাব ৬৮ জনের নিখোঁজের যে তালিকা প্রকাশ করেছে, সেই তালিকায় শেহজাদ দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। শেহজাদ রউফ অর্ক যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক। বুধবার দুপুরে ঢাকায় মার্কিন দূতাবাসের এক কর্মকর্তার উপস্থিতিতে পরিবারের সদস্যরা অর্ককে শনাক্ত করেন। তার পাসপোর্ট নম্বর ৪৭৬১৪৫৯৯২। শেহজাদ রউফ নিখোঁজের বিষয়ে চলতি বছরের ৬ ফেব্রুয়ারি ভাটারা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি হয়। জিডি নম্বর ৩৯২। আব্দুল্লাহ ॥ পিতা: মোঃ সোহরাব আলী। মাতা: মোসাঃ মোসলেমা খাতুন। গ্রাম: বল্লভপুর, থানা: নবাবগঞ্জ, জেলা: দিনাজপুর, জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর-২৭২০৪৯০০০০৩০, জন্ম তারিখ: ১৫-০১-১৯৯৩ ইং। আবু হাকিম নাইম ॥ পিতা: নুরুল ইসলাম। মাতা: মোছাঃ হালিমা। গ্রাম: কুয়াকাটা। থানা: কলাপাড়া জেলা: পটুয়াখালী। জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর-৭৮১১০৩০০০৩৬৯। জন্ম তারিখ: ১৫-০১-১৯৮৩ ইং। তাজ-উল-হক রাশিক ॥ পিতা: রবিউল হক। মাতা: জাহানারা বেগম। ওয়ার্ড নং-১৫; বাসা-৭২, রোড- ১১/এ, ধানম-ি, ঢাকা। জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর-২৬১৩৫০০০০৩৯৭। জন্ম তারিখ: ০৫-১২-১৯৯১ইং। আকিফুজ্জামান খান ॥ পিত: সাইফুজ্জামান খান। মাতা: শাহানাজ নাহার। বাসা- ২৫, রোড- ১০, গুলশান, ঢাকা। জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর-২৬১১০৬০০১০০৬। জন্ম তারিখ: ১১-০৯-১৯৯২ ইং। মোঃ মতিয়ার রহমান ॥ পিতা: নাসির উদ্দিন সরদার। মাতা: মোসাঃ খাইরুন্নেসা। গ্রাম: ওমরপুর। থানা: তালা, জেলা: সাতক্ষীরা। জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর-৮৭০১৮১০০০০০৩। জন্ম তারিখ: ০১-০১-১৯৯২ইং। পালিয়ে যাওয়া জঙ্গীর পরিচয় মিলেছে ॥ অভিযানকালে আস্তানা থেকে ব্যাগসহ দুই জঙ্গী পাশের একটি টিনশেড বাড়ির ওপর লাফিয়ে পড়ে। এ সময় অভিযানের মধ্যেও এক জঙ্গী পালিয়ে যায়। তদন্ত সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, পালিয়ে যাওয়া ওই জঙ্গীর নাম ইকবাল বলে জানা গেছে। যে কোন সময় সে গ্রেফতার হতে পারে। তাকে গ্রেফতার করতে সব ধরনের তৎপরতা অব্যাহত আছে। আহত রাকিবুল হাসান রিগ্যানও শিবিরের কর্মী ছিল ॥ কল্যাণপুরে জঙ্গী আস্তানায় পুলিশের হাতে আটক বগুড়ার জঙ্গী রাকিবুল হাসান রিগ্যানও শিবির নিয়ন্ত্রিত রেটিনা কোচিং সেন্টার বগুড়া শাখার ছাত্র ছিল। মঙ্গলবার রাতে এমন খবর প্রকাশের পর শতাধিক লোক লাঠিসোটা নিয়ে শহরের রিয়াজ কাজী লেনে অবস্থিত রেটিনা ও ফোকাস কোচিং সেন্টারে হামলা চালায়। তারা ওই ভবনের কলাপসিবল গেট ভাঙচুরের পর সেখানে অগ্নিসংযোগও করে। এরপর তারা আলতাফুন্নেছা খেলার মাঠসংলগ্ন রেটিনা ও ফোকাস কোচিং সেন্টারের অপর অফিসে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। তদন্ত সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, কল্যাণপুরের জঙ্গী আস্তানায় নিহত ৯ জঙ্গী, আহত এক জঙ্গী এবং পালিয়ে যাওয়া এক জঙ্গী ইকবালÑ সবাই ছাত্র শিবিরের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিল। গুলশানে হামলার পর তাদের আরও বড় ধরনের নাশকতা চালাতে নির্দেশ দেয় দলের হাইকমান্ড। হাইকমান্ডের নির্দেশে তারা সেখানে অবস্থান করছিল। গুলশানের চেয়েও বড় ধরনের নাশকতা চালিয়ে তাদের সারা দুনিয়ায় হৈচৈ ফেলে দেয়ার পরিকল্পনা ছিল। এর পাশাপাশি তাদের চোরাগোপ্তা হামলার অংশ হিসেবে বাংলাদেশে বসবাসকারী গুরুত্বপূর্ণ কোন বিদেশী এবং রাষ্ট্রের কোন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিকে