ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

ঋণ বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা বাড়ছে

৩১ জুলাই কৃষিঋণ নীতিমালা ঘোষণা

প্রকাশিত: ০৪:২৯, ২৮ জুলাই ২০১৬

৩১ জুলাই কৃষিঋণ নীতিমালা ঘোষণা

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ চলতি ২০১৬-১৭ অর্থবছরের কৃষি ও পল্লীঋণ নীতিমালা প্রায় চূড়ান্ত করে ফেলেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। আগামী ৩১ জুলাই নতুন এ নীতিমালা ঘোষণা করবেন গবর্নর ফজলে কবির। জানা গেছে, এবার কৃষি ও পল্লীঋণ নীতিমালায় খুব বেশি পরিবর্তন আসছে না। তবে অগ্রাধিকার খাত বিবেচনায় বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর এ খাতে ঋণ বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা বাড়ছে। এবার লক্ষ্যমাত্রা ধরা হচ্ছে ১৭ হাজার ৫৫০ কোটি টাকা, যা গেলবারের তুলনায় ১ হাজার ১৫০ কোটি টাকা বেশি। এছাড়া এজেন্ট ব্যাংকিংয়ে আওতায় কৃষিঋণ বিতরণে গ্রাহক থেকে সার্ভিস চার্জ আদায়ের বিষয়টি নতুনভাবে অন্তর্ভুক্ত হচ্ছে। পেয়ারা চাষে সারাবছর ঋণ দেয়ার বিষয়টি গুরুত্ব পাবে। পাশাপাশি ফসল চাষের ন্যায় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতেও ঋণ নিয়মাচার ও ঋণের পরিমাণ নির্ধারণ করে দেয়া হবে। এছাড়া আগের মতোই টার্গেট পূরণে ব্যর্থ ব্যাংকের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান থাকছে নতুন নীতিমালায়ও। এদিকে গত জুনে কৃষিঋণের সুদের উর্ধসীমা ১ শতাংশ কমিয়ে ১০ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে, যা ১ জুলাই থেকে কার্যকর হয়েছে। নতুন নীতিমালায় সুদ কমানোর বিষয়টিও অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের কৃষিঋণ ও আর্থিক সেবাভুক্তি বিভাগের নির্বাহী পরিচালক শুভঙ্কর সাহা বলেন, এবার কৃষিঋণের লক্ষ্যমাত্রা বাড়ছে। লক্ষ্যমাত্রা বৃদ্ধির সঙ্গে সেটি অর্জনের প্রচেষ্টা নেয়া হবে নতুন নীতিমালায়। ব্যাংকগুলোকে টার্গেট দিয়েই আমরা বসে থাকব না। তারা যাতে টার্গেট অনুযায়ী ঋণ বিতরণ করে সেজন্য আমাদের নজরদারি অব্যাহত থাকবে। জানা গেছে, যেসব ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং নেটওয়ার্ক চালু করেছে, তারা প্রচলিত শাখার পাশাপাশি তাদের নন-ব্যাংক এজেন্টের মাধ্যমেও কৃষিঋণ বিতরণ করতে পারবে। এক্ষেত্রে নন-ব্যাংক এজেন্টের সুদের অতিরিক্ত দশমিক ৫ শতাংশ সার্ভিস চার্জ আদায়ের সুযোগ দেয়ার চিন্তাভাবনা চলছে। ট্যানারি সরাতে নানা গড়িমসি উদ্যোক্তাদের অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ একদিকে প্রয়োজনীয় অর্থের অভাব অন্যদিকে বিসিকের সীমাবদ্ধতাÑ এ দুই কারণে হাজারীবাগ থেকে সরছে না ট্যানারি। এমন অভিযোগ করে চামড়া ব্যবসায়ীরা বলছেন, দীর্ঘদিন ধরে দেনদরবার করা হলেও বিসিকের কাছ থেকে বরাদ্দ করা জমির মালিকানা এখনও বুঝে পায়নি ট্যানারিগুলো, যে কারণে মিলছে না ব্যাংকঋণ; গতি আসছে না সাভারের নতুন শিল্পনগরীতে কারখানা নির্মাণ ও আনুষঙ্গিক অন্য কাজের। শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু ট্যানারি কারখানাগুলো সরাতে হবে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন, ‘আমি বলতে চাই, হাজারীবাগ থেকে কারখানা সরাতে হবে, এর কোন বিকল্প নেই।’ হাজারীবাগ থেকে ট্যানারি সরিয়ে নিতে সরকারের পক্ষ থেকে এমন হুঁশিয়ারি দেয়া হয়েছে বহুবার। তবে চলতি বছরের শুরু থেকে এতে আসে ভিন্নমাত্রা। এবার শুধু মৌখিক নয়, রাষ্ট্র দ্বারস্থ হয় সর্বোচ্চ আদালতের। বাংলাদেশ ট্যানার্স এ্যাসোসিয়েশন বলছে, রায়ের রিভিউ করবে তারা।
×