ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

ঢাকার দিন রাত

প্রকাশিত: ০৪:০৬, ২৬ জুলাই ২০১৬

ঢাকার দিন রাত

ঢাকার আবহাওয়া অনেকটা লন্ডনের মতো হয়ে গেছে। কীরকম? আগাম আন্দাজ করা কঠিন রোদ থাকবে নাকি বৃষ্টি হবে। খুঁতখুঁতে কেউ বৃষ্টি হবে ভেবে বাসা থেকে বেরুনোর সময় ছাতা সঙ্গে নিলেন। কিন্তু তিন চার ঘণ্টা থাকল খটখটে রোদ। অবশ্য ছাতা এমন একটা বস্তু যেটি রোদেও সমান কাজে লাগে। কিন্তু ওই যে বললাম, ভদ্রলোক খুঁতখুঁতে, তিনি রোদের জন্য ছাতা বহন করবেন- সেটা হতেই পারে না। বাংলাদেশ গ্রীষ্মপ্রধান দেশ, বলা যায় দশ মাসই গরম থাকে। বর্ষাকালেও রোদের তেজ গনগনে। তারপরও রোদ থেকে বাঁচতে খুব সামান্য সংখ্যক পথচারীই ছাতা সঙ্গে রাখেন। শুধু রোদের কথাই বা বলি কেন, বর্ষাবাদলার দিনেও কয়ভাগ ঢাকাবাসী ছাতা নিয়ে ঘরের বাইরে বের হন? এটা কি বাঙালীর ফ্যাশন, মানে হাতে ছাতা রাখলে স্মার্টনেস নষ্ট হয়ে যাবে! নাকি উপেক্ষা, কিংবা উদাসীনতা? আর রেইনকোটের চল বুঝি শূন্যের কোঠায় নামতে বাকি নেই। বলেছি বটে রাজধানীর আবহাওয়া লন্ডনের মতো হয়ে গেছে। আসলে বলতে পারি হাফ লন্ডন। অন্তত গত সপ্তাহে পর পর কয়দিন রোদ-বৃষ্টির পালাবদল দেখে এটা বলা যেতে পারে। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ঠা ঠা রোদ, তাপমাত্রা ত্রিশ ডিগ্রীর ওপরে উঠে যাওয়া। আর দুপুরের পর ঝুম বৃষ্টি। কয়েক ঘণ্টা পর তাতে বিরতি, তবে মেঘলা মেঘলা বাকিটা সময়। সদ্য কানাডা থেকে বেড়াতে আসা আমাদের এক বড় ভাই ঢাকার এই আবহাওয়াকে বলে ফেললেন ‘দারুণ’। মানে গরমে তিনি কষ্ট পাচ্ছেন না। তাকে বললাম, ভায়া, হোটেলের এসি রুম থেকে বেরিয়ে এসি মোটরগাড়িতে উঠছেন। তাই টের পাচ্ছেন না গরম কাকে বলে। রাস্তায় পাঁচ মিনিট থাকুন, হাড়ে হাড়ে না হলেও ত্বকে ত্বকে ঠিকই টের পাবেন। বৃষ্টি মানেই তবে দুর্গতি! ঢাকায় কিছুতেই আমরা বৃষ্টি উপভোগ করতে পারছি না। বৃষ্টি হলেই পথঘাট করুণদশায় পতিত হওয়া। আছে ড্রেনেজ সমস্যা; আর জলজট। গণপরিবহনে যারা যাতায়াত করেন তাদের ভোগান্তি সবচেয়ে বেশি। বেশিরভাগ বাস স্টপেজেই নেই যাত্রী-ছাউনি। ফলে বৃষ্টিতে নাকাল হওয়া নিত্যনৈমিত্তিক। গত সপ্তাহে আবার রাজধানীবাসী ভীষণ যন্ত্রণা ভোগ করেছেন বৃষ্টির কারণে জলাবদ্ধতা এবং রেকর্ড-ভাঙ্গা যানজটে। বার বার একই কথা লিখতে যেমন ভাল লাগে না, পাঠকেরও