ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

শান্ত সিং

একাত্তরের ঘাতকদের দোসর

প্রকাশিত: ০৩:৫৯, ২৮ জুলাই ২০১৬

একাত্তরের ঘাতকদের দোসর

বর্তমানে সারাদেশে আলোচিত একটি বিষয় জঙ্গীবাদ। এটি শুধু বাংলাদেশের সমস্যা নয়, এটা এখন গোটা বিশ্বের সঙ্কট। ১ জুলাই গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে এবং কয়েক দিন পরই শোলাকিয়ায় সংঘটিত হয় জঙ্গী হামলা। জঙ্গীদের হামলায় মানুষের মৃত্যু হলেও জঙ্গীবিরোধী অভিযানে পরাস্ত হয় তারা। অভিযানকারীদের সাফল্য দেশের মানুষকে স্বস্তি ও আস্থা দান করেছে। যদিও মানুষের নিরাপত্তা আজ হুমকির মুখে দাঁড়িয়েছে জঙ্গীদের হামলায়। এই সুযোগে গুজব ছড়িয়েও মানুষকে বিভ্রান্ত করা অপচেষ্টা চলছে, যা নিন্দনীয়। আমরা যদি একটু বিশ্লেষণ করি তাহলে পুরো চিত্র খুঁজে পাব। বুঝতে সমর্থ হবো জঙ্গীবাদের কারণসমূহ। আমার মতে দেশে জঙ্গীবাদের মূল কারণ হচ্ছে বাংলাদেশের সামগ্রিক উন্নয়নের প্রতি হিংসা। উন্নয়নকেই মেনে নিতে পারছে না জঙ্গীগোষ্ঠী। যারা বাংলাদেশের এই উন্নয়নের গতিরোধ করতে চায়, মূূলত তারাই জঙ্গীবাদের সঙ্গে সম্পৃক্ত। ইতোমধ্যে বাংলাদেশ নিম্ন মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে স্বীকৃতি অর্জন করেছে। শুধু তাই নয় বিশ্বের শিল্পোন্নত দেশগুলো আজ বিনিয়োগ করতে বেছে নিচ্ছে বাংলাদেশকে। এর জ্বলন্ত প্রমাণ জাপানে হয়ে যাওয়া এবারের জি-৭ সম্মেলন। এদেশের উন্নয়নের গতিরোধ করতেই জঙ্গীরা একের পর এক হামলা চালাচ্ছে। যাতে বিনিয়োগকারীরা নিরাপত্তার অজুহাত দেখিয়ে এ দেশ থেকে চলে যায়। কিন্তু না, এ হতে পারে না, এটা পাকিস্তান নয়, এটা সোনার বাংলাদেশ। এদেশের মানুষ শান্তিপ্রিয়। আমরা বলতে পারি বর্তমানের জঙ্গী আক্রমণ এক অর্থে ১৯৭১ সালে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী ও তাদের দোসর ঘাতক-দালালদের নৃশংসতার পুনরাবৃত্তি। পাকিস্তান শাসকগোষ্ঠী বাংলাদেশকে শাসন-শোষণ করে নিঃশেষ করতে চেয়েছিল, কিন্তু শেষ পর্যন্ত সফল হতে পারেনি। হালের জঙ্গীবাদ একই মন্ত্রে দীক্ষিত হয়ে সেটাই করতে চায়, যা পাকিস্তান শাসক গোষ্ঠী চেয়েছিল। তাই বলব আজকের জঙ্গীরা একাত্তরের ঘাতকদের দোসর। নটর ডেম কলেজ, ঢাকা থেকে
×