ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

‘উন্নয়নে পিকেএসএফ’ অনুষ্ঠানে অর্থমন্ত্রী মুহিত

দেশ এগিয়ে যাচ্ছে, যাবে- কোন অবস্থাতেই পেছনে ফেরানো যাবে না

প্রকাশিত: ০৪:৩৩, ২৮ জুলাই ২০১৬

দেশ এগিয়ে যাচ্ছে, যাবে- কোন অবস্থাতেই পেছনে ফেরানো যাবে না

স্টাফ রিপোর্টার ॥ অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, সুখী, সমৃদ্ধ ও শান্তিপূর্ণ বাংলাদেশ দেখা তার আজীবনের স্বপ্ন। কিন্তু সেই শান্তির ওপর এই মুহূর্তে আক্রমণ আসছে। এটা মোকাবেলা করাই এখন সবচেয়ে বড় কাজ। শান্তিভঙ্গকারীদের বিরুদ্ধে সরকারের অবস্থান যে সুদৃঢ়- কল্যাণপুরে অভিযানের মাধ্যমে ইতিমধ্যে এটা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে, যাবে। কোন অবস্থাতেই এই দেশকে আর পেছনে ফেরানো যাবে না। বুধবার বিকেলে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ) ভবনের অডিটোরিয়ামে ‘উন্নয়নে পিকেএসএফ-২০১৬’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। দারিদ্র্যবিমোচন তথা টেকসই উন্নয়ন এবং সমাজ ও রাষ্ট্রীয় জীবনে মানুষের মর্যাদা প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছেন এমন ব্যক্তিদের সম্মাননা প্রদানের জন্য পিকেএসএফ এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে দুই পর্বে মোট ২৪ জনকে সম্মাননা প্রদান করা হয়। প্রথম পর্বে দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে বিশেষ অবদানের জন্য পিকেএসএফের সহযোগী সংস্থার ২২ শীর্ষ কর্মকর্তা, যারা মুক্তিযুদ্ধেও অংশগ্রহণ করেছেন তাদের সম্মাননা দেয়া হয়। দ্বিতীয় পর্বে অসহায় মেয়ে শিশুদের প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষায় অবদানের জন্য বাংলাদেশ ফিমেল একাডেমির প্রতিষ্ঠাতা জামিল চৌধুরী এবং বাংলাদেশে কাঁকড়া হ্যাচারি প্রযুক্তি স্থানান্তরের জন্য ভিয়েতনামের নাগরিক পাম থি হংকে বিশেষ সম্মাননা প্রদান করা হয়। দ্বিতীয় পর্বের প্রধান অতিথি অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত এ দুজনের হাতে সম্মাননা তুলে দেন। সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন পিকেএসএফের সভাপতি ও বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব মোঃ ইউনুসুর রহমান। স্বাগত বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রীর সাবেক মুখ্যসচিব ও পিকেএসএফের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ আবদুল করিম। অনুষ্ঠানে অর্থমন্ত্রী বলেন, পিকেএসএফ এবং গ্রামীণ ব্যাংক বাংলাদেশের নিজস্ব ও একক চিন্তার সৃষ্টি। এ দুটো প্রতিষ্ঠান সৃষ্টি ও দাঁড় করানোর ক্ষেত্রে বিদেশী দাতা প্রতিষ্ঠানের কোন অবদান নাই। বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক ব্যবস্থার সঙ্গে পিকেএসএফের কার্যক্রম শুরু থেকেই মানানসই ছিল, যে কারণে এটি সফলভাবে পরিচালিত হচ্ছে। তিনি বলেন, কর্ম যদি থাকে তবে আয় হয়। এই কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টিই হলো মূল ব্যাপার। ২০৪১ সালে বাংলাদেশ উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশে পরিণত হবে- এই আশাবাদ দৃঢ়ভাবে ব্যক্ত করে মন্ত্রী বলেন, জীবনের শেষ ধাপ অতিক্রম করছি। আমি নিশ্চিতভাবেই দেখে যেতে পারব না। তবে আমাদের বর্তমান তরুণ প্রজন্ম দেখবে, ২০৪১ সালের বাংলাদেশ নিয়ে আমরা যে স্বপ্ন দেখেছি ও পরিকল্পনা করেছি তা সঠিক। সভাপতির বক্তব্যে পিকেএসএফ সভাপতি ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমেদ বলেন, ক্ষুদ্র ঋণের বৈচিত্রায়ন ও বহুমুখীকরণ করছে পিকেএসএফ।
×