নিশ্চয়ই পড়তে বিরক্ত লাগে। কিন্তু কী আর করা, ঢাকা যে বার বার তার পুরনো রেকর্ডই বাজিয়েই চলেছে; ঢাকাবাসীর সবচেয়ে বড় ভোগান্তি ও বিড়ম্বনারও পুনঃপুনঃ পুনরাবৃত্তি ঘটিয়ে চলেছে। মাঝ-শ্রাবণের মাত্রাছাড়া গরমে প্রতিদিন বৃষ্টি আশীর্বাদস্বরূপ বটে। অথচ জলাবদ্ধতার কারণে রাস্তায় চলাচল কঠিন হয়ে পড়লে সেই আশীর্বাদই আবার অভিশাপ বলে মনে হয়। কী যে এক বৈপরীত্য! বৃষ্টি কি আর হিসাব করে আসে! অফিসযাত্রী ভাবেন, তিনি কর্মক্ষেত্রে পৌঁছানোর পর কেন বর্ষা আসে না? তাকে নাজেহাল করার জন্য ঠিক অফিস টাইমেই ঝরঝর ঝরতে হবে! আর বাইরে যাওয়ার যার তাড়া নেই তার জন্যে সকাল কী আর সন্ধ্যা কী। একসময় বৃষ্টি হলেই হলো। বৃষ্টিবিলাসীতা কমবেশি রয়েছে প্রায় সব বাঙালীরইÑ এমন কথা বললে কি বড় ভুল হবে? তা না হলে কবি রবীন্দ্রনাথ বর্ষা নিয়ে এত গান লিখবেন কেন! বর্ষার দিনে বৃষ্টির গান মানুষকে উদাস করে। সে ফিরে যায় শৈশবের দিনগুলোয়। গত সপ্তাহে রাজধানীর মালিবাগ মোড় থেকে মৌচাক মার্কেট ছাড়িয়ে মগবাজার যাওয়ার সড়ক ছিল জলমগ্ন। উড়ালসড়ক নির্মাণ কাজের জন্য সড়কের বিভিন্ন অংশ এখনও বিধ্বস্ত। বৃষ্টি ও জলাবদ্ধতার কারণে মৌচাক মোড় থেকে রামপুরার দিকে যাওয়ার রাস্তায় প্রত্যেক দিনই প্রচণ্ড যানজট। শান্তিনগর-মালিবাগ-বাসাবো, মতিঝিল-সূত্রাপুর, মিরপুর-শেওড়াপাড়া-কালশী প্রভৃতি নিচু এলাকার জলাবদ্ধতার সমস্যা এবং পানি সেখান থেকে সরতেই চায় না। দীর্ঘদিনের সমস্যা জলাবদ্ধতা দূর করতে বিশেষ প্রকল্প নিয়ে শতাধিক কোটি টাকা ব্যয় করার পরও যদি কাজের কাজ কিছুই না হয় তাহলে তার জবাব কী? সেদিন একটি সংবাদপত্রে ‘জলে গেছে জলাবদ্ধতা দূর করার টাকা’ শিরোনামের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাজধানী মহানগরের জন্য নেয়া প্রকল্পটি শেষ হওয়ার পর কোন এলাকাতে কোন উন্নতি হয়নি। প্রকল্প না নিলে যেমন হতো তেমনিই জলাবদ্ধতা বেড়েছে। প্রকল্পের ব্যয় ১৪৬ কোটি টাকা থেকে বাড়িয়ে ২০৩ কোটি টাকা পর্যন্ত নেয়া, বাস্তবায়নে সময় ৫ বছরের স্থলে ১০ বছর লাগানোর পর ফলাফল শূন্য। এটা কেমন করে হলো? প্রকল্পেই ত্রুটি, নাকি বাস্তবায়নে পুকুরচুরি হয়েছে? নজরদারি কি একেবারেই নেই? ওয়াসার কর্মকর্তারা শুধু দাবি করতে পেরেছেন যে, শেরাটন হোটেলের সামনে ও বিজয় সরণিতে পানি জমছে না। আর পরিকল্পনা