ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

সকার-ব্রাদার্স ম্যাচ অমীমাংসিত

প্রকাশিত: ০৬:২০, ২৭ জুলাই ২০১৬

সকার-ব্রাদার্স ম্যাচ অমীমাংসিত

স্পোর্টস রিপোর্টার, চট্টগ্রাম থেকে ॥ ফেনী সকার ক্লাব চেয়েছিল পয়েন্ট। আর ব্রাদার্স ইউনিয়ন চেয়েছিল আক্রমণাত্মক ফুটবল উপহার দিতে। কথা রেখেছে দুই দলই। তবে আসল কাজটা করতে পারেনি কেউই। পারেনি কাক্সিক্ষত প্রথম জয়টি কুড়িয়ে নিয়ে সূচনাটা শুভ করতে। ‘জেবি বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগ’ ফুটবলে (বিপিএল) মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত দিনের প্রথম খেলা ড্র হয় ১-১ গোলে। ঘানাইয়ান ফরোয়ার্ড আউদু ইব্রাহিমের কুঁচকিতে চোট ছিল। মঙ্গলবার তাই তাকে ছাড়াই খেলতে নামে ব্রাদার্স। তার অভাবটা ভালমতোই টের পেয়েছে কমলা জার্সিধারীরা। প্রথমার্ধে তারা এক গোল শোধ করলেও ব্রাদার্স সেভাবে প্রাধান্য বিস্তার করে খেলতে পারেনি। বল পজিশনে এগিয়ে ছিল ফেনী সকারই। দ্বিতীয়ার্ধে অবশ্য আধিপত্য ব্রাদাসেরই। তাদের উপর্যুপরি আক্রমণে পুরোপুরি রক্ষণের খোলসে ঢুকে পড়ে ফেনী সকার। সেই সঙ্গে বেছে নেয় কাউন্টার এ্যাটাক খেলার স্টাইল। এতে পুরোপুরি সফলও হয় তারা। যদিও ইনজুরি টাইমে একটি গোল খেয়ে বসেছিল তারা। ব্রাদার্সের এনকোচা কিংসলে একটি গোল করলেও সেই গোল বাতিল করে দেন রেফারি জালালউদ্দিন। বড় বাঁচা বেঁচে যায় ফেনী সকার! খেলা শেষে ব্রাদার্সের নেপালী কোচ বাল গোপাল মহার্জন বলেন, ‘এটা আমাদের প্রথম ম্যাচ ছিল। দুর্ভাগ্যবশত শুরুর দিকেই গোল হজম করে ফেলি। ফলে খেলোয়াড়দের আত্মবিশ্বাস কিছুটা কমে যায়। প্রচুর মিস পাস খেলে তারা। তবে সমতায় ফিরে আত্মবিশ্বাস ফিরে পায় ছেলেরা। এই ফলে খুশি না হলেও স্কোরলাইনটা মেনে নিচ্ছি।’ ফেনী সকারের নাইজিরিয়ান কোচ লাডি বাবা লোলা বলেন, ‘লক্ষ্য ছিল প্রথম ম্যাচ জিতে তিন পয়েন্ট সংগ্রহ করা। ড্র করলেও আমরা আরও ভাল করতে পারতাম। ভাগ্য সহায় না হওয়াতে জিততে পারিনি। তারপরও আমি সন্তুষ্ট।’ খেলার ৪ মিনিটে প্রথম আক্রমণ করে ফেনী সকার। মিডফিল্ডার সুশান্ত ত্রিপুরা দাঁড়ানো ছিলেন ডি-বক্সের ভেতর, বাঁপ্রান্তে। তিনি লক্ষ্য করেন ব্রাদার্স গোলরক্ষক উত্তম বড়ুয়া তার নিজ অবস্থান থেকে বেশ কিছুটা এগিয়ে। এটাকে কাজে লাগাতে সচেষ্ট হলেন সুশান্ত। তিনি করলেন কি, বলটা উঠিয়ে দিলেন গোলপোস্ট লক্ষ্য করে। ততক্ষণে উত্তমভাবেই বিপদ টের পেয়ে গেছেন উত্তম! দ্রুত পেছাতে লাগলেন তিনি। চেষ্টা করলেন বলটা ফিস্ট করে বিপদমুক্ত করতে। কিন্তু ততক্ষণে দেরি হয়ে গেছে। দেখা গেল সুশান্তর চাতুর্য্যমাখা সেই শটের কাছে পরাভূত হয়ে উত্তম বনে গেছেন অধম! তিনিসহ বল ঢুকে গেছে জালে (১-০)। উল্লাসে মাতোয়ারা হয়ে পড়ে ফেনী সকারের ফুটবলাররা। বেশিক্ষণ গোলের লিড ধরে রাখতে পারেনি ফেনী সকার। ২৬ মিনিটে সমতায় ফেরে গোপীবাগের এই ক্লাবটি। দলের অধিনায়ক-মিডফিল্ডার ইবায়েদ হোসেন কোমল সকারের ডি-বক্সের বাঁদিকে বল পাস দেন হাইতিয়ান ফরোয়ার্ড অগাস্টিন ওয়ালসনকে। তিনি কৌনিক অবস্থান থেকে ডান পায়ের গড়ানো চমৎকার শটে পরাস্ত করেন সকারের গোলরক্ষক সুজন চৌধুরীকে (১-১)। ঘাম দিয়ে যেন জ্বর ছাড়ে ব্রাদার্স শিবিরের! ৮০ মিনিটে দারুণ একটি গোল প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয় ফেনী সকারের। একক প্রচেষ্টায় বল নিয়ে প্রতিপক্ষের ডি-বক্সের মধ্যে ঢুকে পড়েন ঘানাইয়ান ডিফেন্ডার আব্বাস ইনুশা। একপর্যায়ে গোলরক্ষককে একা পেয়ে যান তিনি। ওয়ান টু ওয়ান পজিশনে থেকে তিনি যে কৌনিক গড়ানো শটটি নেন, তা অল্পের জন্য জালে না ঢুকে পাশ কেটে বেরিয়ে গেলে হতাশায় পোড়ে ফেনী সকার।
×