ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

দীর্ঘদিন ধরে ফেলে রাখা শিল্প প্লট বাতিলের নির্দেশ

প্রকাশিত: ০৪:২৯, ২৮ জুলাই ২০১৬

দীর্ঘদিন ধরে ফেলে রাখা শিল্প প্লট বাতিলের নির্দেশ

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ বিসিক শিল্পনগরীগুলোতে প্লট বরাদ্দ নিয়ে যেসব উদ্যোক্তা দীর্ঘদিন ধরে শিল্প স্থাপন করেননি, তাদের প্লট বাতিল করে নতুন উদ্যোক্তাদের মাঝে বরাদ্দ দিতে জেলা প্রশাসকদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু। তিনি বলেন, বিসিক শিল্পনগরীগুলোতে কোন কোন উদ্যোক্তা প্লট বরাদ্দ নেয়ার পর শিল্প স্থাপন না করায় প্রকৃত উদ্যোক্তারা প্লটের অভাবে শিল্প স্থাপন করতে পারছেন না। শিল্পায়নের অভীষ্ট লক্ষ্যার্জনে এ বিষয়ে জেলা প্রশাসকদের দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে। বুধবার সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত জেলা প্রশাসক সম্মেলনের পঞ্চম অধিবেশন শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে তিনি এ কথা জানান। এ সময় বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব হেদায়েতুল্লাহ আল মামুন এনডিসি, শিল্প মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া এনডিসি উপস্থিত ছিলেন। শিল্পমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার গৃহীত পদক্ষেপের ফলে গত সাত বছরে দেশের কোথাও সারের কোন ধরনের সঙ্কট হয়নি। এর সিংহভাগ কৃতিত্ব জেলা প্রশাসকদের বলে তিনি মন্তব্য করেন। ভবিষ্যতে দেশব্যাপী সুষ্ঠু সার ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করার পাশাপাশি বিভিন্ন জেলায় ১৩টি বাফার গুদাম নির্মাণের জন্য জমি অধিগ্রহণসহ অন্যান্য কাজে অগ্রাধিকারভিত্তিতে ভূমিকা রাখতে জেলা প্রশাসকদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এছাড়া ধর্মের নামে জঙ্গীবাদী কর্মকা-ের মাধ্যমে জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে বাংলাদেশকে হেয় করার যে চক্রান্ত চলছে, সে বিষয়ে সতর্ক থেকে চলমান উন্নয়ন কর্মকা-কে এগিয়ে নেয়ার পরামর্শ দেয়া হয়েছে বলে জানান তিনি। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে শিল্পমন্ত্রী বলেন, রাষ্ট্রায়ত্ত চিনিকলে উৎপাদন বাড়াতে মাড়াই মৌসুমে চাষীরা যাতে চিনিকলে পর্যাপ্ত পরিমাণে আখ সরবরাহ করে, সেজন্য তাদের উদ্বুদ্ধ করতে জেলা প্রশাসকদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। একই সঙ্গে চিনিকল জোনে পাওয়ার ক্রাশারের মাধ্যমে অবৈধভাবে গুঁড় তৈরি বন্ধ করতে বিদ্যমান আইনের কঠোর প্রয়োগের জন্য জেলা প্রশাসকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে। চিনিকলের বেদখলকৃত জমি উদ্ধারে কার্যকর উদ্যোগ নিতে জেলা প্রশাসকদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। আমির হোসেন আমু বলেন, জনগণের জন্য নিরাপদ খাদ্য ও পণ্য নিশ্চিত করতে জেলা পর্যায়ে বিএসটিআই’র অভিযান জোরদার করা হবে। বিশেষ করে, আয়োডিনবিহীন ভোজ্যলবণ এবং ভিটামিন ‘এ’ ছাড়া ভোজ্যতেল উৎপাদন, বাজারজাতকরণ, বিক্রয় প্রতিরোধ করতে ভোজ্যতেল শোধনাগার ও লবণ মিলগুলোর পাশাপাশি জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে বাজারে ঘন ঘন ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করতে জেলা প্রশাসকদের প্রতি তিনি নির্দেশনা দেন। শিল্পমন্ত্রী সাংবাদিকদের জানান, জেলা প্রশাসকদের পক্ষ থেকে প্রতি জেলায় ল্যাবসহ বিএসটিআই অফিস স্থাপন, ফরমালিন পরীক্ষার কীট সরবরাহ, পুরনো বিসিক শিল্পনগরীগুলোর সম্প্রসারণ, শিল্পনগরীর রাস্তাঘাট মেরামত, চিনিকলগুলোতে ইটিপি স্থাপন, মৌসুমী ফলের প্রাচুর্যতা বিবেচনা করে ফ্রুট প্রসেসিং শিল্পনগরী স্থাপন, বরিশাল অঞ্চলে ফ্রোজেন ফিশ ইন্ডাস্ট্রি এবং কক্সবাজারে লবণ গবেষণাগার ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপনের প্রস্তাব এসেছে। এ বিষয়ে শিল্প মন্ত্রণালয় থেকে দ্রুত কার্যকর উদ্যোগ নেয়া হবে বলে তিনি জানান।
×