কমিশনের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ (আইএমইডি) তাদের প্রতিবেদনে বলেছে, প্রকল্পের অনেক কাজেরই বাস্তবে নমুনা পাওয়া যায়নি। সরেজমিন চিড়িয়াখানা সাড়ে তিন বছর পর জাতীয় চিড়িয়াখানার উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় সাড়ে তিন মাস আগে। ওই বৈঠকের সংবাদ পড়ে বড়ই আশান্বিত হয়েছিলাম। যাক শেষ পর্যন্ত আমাদের চিড়িয়াখানাটির আধুনিকায়ন ঘটতে চলেছে। মিরপুর চিড়িয়াখানা নামে পরিচিত ঢাকা চিড়িয়াখানার নতুন নামকরণ হয় ‘বাংলাদেশ জাতীয় চিড়িয়াখানা’, তাও বছর দেড়েক হয়ে গেল। প্রতিবছর চিড়িয়াখানায় ৩০ থেকে ৪০ লাখ দর্শনার্থী যায়। প্রবেশমূল্য কুড়ি টাকা। রাজস্ব আয় মন্দ নয়। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রীর সভাপতিত্বে ওই বৈঠকে যোগ দেন দু’জন প্রতিমন্ত্রী, দু’জন সংসদ সদস্য, চিড়িয়াখানার কিউরেটর এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। বৈঠকের মূল সিদ্ধান্তগুলো পাঠকদের সঙ্গে শেয়ার করছি। সিঙ্গাপুরের জুড়ং বার্ড পার্কের আদলে সাজানো হবে চিড়িয়াখানাকে। দর্শকদের জন্য থাকবে সাইট-সিয়িং জিপ ও ওয়াটার বোট। আরও থাকবে ভাসমান রেস্তোরাঁ ও রাতযাপনের জন্য রিসোর্ট। বর্তমানে চিড়িয়াখানায় বিভিন্ন ধরনের দুই হাজারের বেশি প্রাণী ও পাখি রয়েছে। নতুন প্রাণী ও পাখি সংগ্রহ করার পরিকল্পনা চূড়ান্ত। বৈঠকে চিড়িয়াখানাকে আধুনিক করে তোলার জন্য নতুন লোকবল নিয়োগ, মিরপুর এক নম্বর গোল চত্বর থেকে চিড়িয়াখানার মূল প্রবেশপথ পর্যন্ত সড়কের দুই পাশের অবৈধ দোকান উচ্ছেদ এবং চিড়িয়াখানার ভেতরে আধুনিক রেস্তোরাঁ নির্মাণের অনুমোদন দেয়া হয়েছে। আধুনিকায়নের অংশ হিসেবে বিভিন্ন দেশ থেকে ৩৩ প্রজাতির প্রায় আড়াই শ’ প্রাণী ও পাখি আনা হবে। জানা যায়, বিভিন্ন দেশ থেকে শিম্পাঞ্জি, লাল বানর, গণ্ডার, উটপাখি, আফ্রিকান সিংহ, সাদা সিংহ, চিতাবাঘ, হায়েনা, সাদা ও ধূসর পেলিকান, সালফার ক্রেস্টেড কাকাতুয়া, সারস, কেশোয়ারী প্রভৃতি সংগ্রহের প্রক্রিয়া চূড়ান্ত করা হয়েছে। মে মাসের মধ্যে সেগুলো আনার উদ্যোগ নেয়ার কথা ছিল। তবে উদ্যোগ নেয়া হলেও যে তা জুলাইয়ের ১৯ তারিখ পর্যন্ত বাস্তবায়ন হয়নি সেটা তো আমি সরেজমিন ঘুরেই বুঝতে পারলাম। সেদিন ছিল মঙ্গলবার। আমার ডে অফ। সদ্য সেভেনথ গ্রেডে ওঠা