ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

র‌্যাবের সংশোধিত তালিকায় নারীসহ নিখোঁজ ৬৮

প্রকাশিত: ০৮:০৭, ২৬ জুলাই ২০১৬

র‌্যাবের সংশোধিত তালিকায় নারীসহ নিখোঁজ ৬৮

স্টাফ রিপোর্টার ॥ গুলশান ও শোলাকিয়ায় জঙ্গী হামলায় ঘরছাড়া তরুণ-যুবকদের জড়িত থাকার তথ্য পাওয়ার পর সারাদেশে নিখোঁজের যে তালিকা র‌্যাব দিয়েছিল তা হালনাগাদ করেছে র‌্যাব। সর্বশেষ তালিকা অনুযায়ী আগের চেয়ে নিখোঁজের সংখ্যা ৭৪ ভাগ কমেছে। সোমবার রাতে র‌্যাবের ফেসবুক পেজে ছবিসহ নতুন করে ৬৮ জনের নামসহ তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। নিখোঁজদের বয়স ১৫ থেকে ৪০-এর মধ্যে। তাদের মধ্যে কয়েক নারীও রয়েছেন। গত ২০ জুলাই নিখোঁজ ২৬১ জনের তালিকা প্রকাশের পর অনেকের সন্ধানই মেলে। এদের কেউ কর্মস্থলে, কেউ বাড়িতে, আবার কাউকে কারাগারেও পাওয়া যায়। কেউ কেউ অভিমান করে নিখোঁজ ছিলেন। অর্থাৎ ২৬১ থেকে নিখোঁজের সংখ্যা ১৯৩ জন কমেছে, শতকরা হারে তা ৭৪ ভাগ। র‌্যাব বলেছে, গত ২০ জুলাই ২৬১ জনের তালিকা প্রকাশের পর অনেক নিখোঁজ ব্যক্তি তাদের পরিবারের কাছে ফিরে এসেছে। দেশব্যাপী সর্বশেষ অনুসন্ধান ও তদন্ত করে ৬৮ নিখোঁজ ব্যক্তির তথ্য হালনাগাদ করা হয়। এ কাজ ‘একটি চলমান প্রক্রিয়া’ উল্লেখ করে র‌্যাব বলেছে, এই তালিকা প্রকাশের পর কোন ব্যক্তি যদি পরিবারে ফিরে আসেন অথবা তালিকার বাইরের কারও নিখোঁজ থাকার কথা কারও জানা থাকে তাহলে ০১৭৭৭৭২০০৭৫ নাম্বারে যোগাযোগ করতে হবে। সংশোধিত তালিকা ॥ গাজীপুরের আব্দুস সোবহানের ছেলে মহিবুর রহমান (৩০), ঢাকার ভাটারার তৌহিদ রউফের ছেলে সাজ্জাদ রউফ অর্ক (২৪), গুলশানের মৃত মেজর ওয়াসিকুর আহমদের ছেলে ডাঃ আরাফাত হোসেন তুষার, নীলক্ষেতের মৃত সফিউর রহমানে ছেলে তাহমিদ রহমান সাফি (৩০), আদাবরের রওশন আলী খানের ছেলে খান মোঃ মাহমুদুল আহসান রাতুল (২৩), ধানম-ির ওয়াহিদুর রহমানের ছেলে জুন্নুন শিকদার (৩০), কলাবাগানের মৃত কাজী মুস্তাইন শরিফের ছেলে কাজী মইনউদ্দিন শরিফ (৩০), ধানম-ির ডাঃ আজমল হোসেনের ছেলে তাওসীফ হোসেন (২৩), ধানম-ির বজলুর রহিমের ছেলে জুবায়েদুর রহিম, বসুন্ধরার মনির হোসেন খানের ছেলে ইব্রাহিম হাসান খান (৪৫) ও জুনায়েদ হাসান খান। এদের দুজনেরই বাড়ি মিরপুরের কুষ্টিয়ায়। এছাড়া ঢাকার মিরপুরের শাহদাতের ছেলে এএসএম ফারহান হোসেন (২৯), মিরপুরের মৃত মাহবুবুল