ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

শিরোপার স্বাদ পেলেন কন্টা, উইকমায়ারের ডাবল

প্রকাশিত: ০৬:৩২, ২৬ জুলাই ২০১৬

শিরোপার স্বাদ পেলেন কন্টা, উইকমায়ারের ডাবল

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ অবশেষ স্বপ্নের শিরোপা জয়ের স্বাদ পেলেন জোহানা কন্টা। রবিবার স্ট্যানফোর্ডে ক্যারিয়ারের প্রথম কোন টুর্নামেন্টের ফাইনাল জিতলেন ব্রিটেনের এই টেনিস তারকা। শিরোপা জয়ের লড়াইয়ে তিনি আমেরিকার ভেনাস উইলিয়ামসকে পরাজিত করেন। এদিন তিনি ৭-৫, ৫-৭ এবং ৬-২ সেটে বিশ্ব টেনিস র‌্যাঙ্কিংয়ের সাবেক নাম্বার ওয়ান তারকা ভেনাস উইলিয়ামসকে হারিয়ে শিরোপা জয়ের উচ্ছ্বাসে ভাসেন। কন্টার কাছে হারায় ক্যারিয়ারের ৫০তম শিরোপা জয়ের অপেক্ষাটা আরও বেড়ে গেল আমেরিকান তারকা ভেনাস উইলিয়ামসের। স্ট্যানফোর্ড ওপেনের শুরু থেকেই দুর্দান্ত খেলেছেন জোহানা কন্টা। সেমিফাইনালে ডোমিনিকা সিবুলকোভাকে হারিয়ে ফাইনালের টিকেট নিশ্চিত করেন। পারফর্মেন্সের সেই ধারাবাহিকতা ধরে রেখেছেন ফাইনালেও। ক্যারিয়ারের প্রথম শিরোপা উচিয়ে ধরতে পেরে দারুণ আনন্দিত কন্টা। ম্যাচ শেষের সংবাদ সম্মেলনে এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘এটা অবিশ্বাস্য হলেও আমার বিনয়নম্র অভিজ্ঞতা। কঠোর পরিশ্রমের সাক্ষ্যপ্রমাণ। আপনি যদি ভাল করতে চান তার জন্য এটাই হতে পারে বড় অনুপ্রেরণা। আপনি যদি এই ভালটাকে দীর্ঘায়িত করতে চান তাহলে সুশৃঙ্খলভাবে প্রতিনিয়তই পরিশ্রম করতে হবে।’ ১৯৭৭ সালে ব্রিটেনের সুই বার্কার সর্বশেষ স্ট্যানফোর্ড ওপেনের চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলেন। তার দীর্ঘ ৩৯ বছর পর ব্রিটেনের প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে স্ট্যানফোর্ডের শিরোপা জয়ের স্বাদ পেলেন জোহানা কন্টা। তার পারফর্মেন্স মুগ্ধ করেছে ভেনাস উইলিয়ামসকেও। এ প্রসঙ্গে আমেরিকান তারকা বলেন, ‘অনেক ভাল খেলেছে সে। ফাইনালে সেরাটাই খেলেছে। যেমন আপনি চান। ম্যাচে কখনই তাকে চাপের মধ্যে থাকতে দেখা যায়নি। প্রকৃতপক্ষে যোগ্য খেলোয়াড় হিসেবেই ফাইনাল জিতেছে কন্টা।’ সুদীর্ঘ ক্যারিয়ারে ৪৯টি শিরোপা জিতেছেন ভেনাস। স্ট্যানফোর্ড জিতে হাফসেঞ্চুরি পূর্ণ করার স্বপ্ন দেখেছিলেন সাত গ্র্যান্ডসøামের মালিক। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাকে হতাশ করলেন বিশ্ব টেনিসের ১৮ নাম্বারে থাকা কন্টা। তবে ব্রিটেনের এই প্রতিভাবান তারকা এই মৌসুমের শুরু থেকেই দুর্দান্ত খেলছিলেন। প্রথম গ্র্যান্ডসøাম টুর্নামেন্ট অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের প্রথম পর্বে এই ভেনাস উইলিয়ামসকে হারিয়েই। শেষ পর্যন্ত যেখানে সেমিফাইনালে জায়গা করে নিয়েছিলেন তিনি। শুধু তাই