ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

তিন ফরমেটেই খেলতে চান নাসির

প্রকাশিত: ০৬:৩১, ২৬ জুলাই ২০১৬

তিন ফরমেটেই খেলতে চান নাসির

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের অনুশীলন ক্যাম্প বেশ জোরেশোরেই চলছে। অক্টোবরে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ঘরোয়া সিরিজ উপলক্ষে ৩০ জনের প্রাথমিক দল আপাতত ফিটনেস নিয়েই কাজ করছে। যদিও এ অনুশীলনে নেই জাতীয় দলের প্রধান কোচিং স্টাফরা। তবে সেটাকে তেমন অসুবিধার কিছু মনে করছেন না অলরাউন্ডার নাসির হোসেন। ইংল্যান্ড দল আসলে দীর্ঘ প্রায় ১৪ মাস পর টেস্ট এবং প্রায় ১০ মাস পর ওয়ানডে খেলতে নামবে বাংলাদেশ দল। সেটাকেও তেমন সমস্যা মনে করছেন না তিনি। নাসির মনে করেন ম্যাচ প্র্যাকটিসের সুযোগ থাকলে ওয়ানডের ধারাবাহিকতা ধরে রাখা সম্ভব হবে। আর দেশের মাটিতে টেস্ট সিরিজ হওয়াতে খুব বেশি সমস্যায় পড়বে না দল। অবশ্য, সাম্প্রতিক সময়ে দলে থাকলেও একাদশে অনিয়মিত ছিলেন নাসির। সে বিষয়ে তিনি জানান বিষয়টি ম্যানেজমেন্টের ওপর নির্ভরশীল। তবে তিনি নিজে থেকে সর্বোচ্চ চেষ্টা করছেন ভাল কিছু করে দেখানোর। আর দারুণ কিছু করেই আবার তিন ফরমেটের ক্রিকেটেই নিয়মিত হওয়ার প্রত্যয় জানিয়েছেন তিনি। সোমবার মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ফিটনেস ট্রেনিংয়ের পর এসব কথা বলেন নাসির। স্কিল ট্রেনিংয়ের আগেই ফিটনেস ক্যাম্প চলছে জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের। দীর্ঘদিন আন্তর্জাতিক ম্যাচের মধ্যে না থাকা এবং প্রায় এক মাস কোন ধরনের প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেট না খেলার কারণেই ক্রিকেটারদের ফিটনেস পরখ করা হচ্ছে। তবে সেখানেও নেই জাতীয় দলের ট্রেনার মারিও ভিল্লাভারায়ন। এ বিষয়ে নাসির বলেন,‘ ফিটনেস জিনিসটা সম্পূর্ণ নিজের ওপর। বিদেশী কোচ বলে কথা না, আপনি নিজে যদি নিজের ওপর গুরুত্ব আরোপ না করেন তাহলে এটা উন্নতি করে না। আল্লাহর রহমতে আমরা সবাই নিজে থেকে চেষ্টা করছি। ফিটনেসের তো তেমন মৌলিক কিছু নেই। শুধু রানিং আর ছোটখাটো যা আছে সেসব দেখার জন্য তো ইফতি ভাই আছেই।’ গত বছর বাংলাদেশ দলের ছিল স্বর্ণালী সময়। নিজেদের ক্রিকেট ইতিহাসে সেরা সাফল্য পেয়েছে টাইগাররা। অনেকদিন পর ইংল্যান্ডের বিপক্ষে আবার সিরিজ দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরবে বাংলাদেশ দল। এ বিষয়ে নাসির বলেন, ‘আমি মনে করি ম্যাচ প্র্যাকটিস হচ্ছে সবচেয়ে বড় প্র্যাকটিস। আমরা হয় তো অনেকদিন ধরে আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলছি না। আমি জানি না ইংল্যান্ড আসবে নাকি আসবে না। তারপরও আমাদের চেষ্টা থাকবে বা আমাদের কোচিং স্টাফের চেষ্টা থাকবে ওখান থেকে বের হয়ে আসা। আমি যতটুকু জানি সিরিজের আগে আমরা নিজেদের মধ্যে পাঁচ-সাতটা ম্যাচ খেলব। এতে আমরা জড়তা কাটিয়ে উঠতে পারব বলেই মনে করি।’ ১৪ মাস পর আবার টেস্ট ক্রিকেটে ফিরবে বাংলাদেশ। নিয়মিত না খেলে দীর্ঘপরিসরের ক্রিকেটে ভাল করা কঠিন চ্যালেঞ্জ যেকোন দলের জন্যই। নাসির অবশ্য বললেন, ‘টেস্ট অবশ্যই কঠিন। কিন্তু বাংলাদেশে হলে ঠিক আছে। আর যদি বাইরে হয় বাংলাদেশের জন্য একটু হলেও কঠিন। অবশ্যই আমাদের জন্য অনেক কঠিন হবে টেস্টটা। আমরা যত বেশি টেস্ট খেলব ভাল করার সুযোগ তত থাকে।’ ইংল্যান্ড আসবে কি আসবে না সেটা নিয়ে ক্রিকেটাররা চিন্তা না করে আপাতত নিজেদের উন্নতি করার দিকেই বেশি মনোযোগী। ১০ মাস পর এ সিরিজে ওয়ানডেও খেলতে নামবে বাংলাদেশ দল। এ বিষয়ে নাসির বলেন, ‘আমাদের প্রধান লক্ষ্য থাকবে আমরা যে ধারাবাহিকভাবে খেলেছি সেটা ধরে রাখা। আমরা ১০ মাস ধরে হয় তো ওয়ানডে খেলিনি। আমার মনে হয় না ওয়ানডেতে খুব একটা সমস্যা হবে।’ ক্যারিয়ারের শুরুতেই ফিনিসার হিসেবে নাম কামিয়ে ছিলেন নাসির। তবে পরবর্তীতে পড়তি ফর্মের জন্য দল থেকে ছিটকে যান। নিয়মিত হতে পারেননি এরপর। এমনটি টি২০ বিশ্বকাপে খেলাই হয়নি দলে থাকার পরও। নিজের বিষয়ে নাসির বলেন, ‘সবকিছু তো আমার হাতে নেই। এটা ম্যানেজমেন্টের হাতে। আর আমি আমার সাধ্যমত চেষ্টা করছি। অবশ্যই আমার ইচ্ছা থাকবে টি২০, টেস্ট বা ওয়ানডে বলেন- ভাল কিছু করে যেন আমি তিনটা ফরমেটেই খেলতে পারি।’ এবার প্রিমিয়ার ক্রিকেট লীগেও বেশ ভাল করেছেন নাসির। নিজের পারফর্মেন্স নিয়ে বেশ সন্তুষ্টই তিনি। তবে জাতীয় দলের একাদশে ঢুকতে এখন প্রতিযোগিতায় পড়ে গেছেন। শুভাগত হোম চৌধুরীকে খেলিয়েছে বাংলাদেশ এবং এবার তরুণ সৈকত আলী এসেছেন প্রিমিয়ার লীগে ভাল করায়। সবমিলিয়ে নাসির বলেন, ‘শুধু আমার জায়গা না। সবার জায়গাই অনেক কঠিন হয়ে গেছে। এখন অনেক পারফর্মার আছে। জাতীয় দলে এখন কেউ বলতে পারবে না এই জায়গাটা আমার। সবার জন্যই উন্মুক্ত আছে। ক্রিকেটারদের জীবনে সব মৌসুম এক রকম যায় না।’
×