ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

আইএসের ভিডিওতে তাওসিফ

হালনাগাদ ‘জঙ্গী’ তালিকায় রাজশাহীর চার যুবক

প্রকাশিত: ০৬:৩০, ২৭ জুলাই ২০১৬

হালনাগাদ ‘জঙ্গী’ তালিকায় রাজশাহীর চার যুবক

স্টাফ রিপোর্টার, রাজশাহী ॥ র‌্যাবের হালনাগাদ জঙ্গী তালিকায় এবার উঠে এসেছে রাজশাহীর চারজনের নাম। এদের মধ্যে তালিকায় ৮ নম্বরে থাকা তাওসিফ হোসেনকে দেখা গেছে আইএসের একটি ভিডিওতে। গুলশান হামলার পর গত ৬ জুলাই এ ভিডিও প্রকাশ করেছিল মধ্যপ্রাচ্য ভিত্তিক এ জঙ্গী সংগঠনটি। ওই ভিডিওতে মুখ ঢাকা অবস্থায় ছিলেন তাওসিফ হোসেন। র‌্যাবের প্রকাশিত ৬৮ জঙ্গীর নতুন তালিকায় তার পরিচয় পাওয়া গেছে। তার বাবার নাম ডাঃ আজমল হোসেন। রাজশাহীতে তার বাড়ি বোয়ালিয়া থানার (নগরীর) ঘোড়ামারার রামচন্দ্রপুর এলাকায়। তবে তার বর্তমান ঠিকানা দেয়া হয়েছে ঢাকার ধানম-ি এলাকায়। নগরীর রামচন্দ্রপুর এলাকাবাসী তাদের সম্পর্কে বেশি কিছু জানাতে পারেননি। তাদের ভাষ্য, ওই পরিবারটি অনেক আগে থেকেই ঢাকায় বসবাসরত। তাওসিফ হোসেন ঢাকার আইবিএ বিজনেস স্কুলের ছাত্র ছিলেন। তবে পড়াশুনার পাঠ শেষ না করেই মাঝ পথে ছেড়ে দেন। জেএমবি সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে এর আগে গ্রেফতারও হয়েছিলেন এ যুবক। পরে ছাড়া পেলে তাকে পড়াশোনার জন্য অস্ট্রিয়াতে পাঠিয়ে দেয় পরিবার। সেখান থেকেও নিখোঁজ হন তাওসিফ। র‌্যাবের এ তালিকায় আরও যে তিন জনের নাম প্রকাশ পেয়েছে তারা হলেন, ১৭ নম্বরে রাজশাহী নগরীর মতিহার থানার টাঙ্গন এলাকার বাবর আলীর ছেলে আশিক ওরফে সাব্বির হোসেন, ১৯ নম্বরে তানোর উপজেলার তালন্দ ইউনিয়নের লালপুর গ্রামের সিরাজ উদ্দিন ম-লের ছেলে বাশারুজ্জামান ওরফে আবুল বাশার ও ২০ নম্বরে বাগমারা থানার শ্রীপুর গ্রামের আব্দুল হাকিমের ছেলে শরিফুল ইসলাম। এদের মধ্যে শরিফুল ইসলাম রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজী বিভাগের শিক্ষার্থী। গত ২৩ এপ্রিল একই বিভাগের শিক্ষক ড. এএফএম রেজাউল করিম সিদ্দিকী হত্যাকা-ে তার সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ ওঠে। ওই সময় আটক হন তার বাবা ও ছোটভাই। তখন তার নিখোঁজের বিষয়টি সামনে আসে। এছাড়া নিখোঁজ আশিক পেশায় রাজমিস্ত্রি ছিলেন। ফেনীতে কাজে গিয়ে নিখোঁজ হয়েছে এ কিশোর। সিগারেট আনতে গিয়ে সে আর ফেরেনি বলে জানিয়েছেন তার বাবা বাবর আলী। অন্যদিকে, ঢাকা নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ধানম-ি শাখা থেকে লেখাপড়া করার পরে বেসরকারী কোম্পানিতে চাকরি করেন নিখোঁজ বাশারুজ্জামান বাশার। সেই সূত্রে দীর্ঘ দুই বছরের বেশি সময় ঢাকা তেজগাঁওয়ে বিয়ে করে শ্বশুরবাড়িতে থাকতেন তিনি। গত ৬ থেকে ৭ মাস আগে তেজগাঁওয়ের শ্বশুরবাড়ি থেকে বাশার নিখোঁজ হন। পুলিশ ও পরিবারের তথ্য অনুযায়ী, বাড়ি ফিরে আসার আহ্বান জানিয়ে সংবাদ প্রকাশের পর জানতে পারা যায় যে, মোহাম্মদ বাসারুজ্জামান ওরফে আবুল বাশার নিখোঁজ আছেন। বাশার তানোরের লালপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সিরাজ উদ্দিনের ছেলে। লালপুর উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সিরাজ উদ্দীনের ছেলে বাশার দুই ভাই এক বোনের মধ্যে বড়। পড়াশোনায় ভাল হওয়ায় ছোটবেলা থেকেই রাজশাহী শহরে থেকে পড়াশোনা করেছেন তিনি। রাজশাহী শহরেও তাদের আরেকটি বাড়ি রয়েছে।
×