নয়, ইন্ডিয়ান ওয়েলস, মিয়ামি এবং ইস্টবোর্নেও পারফর্মেন্সের ধারাবাহিকতা প্রদর্শন করেছেন কন্টা। গত জুনে র‌্যাঙ্কিংয়ে তার অবস্থান ছিল ১৪৭। আর স্ট্যানফোর্ড জয়ের পর নতুন র‌্যাঙ্কিং অনুযায়ী ক্যারিয়ারের সর্বোচ্চ ১৪তম স্থানে জায়গা করে নেবেন কন্টা। অনেকের কাছে এটা বিস্ময়কর মনে হলেও কন্টা বললেন তা, প্রতিদিনের কঠোর অনুশীলনেরই ফল। এদিকে, ওয়াশিংটন ওপেনে আলো ছড়িয়েছেন ইয়ানিনা উইকমায়ার। এককের পর দ্বৈতেও চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করেছেন তিনি। বেলজিয়ামের এই টেনিস তারকা মহিলা এককে আমেরিকার লরেন ডেভিসকে হারিয়ে ক্যারিয়ারের পঞ্চম শিরোপা জয়ের স্বাদ পান। রবিবার ফাইনালে ইয়ানিনা উইকমায়ার ৬-৪ এবং ৬-২ সেটে পরাজিত করেন বিশ্ব র‌্যাঙ্কিংয়ের ১২২ নাম্বারে থাকা আমেরিকার লরেন ডেভিসকে। আর দ্বৈতে রোমানিয়ার মনিকা নিকুলেস্কোর সঙ্গে জুটি বেঁধে চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন তিনি। ওয়াশিংটন ওপেনের দুই শিরোপা জিতে দারুণ রোমাঞ্চিত উইকমায়ার। যেন বিশ্বাসই করতে পারছেন না বেলজিয়াম তারকা। এ বিষয়ে শিরোপা জয়ের পর টুর্নামেন্টের সপ্তম বাছাই উইকমায়ার বলেন, ‘প্রকৃতপক্ষেই আমার জন্য এটা বিস্ময়কর একটি সপ্তাহই বলতে হবে। এখানকার পরিস্থিতিও ছিল খুব উত্তপ্ত। যে কারণে কঠিন পরিস্থিতির মধ্য দিয়েই টুর্নামেন্টে খেলতে হয়েছে। এককের পর দ্বৈতেও চ্যাম্পিয়ন হতে পেরে আমি খুবই আনন্দিত।’ ২০০৯ সালে ইউএস ওপেনের সেমিফাইনালে জায়গা করে নিয়েছিলেন উইকমায়ার। এরপর থেকেই টেনিস কোর্টের আলোচিত নাম এই বেলজিয়ান। কিন্তু নিজেকে সেভাবে মেলে ধরতে পারছিলেন না তিনি। ওয়াশিংটন ওপেনের আগে তিনি চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলেন টোকিওতে। তাও আবার এক বছর আগে। দীর্ঘ এক বছর পর আবারও শিরোপা জয়ের স্বাদ পেয়ে দারুণ রোমাঞ্চিত এই টেনিস তারকা। এই টুর্নামেন্টের দ্বৈতে মনিকা নিকুলেস্কোকে নিয়ে উইকমায়ার পরাজিত করেন জাপানের জুটি শুকো ওয়ামা এবং রিসা ওজিকে। ফাইনালে তাদের ফলাফল ৬-৪ এবং ৬-৩। এদিকে ওয়াশিংটন ওপেনের পুরুষ এককে চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন ফ্রান্সের গায়েল মনফিলস। টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় বাছাই মনফিলস শিরোপা জয়ের লড়াইয়ে ৫-৭, ৭-৬ (৮/৬) এবং ৬-৪ সেটে পরাজিত করেন ক্রোয়েশিয়ার এভা কার্লোভিচকে। এটি তার ক্যারিয়ারের ষষ্ঠ শিরোপা। আর ২০১৪ সালের পর প্রথম ডব্লিউটিএ শিরোপা। আর আউটডোরে গত দশ বছরেরও বেশি সময়ের পর এটাই তার প্রথম ট্রফি। দীর্ঘদিনের শিরোপা-খরা ঘুচিয়ে ওয়াশিংটন ওপেন জিতে দারুণ রোমাঞ্চিত মনফিলস। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমি খুবই আনন্দিত।
×