হকের ছেলে মনোয়ার হোসেন সবুজ, ডিওএইচএসের সাবেক সরকারী উর্ধতন কর্মকর্তার ছেলে আশরাফ মোহাম্মদ ইসলাম। চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জের মতিউর রহমানের ছেলে মোঃ বাদশা আলী (২৫), শিবগঞ্জের রমজান আলীর ছেলে সুমন (২৮), শিবগঞ্জের রফিকুল্লাহ আনসারীর ছেলে নজিবুল্লাহ আনসারী (২৭), রাজশাহীর মতিহারের বাবর আলীর ছেলে আশিক ওরফে সাব্বির রহমান (১৬), তানোরের সিরাজ উদ্দিন ম-লের ছেলে বাশারুজ্জামান ওরফে আবুল বাশার, বাগমারার মোঃ আব্দুল হাকিমের ছেলে শরিফুল ইসলাম, ঢাকার ইব্রাহিমপুরের শেখ আব্দুল্লাহ বিন আকবরের ছেলে রাহাত বিন আব্দুল্লাহ (২৬), মুগদার তবিবার মোল্লার ছেলে বেলাল মোল্লা সোহেল (২২)। এছাড়াও ঝিনাইদহের কালিগঞ্জের আব্দুল মালেকের ছেলে মাজেদুল হক (৩৫), যশোরের মনিরামপুরের গফুর বিশ্বাসের ছেলে আমান উল্লাহ আমান (২৪), মনিরামপুরের আক্কাস সরদারের ছেলে কামরুজ্জামান (২৩), মনিরামপুরের লুৎফুর গাজীর ছেলে সাহারাত আলী (২৬), মনিরামপুরের মুজাম দফাদারের ছেলে হাসানুর রহমান আসানুর, মনিরামপুরের জলিল মোড়লের ছেলে ইকবাল হোসেন (২৯), মনিরামপুরের আব্দুল মতিন মোড়লের ছেলে মোঃ তহিদুল ইসলাম (২০), আজব আলীর ছেলে হাসান আলী (৩৭), মৃত কালাচাঁদের ছেলে ফারুক হোসেন (৩৭), সুলতান দফাদারের ছেলে সুমন হোসেন, ফেনীর তবে বর্তমানে ভারত মুম্বাই মৃত আব্দুর রহমানের ছেলে রাশেদ হোসেন (২৫), চট্টগ্রামের ফটিকছড়ির মৃত সিরাজুল ইসলামের ছেলে শাহজাহান (৩৩), বরিশালের (বর্তমানে মালয়েশিয়া) মেহেদীগঞ্জের রহিম শাহর ছেলে জুবায়ের হোসেন ফারুক (২১), সিলেট কানাইহাটের আমান উল্লাহ চৌধুরীর ছেলে মোঃ তাজুল ইসলাম চৌধুরী (৩৮), বিয়ানীবাজারের (বর্তমানে কানাডায় অবস্থান করছে বলে জানা যায়) শফি আহমেদ চৌধুরীর ছেলে তামিম আহমেদ চৌধুরী (৩১), ঢাকার যাত্রাবাড়ীর মোঃ শাহজাহানের ছেলে জাকির হোসেন (২৮), সূত্রাপুরের আব্দুল মালেকের ছেলে আশরাফুজ্জামান (৩২), চকবাজারের আব্দুল হাকিম খানের ছেলে মোঃ শাহরিয়ার খান ওরফে শাহজাহান (৩৩), লালবাগের মোঃ মাসুমের ছেলে সাদমান হোসেন (পাপন), যাত্রাবাড়ীর মোঃ আব্দুল কালাম বিশ্বাসের ছেলে মোঃ আকরাম হোসেন (২৫), ওয়ারীর মৃত মান্নান শেখের মোঃ জুলহাস শেখ (৩২), নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের মোঃ অলিউল্লাহের ছেলে মোঃ ঘাবিবুল্লাহ (২৬), কুমিল্লার বরুরার আব্দুল