হত্যার টার্গেট ছিল। একজন উর্ধতন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, আহত অবস্থায় গ্রেফতারকৃত রিগ্যান রাজধানীর মিরপুরে জঙ্গী আস্তানা থেকে পালিয়ে যাওয়া জঙ্গীদের একজন। কল্যাণপুরের অভিযানে নিহতদের অনেকেই মিরপুরের জেএমবির আস্তানায় ট্রেনিং করেছে। নিহতদের মধ্যে অর্কও মিরপুরের জঙ্গী আস্তানা থেকে পালিয়ে গিয়েছিল। ইতোপূর্বে মোহাম্মদপুরের শুদ্ধস্বর প্রকাশনীতে হামলার ঘটনায় গ্রেফতারকৃত শিহাবও মিরপুরের জঙ্গী আস্তানা থেকে পালিয়ে ছিল। এরা সবাই উত্তরবঙ্গকেন্দ্রিক জেএমবির সঙ্গে জড়িত। এ ব্যাপারে পুলিশ সদর দফতরের গোপনীয় শাখার সহকারী মহাপুলিশ পরিদর্শক মোহাম্মদ মনিরুজ্জামানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, শুধু কল্যাণপুর নয়, জঙ্গীদের সম্পর্কে অনেক পিলে চমকানোর মতো তথ্য পাওয়া গেছে। সে মোতাবেক কাজ চলছে। পুলিশ মহাপরিদর্শক একেএম শহীদুল হক জঙ্গীবাদের বিষয়ে কোন প্রকার ছাড় না দেয়ার কড়া নির্দেশ জারি করেছেন পুলিশের প্রতিটি ইউনিটে। আইজিপি নিজেই পুলিশের জঙ্গী মনিটরিংয়ের বিষয়টি সরাসরি দেখভাল করছেন। ঢাকা মহানগর পুলিশের মিডিয়া বিভাগের উপকমিশনার মাসুদুর রহমান জানান, নিহত ও আহত জঙ্গীদের আঙ্গুলের ছাপ নেয়া হয়েছে। হতাহতদের আঙ্গুলের ছাপ সংরক্ষণ করা হয়েছে। নিহত ৯ জনের এবং আহত একজনের জাতীয় পরিচয়পত্র আছে কিনা সে বিষয়ে তদন্ত চলছে। যাদের জাতীয় পরিচয়পত্র রয়েছে, সেই পরিচয়পত্রে থাকা আঙ্গুলের ছাপের সঙ্গে সদ্য নেয়া আঙ্গুলের ছাপ মিলিয়ে দেখা হবে। এছাড়া নিহতদের ডিএনএ পরীক্ষার আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে। নিহতদের পরিবার যদি লাশ নিতে চায়, তাহলে তাদের ঢাকা মহানগর পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে। এছাড়া নিখোঁজদের পরিবারও ইচ্ছে করলে নিহতদের লাশ দেখে তাদের পরিবারের সদস্য কিনা তা শনাক্ত করতে পারেন। অনেক পরিবারই তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। তবে তদন্তের স্বার্থে সেই সব পরিবারের পরিচয় প্রকাশ করতে তিনি অপারগতা প্রকাশ করেছেন। ময়নাতদন্ত ॥ মঙ্গলবার বিকেলে মর্গে নেয়া হয় নিহতদের। বুধবার বেলা সোয়া এগারোটা থেকে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে ৯ জঙ্গীর লাশের ময়নাতদন্ত হয়। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সোহেল মাহমুদের নেতৃত্বে নিহতদের ময়নাতদন্ত করেন ফরেসনিক বিভাগের প্রভাষক প্রদীপ বিশ্বাস ও সোহেল কবির। ময়নাতদন্ত শেষে সোহেল মাহমুদ জানান, মঙ্গলবার বিকেলে নিহতদের লাশ মর্গে পৌঁছানোর অন্তত ১২ ঘণ্টা আগে তাদের মৃত্যু হয়েছে। নিহতদের প্রত্যেকের শরীরে ৬ থেকে ৭টি করে গুলির চিহ্ন পাওয়া গেছে। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ ও মাথায় আঘাতে তাদের মৃত্যু হয়েছে। ৯ জনের মধ্যে অধিকাংশের শরীরে বুলেট ঢুকেছে পেছন দিক থেকে। শরীরের অন্যান্য অংশেও গুলি লেগেছে। নিহতদের মধ্যে চারজনের শরীরের ভেতরে সাতটি গুলি পাওয়া গেছে। এর মধ্যে একজনের শরীরে তিনটি, আরেকজনের শরীরে দুটি এবং বাকি দুজনের শরীরে একটি করে বুলেট ছিল। বাকিদের শরীরে বুলেটের ক্ষত থাকলেও বুলেটগুলো শরীর ভেদ করে বেরিয়ে গেছে। ডাঃ সোহেল মাহমুদ আরও জানান, নিহতরা কোন ধরনের নেশায় আসক্ত ছিল কিনা, তা জানতে চেয়েছে পুলিশ। সে অনুযায়ী ডোপ টেস্টের জন্য নিহতদের চুল, রক্ত ও ইউরিন, ডিএনএ পরীক্ষার জন্যও থাই মাসলের অংশবিশেষ ও ভিসেরা পরীক্ষার জন্যও প্রয়োজনীয় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।
×