ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

রাজশাহীতে আমের বাজারে মন্দাভাব

প্রকাশিত: ০৩:৪৪, ২৭ জুলাই ২০১৬

রাজশাহীতে আমের বাজারে মন্দাভাব

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ আমের মৌসুম প্রায় শেষ। অথচ এ সময়ে রাজশাহীতে আমের বাজারে মন্দাভাব চলছে। বিক্রেতারা বলছেন, ক্রেতা সঙ্কটের কারণে আম বিক্রি হচ্ছে না, দামও পড়েছে। এতে বিপাকে পড়েছেন তারা। সব মিলিয়ে লোকসানের আশঙ্কা করছেন তারা। আম ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মাসখানেক আগেও গাছে গাছে ঝুলেছিল সুস্বাদু আম। সে সময় গোপালভোগ, মোহনভোগ, কালীভোগ, লক্ষণভোগ, ল্যাংড়া ও হিমসাগরসহ হরেক রকম আমের ম ম গন্ধে ভরেছিল রাজশাহীর হাটবাজার। আর ক্রেতা-বিক্রেতার সমাগমে মুখর থাকত সারাদিন। অথচ এখন মৌসুম শেষ হয়ে এলেও চিত্র ভিন্ন। বাজারে এখনও আম্রপালি ও ফজলি জাতের পর্যাপ্ত আম আছে। তবে নেই প্রয়োজনীয় ক্রেতা। এজন্য গত কয়েকদিন ধরে টানা বৃষ্টিকেই দায়ী করছেন ব্যবসায়ীরা। সোমবার সকালে রাজশাহী নগরীর শিরোইল বাসস্ট্যান্ড এলাকায় বেশ কয়েকটি আমের আড়তে গিয়ে জানা গেছে, গত কয়েকদিন ধরেই ক্রেতাশূন্যতায় পড়েছেন আম ব্যবসায়ীরা। ফলে দাম কমিয়ে ক্রেতাদের আকৃষ্ট করার চেষ্টা করছেন বিক্রেতারা। বাদশা আম আড়তের মালিক বাদশা জানান, বর্তমানে বাজারে শুধু দুই জাতের আম আছে। তার পরও আমের দাম তুলনামূলক কম। বর্তমানে আম্রপালি কেজিপ্রতি ৬০-৬৫ টাকা এবং ফজলি ৫০ থেকে ৬৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। রাজন ফল ভা-ারের রাজন হোসেন জানান, এ সময় বাজারে অন্তত ৮০ টাকা কেজি কাক্সিক্ষত দাম ধরে তারা বাগান কিনেছেন। কিন্তু আমের দাম সে তুলনায় অনেক কম। এতে নিশ্চিত ক্ষতির মুখে পড়তে হবে তাদের। একই কথা জানালেন একরামুল হক নামের অপর এক ব্যবসায়ী। তিনি বলেন, অন্তত ১৫ দিন আগে থেকে বাজারে মন্দাভাব চলছে। ঢাকায় আম পাঠানো কমে যাওয়ায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বলেও জানান তিনি। একই ভাবে নগরীর লক্ষ্মীপুর, সাহেববাজার ও শালবাগান এলাকার আমের আড়তগুলোতে ঘুরেও দেখা গেছে একই চিত্র। বিক্রেতারা জানিয়েছেন, আমের প্রত্যাশিত দাম পাচ্ছেন না তারা। বাজারে আমের আড়তের চেয়ে ক্রেতার সংখ্যা কমে গেছে বলে দাবি করেন তারা। শালবাগান এলাকার শফিকুল ইসলাম নামে এক আম ব্যবসায়ী বলেন, ক্রেতা সঙ্কটে প্রতিযোগিতা করে আমের দাম কমিয়ে আম বিক্রি করতে হচ্ছে। এসব আম সংরক্ষণের কোন ব্যবস্থা না থাকায় পচন ধরলে আরও বেশি লোকসান হবে, তাই কম দামেই আম বিক্রি করতে হচ্ছে। রাজশাহীর আমের বাজারগুলোতে প্রায় মাসখানেক আগে শেষ হয়ে গেছে ল্যাংড়া ও খিরসাপাতসহ আরও অন্যান্য জাতের আম। বর্তমানে বাজারে শুধু ফজলি ও আম্রপালির আধিক্য চলছে। তার পরও আমের দাম কমে যাওয়ায় হতাশ ব্যবসায়ীরা। আর মাত্র সপ্তাহখানেক পরেই বাজারে আশ্বিনা জাতের আম আসবে। তখন বাজারে তার দাম কেমন হবে এ নিয়েও দুশ্চিন্তায় রয়েছেন আম ব্যবাসায়ীরা।
×