হাশেমের ছেলে জহিরুল ইসলাম চৌধুরী (২৬), ঢাকার পল্লবীর আব্দুল বাতেন মোল্লার ছেলে মোঃ ইমরান (২২), লক্ষ্মীপুরের মৃত আব্দুল্লা ভূঁইয়ার ছেলে এটিএম তাজ উদ্দিন (৩৬), নোয়াখালীর চাটখিলের মোঃ মাকছুদুর রহমানের ছেলে মোঃ হাবিবুর রহমান (১৬), নারায়ণগঞ্জের বন্দরের মোঃ জালানী মাতবরের ছেলে মোঃ ইসমাইল হোসেন (২২), কুষ্টিয়ার ভেড়ামারার মোঃ চাঁদ আলীর ছেলে মোঃ মিন্টু রহমান ওরফে বৈরাগী মিন্টু (২৭), ভেড়ামারার জুলফিকার হায়দার সাগরের ছেলে মোঃ মারজুক হায়দার জাহিন (১৭), মিরপুরের মোঃ জালাল উদ্দিন প্রামাণিক মোঃ মহিদুল ইসলাম ওরফে মিশুক (১৭), সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ার সিরাজুল ইসলামের ছেলে রকিবুল ইসলাম রিয়েল (২৪), গাইবন্ধার হালিম উদ্দিন সরকারের ছেলে মোঃ মিন্টু মিয়া (৩৫), রংপুরের কোতয়ালির উসমান গণির ছেলে মোঃ রেজাউল করিম (২৬), কোতয়ালির মোহবুবুর রহমানের মোঃ ইকবাল হোসেন (২০), নেত্রকোনার কেন্দুয়ার মোঃ আব্দুর রবের ছেলে মোঃ জাহাঙ্গীর আলম (২৫), কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া মোহাম্মদ আলীর ফকিরের ছেলে মোঃ মকসুদ আলী (২৫), ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরের মৃত আব্দুল হকের ছেলে মোঃ আব্দুল হামিদ (৩০), সুনামগঞ্জের মোঃ হাবিুবর রহমানের ছেলে মোঃ রিয়াজ উদ্দিন (১৫), ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়ার মোঃ আব্দুল জলিলের ছেলে মোঃ জহিরুল ইসলাম (১৬), ফুলবাড়িয়ার নয় নম্বর ওয়ার্ডের আব্দুল হোসেনের ছেলে মোঃ শাখাওয়াত হোসেন (২৮), ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরের জনাদন দেন নাথের ছেলে মোহাম্মদ সাইফুল্লাহ ওজকি ওরফে সুজিত দেবনাথ, ঢাকার খিলগাঁও (বর্তমানে সম্ভবত তুরস্ক) আলী আহমেদের জামাতা ডাঃ রোকনুদ্দীন খন্দকার (৫০), তার স্ত্রী নাঈমা আক্তার, মেয়ে রেজওয়ানা রোকন (২৩), রামিতা রোকন (১৭) ও জামাতা সাদ কয়েস (৩০)। ৬৮ জনের মধ্যে একষট্টি জনের ছবিও প্রকাশ করেছে র‌্যাব। এদের মধ্যে ৭ নম্বর ক্রমিকের কাজী মইন উদ্দিন শরিফ, ১১ নম্বর ক্রমিকের জুনায়েদ হাসান খান, ১৬ নম্বর ক্রমিকেরে সুমন, ১৭ নম্বর ক্রমিকের আশিক হোসেন ওরফে সাব্বির রহমান, ৩৫ নম্বর ক্রমিকের জুবায়ের হোসেন ফারুক, ৪৪ নম্বর ক্রমিকের মোঃ ঘাবিবুল্লাহ ও ৫৫ নম্বর ক্রমিকের মোঃ রেজাউল করিম এই সাতজনের ছবি নেই।
×