ছেলেকে কথা দিয়েছিলাম তার স্কুলের ঈদের ছুটি শেষ হওয়ার আগে চিড়িয়াখানায় নিয়ে যাব। প্রধান ফটক থেকে বেশ খানিকটা দূরেই গাড়ি থেকে নেমে গেলাম। কিছুটা পথ হেঁটে গেলে আশপাশের পরিবেশ সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যাবে। কিছুটা দূর থেকে চিড়িয়াখানা দেখে মনে হচ্ছিল পরিত্যক্ত কোন এলাকায় বোধহয় চলে এসেছি। আশপাশের রাস্তাঘাট জরাজীর্ণ। পর্যটককে আকর্ষণ করার মতো নয় একদমই। বরং বিকর্ষণই জাগা স্বাভাবিক। শিশুদের প্রধান আকর্ষণের একটি ঢাকা চিড়িয়াখানা। কিন্তু চিড়িয়াখানায় ঘুরে বেড়ানোর জন্য পথগুলো কি নির্বিঘœ? প্রাঙ্গণে কি খানাখন্দ, গর্তটর্ত নেই? সিঁড়িগুলো ঝক্কিহীন? প্রশ্নগুলোর উত্তরে বড় গলায় ইতিবাচক কিছু বলতে পারছি না। বর্ষাকাল তো আরও বিড়ম্বনাময়। জলকাদায় মাখামাখি হওয়ার শঙ্কা, সেইসঙ্গে পা পিছলানোরও দুর্ভাবনা থেকে যায়। বছর কুড়ি আগে কন্যাটিকে নিয়ে কলকাতার আলীপুর চিড়িয়াখানায় ঢুকেছিলাম। খুবই উপভোগ করেছিল মেয়েটি। বারবার তুলনা চলে আসছিল। কী বিপজ্জনক পশু, কী সরীসৃপ প্রাণী, কী পাখপাখালিÑ সর্বক্ষেত্রেই প্রদর্শন ও রক্ষণাবেক্ষণে সেটি অনেক বেশি পেশাদার ও আকর্ষণীয়। অনলাইনে আমাদের চিড়িয়াখানারই একটি বাঘের ছবি রয়েছে, ছবিটি দেখে ধারণা হয় বাঘ তার ঘুমানোর কক্ষ থেকে বেরিয়ে একটু প্রশস্ত জায়গায় ঘুরে বেড়াতে বেরিয়েছে। বাস্তব অবস্থার সঙ্গে মিলল না ওই ছবি। যে কয়টি বাঘের খাঁচার সামনে গেলাম মনে হলো কেমন যেন মিইয়ে রয়েছে সেগুলো, যেন অসুস্থ কিংবা ক্লান্ত। আশপাশে তেমন কোন পরিসর নজরে পড়ল না যেখানে বাঘ একটু হাত পা ছড়িয়ে খানিকটা হাঁটাচলা করতে পারবে। সিংহের খাঁচার সামনে গিয়ে মনে হলো প্রাণীটি এমন কোন গর্হিত অপরাধ করেছে যে তাকে ‘হাজতবন্দী’ রাখা হয়েছে। কোথায় বাঘ-সিংহ দেখে বাচ্চারা ভয় পাবে, ভয়মিশ্রিত আনন্দ পাবে, তা নয়। মায়া কিংবা করুণাই জাগবে তাদের। যে কোন আধুনিক চিড়িয়াখানাতেই বাঘ কিংবা সিংহ রাখা হয় বড় একটি এলাকা নিয়ে। যদিও ছোট কুঠুরিও থাকে, বিশ্রামের জন্য সে-কুঠুরিতে প্রাণীগুলো প্রবেশ করে। কিন্তু দৌড়ে বেড়ানো, লাফ দেয়ার জন্য যথেষ্ট পরিসর রাখা হয়। আমাদের চিড়িয়াখানা কি বাঘ-সিংহের জন্য জেলখানা? হাতির পায়েও শেকল দেখলাম। শকুন চিল জাতীয় পাখিগুলোরও দম আটকে যাওয়ার কথাই বেশ ছোট ও নিচু