ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

এ্যাসিড দগ্ধ রিনা খুঁজে পেয়েছে বেঁচে থাকার স্বপ্ন

প্রকাশিত: ০৪:৩৮, ২৮ জুলাই ২০১৬

এ্যাসিড দগ্ধ রিনা খুঁজে পেয়েছে বেঁচে থাকার স্বপ্ন

স্টাফ রিপোর্টার, বরিশাল ॥ এ্যাসিড দগ্ধ অসহায় ভূমিহীন রিনা বেগম খুঁজে পেয়েছেন বেঁচে থাকার স্বপ্ন। বেসরকারী স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার আর্থিক সহযোগিতায় রিনা এখন স্বাবলম্বী হওয়ার স্বপ্নে বিভোর। বুধবার সকালে দগ্ধ রিনা বেগমের নামে ৩৫ শতক জমি বন্ধকের চুক্তিপত্র তার হাতে প্রদান করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে গৌরনদী উপজেলার নলচিড়া ইউনিয়নের কলাবাড়িয়া গ্রামে। জানা গেছে, ব্র্যাক, এ্যাসিড সারভাইবারস্ ও আল-খায়ের ফাউন্ডেশনের আর্থিক সহযোগিতায় কলাবাড়িয়া গ্রামের মজিবর রহমান খলিফার ৩৫ শতক জমি ৪০ হাজার টাকায় এ্যাসিড দগ্ধ রিনা বেগমের নামে বন্ধক রাখা হয়। তিন ফসলী ওই জমি চাষাবাদের মাধ্যমে সোনালী ফসল ঘরে তুলে স্বাবলম্বী হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন ভূমিহীন রিনা। তার (রিনা) নামে জমির বন্ধকি চুক্তিপত্র হস্তান্তর উপলক্ষে নলচিড়া ইউনিয়ন পরিষদ কমপ্লেক্সের হলরুমে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভার ইউপি সদস্য রফিকুল ইসলাম রাজার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মাহবুব আলম। উল্লেখ্য, স্বামী শামচুল হক হাওলাদারের দ্বিতীয় বিয়েতে বাঁধা দেয়ায় ২০১৪ সালের ১৫ মে গভীর রাতে ঘুমন্ত অবস্থায় কলাবাড়িয়া গ্রামের দিনমজুর আউয়াল খলিফার কন্যা ৫ সন্তানের জননী রিনা বেগমের ওপর এ্যাসিড নিক্ষেপ করে স্বামী ও তার এক সহযোগী। মাদারীপুরে বেহাল সড়ক ॥ ৮ বছর বাস চলাচল বন্ধ নিজস্ব সংবাদদাতা, মাদারীপুর, ২৭ জুলাই ॥ খাগদী-চরমুগরিয়া-শ্রীনদী-রাজৈর সড়কের বেহাল দশার কারণে দীর্ঘ ৮ বছর ধরে এ সড়কে বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। যোগাযোগের অনুপযোগী হয়ে পড়ায় জনগুরুত্বপূর্ণ এ সড়কে অহরহ দুঘর্টনা ঘটছে। জেলার ১৫ ইউনিয়নের জনগণের যাতায়াতের অন্যতম এই রুটে ৮ বছর ধরে বাস চলাচল বন্ধ জন- দুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করেছে। বাসের বিকল্প মাহিন্দ্র, ইজিবাইক, অটোভ্যান ও টেম্পোসহ অন্যান্য যানবাহন চলাচল করতেও হিমশিম খাচ্ছে। এ সড়ক পথে হাজার হাজার যাত্রী জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে। জানা গেছে, সদর উপজেলার খাগদী-চরমুগরিয়া-শ্রীনদী সড়কটি প্রায় ১০ বছর আগেই যোগাযোগের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। মাঝে মধ্যে যাও মেরামতের কাজ করা হয় তাতে বাস চলাচলের উপযোগী না হওয়ায় বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে ৮ বছর ধরে। খাগদী-চরমুগরিয়া-শ্রীনদী-রাজৈর পর্যন্ত ১৯ কিলোমিটার সড়কের মধ্যে ৮ কিলোমিটার সড়কের অবস্থা ভয়াবহ। এ সড়কে দিয়ে মানুষের যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম হচ্ছে মাহিন্দ্র, ইজিবাইক, অটোভ্যান ও ভটভটি।
×