ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

অভিনব উপহারে বিরাটকে চমক ভিভের শিল্পী পুত্রের

প্রকাশিত: ১৯:৩৫, ২৭ জুলাই ২০১৬

অভিনব উপহারে বিরাটকে চমক ভিভের শিল্পী পুত্রের

অনলাইন ডেস্ক ॥ পিতা যে গভীর ভক্ত ছিলেন, জানা ছিল। কিন্তু পুত্রও যে বর্তমান ভারতীয় ক্রিকেটের সেরা বিজ্ঞাপন নিয়ে সমান মোহান্ধ, কে জানত। মালি রিচার্ডস তো সোজা বিরাট কোহালিকে তাঁরই একটা ছবি উপহার দিয়ে এলেন! পিতার সঙ্গে একেবারে টিম ইন্ডিয়া হোটেলে গিয়ে! পিতা কে, নতুন করে এর পর পরিচয় দেওয়ার প্রয়োজন নেই। পদবীতেই বুঝে যাওয়া উচিত। ভারতীয় দলের ক্যারিবিয়ান সফরের প্রথম থেকে ভিভ আর কোহালির ‘মধুচন্দ্রিমা’ চলছে। ভিভ কখনও নিজের বাড়িতে গোটা ভারতীয় দলকে আমন্ত্রণ জানিয়ে কোহালিদের সঙ্গে ছবি পোস্ট করছেন। কখনও অ্যান্টিগায় নিজের নামাঙ্কিত মাঠে কোহালির ডাবল সেঞ্চুরি দেখে বিমুগ্ধ ভাবে বলে দিয়েছেন, ইনিংসটা যতই ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে এসে থাকুক না কেন, তিনি প্রভাবিত। বিরাটের ব্যাটিং তাঁর অসাধারণ লেগেছে। কোহালি— তিনিও বারবার সশ্রদ্ধ হয়ে পড়েছেন ভিভ নিয়ে। ভিভের প্রত্যেকটা কথা তাঁর কাছে ‘ওয়ার্ড অব গোল্ড’! কোনও সন্দেহ নেই, মঙ্গলবার রিচার্ডস-পরিবারের সঙ্গে কোহালির সম্পর্ক আরও জমাট হল। এ দিন সকালে ছেলে মালি ও তাঁর বন্ধুকে নিয়ে টিম ইন্ডিয়া হোটেলে পৌঁছে যান ভিভ। সেখানে কোহালিরই ছবি ভারতের টেস্ট অধিনায়কের হাতে তুলে দেন ভিভ-পুত্র। সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটে যে ছবি কয়েক ঘণ্টার মধ্যে ভাইরাল হয়ে যায়। বিসিসিআই টিভিকে পরে মালি বলেন, কোহালির জন্য স্পেশ্যাল কিছু করার ইচ্ছে ছিল। যে দিন থেকে শুনেছেন, কোহালি অ্যান্টিগায় খেলতে আসছেন, সে দিন থেকে। ‘‘কোহালি প্রথম বারের জন্য অ্যান্টিগায় খেলবে শোনার পর উত্তেজিত হয়ে গিয়েছিলাম। চেয়েছিলাম, ওর জন্য সৃষ্টিশীল কিছু একটা করতে,’’ বলেছেন মালি। ভিভ-পুত্রের একটা আর্ট গ্যালারি আছে। ক্রিকেটটা খেলতেন এক সময়। আঠারোটা প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলেছেন। ছোটবেলায় মালি রিচার্ডসকে অসম্ভব প্রতিভাবানও ধরা হত। শেল্টেনহ্যাম কলেজে পড়ার সময় ক্রিকেটের পাশাপাশি চুটিয়ে টেনিসও খেলতেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ক্রিকেটার হিসেবে প্রতিষ্ঠা পাননি। বন্ধুর সঙ্গে পার্টনারশিপে এক আর্ট গ্যালারির ব্যবসায় চলে যান। কিন্তু ক্রিকেট ছেড়ে দিলেও ক্রিকেটের প্রতি ভালবাসা যে তাঁকে ছাড়েনি, এ দিন বোঝা গেল। ‘‘আসলে বিরাট অ্যান্টিগায় মাইলস্টোন ছোঁয়ার পর চেয়েছিলাম স্মরণীয় কিছু একটা করতে,’’ বলে দিয়েছেন মালি। ‘‘মাত্র একদিনে এই ছবিটা আমরা করেছি। তার পর আজ দিতে এলাম।’’ সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা
×