ঘরে। অবশ্য পেঁচিয়ে পড়ে থাকা সাপের আলসেমি, বানরের বাঁদরামি, আর ছোট ছোট ময়ূরের পেখম ছড়ানো দেখে কিছুটা সান্ত¡না পাবেন দর্শনার্থীরা। চিড়িয়াখানার সার্বিক উন্নয়ন জরুরি জাতীয় স্বার্থেই। জঙ্গীবাদের বিরুদ্ধে গান আর কবিতার মিছিল ঢাকায় কত ধরনের মিছিলই না হয়। এমনকি প্রতিবাদ-প্রতিরোধের পাশাপাশি আনন্দমিছিলও। কিন্তু কবিতা আবৃত্তি করতে করতে কিংবা গান গাইতে গাইতে মিছিল? আগে দেখিনি। তবে লন্ডনের ব্রিকলেনে এমন একটি গান ও কবিতার মিছিলে যোগ দেয়ার সুযোগ হয়েছিল। সংহতি সাহিত্য সংসদ লন্ডনে কবিতা উৎসবের আয়োজন করে থাকে। সেখানে আলতাব আলী পার্কের শহীদ মিনার থেকে উৎসবকেন্দ্র পর্যন্ত পথটুকু গান ও কবিতার ভেতর দিয়ে অতিক্রম করার রেওয়াজ দেখেছিলাম। যাহোক, কবি এবং গানের শিল্পীরা রাজধানীর রাজপথে এর আগেও বিভিন্ন ইস্যুতে নেমেছেন। এই মিছিলটি দেখে অবশ্য ফিরে গেলাম সেই নব্বুইয়ের আন্দোলনের দিনগুলোতে। মনে পড়ে কবি সিকদার আমিনুল হক আর আমি পাশাপাশি ওই মিছিলে হেঁটেছিলাম কম করে হলেও পাঁচ মাইল। আর শনিবার যে মিছিলটি হলো ঢাকায় তাতে কবি ও সংস্কৃতিকর্মীরা পথ পাড়ি দিয়েছেন সাত কিলোমিটার। ‘মানবতা ও স্বদেশ ভাবনায় রুখে দাঁড়াও জঙ্গিবাদ’ সেøাগান নিয়ে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে গান ও কবিতার মিছিল বের করে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট। হাতিরঝিলের গুলশান প্রান্তে বিকেলে এ কর্মসূচি শেষ করার আগে হলি আর্টিজান বেকারিতে নিহত ব্যক্তিদের স্মরণে মোমবাতি প্রজ্বালন করা হয়। মহানগরের কোনো একটি সড়ক দিয়ে কোনো মিছিল গেলে আশেপাশের মানুষকে কতটা যুক্ত করা যায় সেটা একটা প্রশ্ন বটে। জনচাপ ও যান-আধিক্যের এই শহরে দিনের বেলা সড়কের ওপর কর্মসূচি পালন করার বাস্তব প্রতিবন্ধকতাগুলো আমরা এড়াতে পারি না। অনেক সময় ট্রাফিক সামলানোই বড় ব্যাপার হয়ে ওঠে। তবে বিকল্প হিসেবে ঢাকার সাতটি এলাকায় সপ্তাহব্যাপী (একেক এলাকায় একেকটা দিন) এ ধরনের কর্মসূচীর উদ্যোগ নিলে তা সুফল বয়ে আনবে বলে বিশ্বাস করি। একদিকে অপশক্তির বিরুদ্ধে মানুষের মনোজগতে প্রভাব তৈরি, অপরদিকে সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে মানুষকে আরো সম্পৃক্ত করাÑ দুটো কাজই এগিয়ে নেয়া সম্ভবপর হতে পারে। ২৪ জুলাই ২০১৬ সধৎঁভৎধরযধহ৭১@মসধরষ.পড়স
×