ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

ভয়াবহ বন্যা ও ভাঙ্গন মোকাবেলা করছে তিস্তা পাড়ের লাখো মানুষ

প্রকাশিত: ২০:৩১, ২৬ জুলাই ২০১৬

ভয়াবহ বন্যা ও ভাঙ্গন মোকাবেলা করছে তিস্তা পাড়ের লাখো মানুষ

স্টাফ রিপোর্টার,নীলফামারী॥ তিস্তা ব্যারাজের ফ্লাড বাইপাস ঘিরে উজানের ঢলের পানির চাপ বাড়ছে। এটি বিধ্বস্থ্য হলে তিস্তা নদী গতিধারা আরেকদফা পাল্টে যেতে পারে। এমনই আশঙ্কা করছে এলাকাবাসীবাসী। ৮৮ ও ৯৬ সালের চেয়েও সবচেয়ে ভয়াবহ বন্যা মোকাবেলা করছে নীলফামারী ও লালমনিরহাট জেলার ৪ উপজেলার প্রায় লাখো মানুষ। উজানের লাগামহীন ঢলের পানি অব্যাহত ভাবে ধেয়ে আসায় সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির ক্রমান্বয়ে অবনতি হয়ে চলেছে।স্রোতের টানে ভেসে যাচ্ছে ঘর-বাড়ি। নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। পাকা ও কাঁচা সড়ক ডুবে বিচ্ছিন্ন হচ্ছে যোগাযোগ ব্যবস্থা। তিস্তা নদীর পানি ডালিয়া পয়েন্টে আজ মঙ্গলবার বিপদসীমার ২০ সেন্টিমিটার নিচে থাকলেও নীলফামারীর ডিমলা ও জলঢাকা উপজেলার তিস্তা তীরবর্তি ১৬ গ্রামের উপর দিয়ে বন্যার পানি প্রবাহ অব্যাহত রয়েছে। ওই সব গ্রামের রাস্তাঘাট, ব্রীজ কালভাট, হাট বাজার বলতে কিছুই নেই। ডিমলা উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা রেজাউল করিম জানান, গত কয়েকদিনের বন্যা ও ভাঙ্গনে ডিমলা উপজেলার ছয়টি ইউনিয়ন ও জলঢাকা উপজেলার দুইটি ইউনিয়নের ১৬টি গ্রাম বন্যা ও ভাঙ্গনে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। স¤পূর্ণ ক্ষতি হয়েছে তিনশ ৮৮টি ঘড়বাড়ি ও আংশিক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে পাঁচ হাজার দুইশ ৪৬টি ঘরবাড়ি।ক্ষতিগ্রস্থ্যদের মধ্যে শুকনো খাবার, ত্রাণের চাল একশ তিন মেট্রিক টন, নগদ টাকা চার লাখ ৩৫ হাজার বিতরণ করা হয়েছে। এ ছাড়া পর্যাপ্ত ত্রান মজুদ রেখে প্রতিদিন বিভিন্ন এলাকায় বিতরন করা হচ্ছে। ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোডের বন্যা পুর্বাভাস ও সর্তকীকরন কেন্দ্র জানায় আজ মঙ্গলবার তিস্তার পানি ডালিয়া পয়েন্টে বিপদসীমার ২০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি কিছুটা কমলেও বন্যার সার্বিক পরিস্থিতির খুব একটা উন্নতি ঘটেনি। বেড়েছে ভাঙ্গন।
×