ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

আগামী ১৩ বছর পর দেশে আর গ্যাস পাওয়া যাবে না: পরিকল্পনামন্ত্রী

প্রকাশিত: ০২:৩৫, ২৫ জুলাই ২০১৬

আগামী ১৩ বছর পর দেশে আর গ্যাস পাওয়া যাবে না: পরিকল্পনামন্ত্রী

সংসদ রিপোর্টার ॥ ২০২১ সালের মধ্যে দেশের সব মানুষের ঘরে বিদ্যুতের আলো জ্বলবে। আগামী পাঁচ বছরে ১ কোটি ৩৩ লাখ ৪৫ হাজার গ্রাহককে প্রি-পেইড মিটারের আওতায় আনা হবে। এলক্ষে একটি পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে। আগামী ২/৩ বছরের মধ্যে এই কার্যক্রম সম্পন্ন হবে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুত প্রতিমন্ত্রীর পক্ষে পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। সোমবার জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে সরকারি দলের সংসদ সদস্য এম আবদুল লতিফের প্রশ্নোত্তরে মন্ত্রী আরও জানান, লাইফ লাইন গ্রাহক যাদের মাসিক বিদ্যুত ব্যবহার ৫০ কিলোওয়াট আওয়ারের নিচে তাদের আর্থ-সামাজিক অবস্থা বিবেচনায় আপাততঃ প্রি-পেইড মিটারিং কার্যক্রমের আওতাভুক্ত করা নেই। অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তেলের মূল্য কমানো হলেও দেশের জনগণ এর সুফল পায়নি। আর গ্যাসের যে চাহিদা অব্যহত রয়েছে তাতে আগামী ১৩ বছর পর দেশে আর গ্যাস পাওয়া যাবে না। তাই প্রাকৃতিক গ্যাসের উপর চাপ কমাতে এলপিজি গ্যাসের উপর গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। গোলাম দস্তগীর গাজীর প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, ২০২১ সাল নাগাদ সবার জন্য বিদ্যুত সুবিধা নিশ্চিত করতে উৎপাদন ক্ষমতা ২৪ হাজার মেগাওয়াটে উন্নীত করার কার্যক্রম চলছে। এর অংশ হিসেবে সরকারি খাতে ৭ হাজার ৭৬ মেগাওয়াট ক্ষমতার ১৭টি এবং বেসরকারি খাতে ৩ হাজার ৬৮১ মেগাওয়াট ক্ষমতার ১৪টি বিদ্যুত কেন্দ্রসহ মোট ১০ হাজার ৭৫৭ মেগাওয়াট ক্ষমতার ৩১টি বিদ্যুত কেন্দ্র নির্মাণাধীন রয়েছে। বিদ্যুত কেন্দ্রসমূহ ২০১৬ থেকে ২০২০ সালের মধ্যে পর্যায়ক্রমে চালু হবে বলে আশা করা যায়। তিনি জানান, সরকারি খাতে ২ হাজার ১৮৮ মেগাওয়াট ক্ষমতার ৭টি এবং বেসরকারি খাতে ৩ হাজার ৪৮৫ মেগাওয়াট ক্ষমতার ২৬টি বিদ্যুত কেন্দ্রসহ মোট ৫ হাজার ৬৭৩ মেগাওয়াট ক্ষমতার ৩৩টি বিদ্যুত কেন্দ্র নির্মাণের উদ্দেশ্যে দরপত্র প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। সরকারি খাতে ৫ হাজার ৬৯৫ মেগাওয়াট ক্ষমতার ৮টি বিদ্যুত কেন্দ্র নির্মাণ পরিকল্পনাধীন রয়েছে। আগামী ২০১৮ সালের জুন নাগাদ ভারত থেকে আরও ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুত আমদানির কার্যক্রম চলছে। সংসদ সদস্য রহিম উল্লাহ’র প্রশ্নের জবাবে পরিকল্পনামন্ত্রী জানান, আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধি পেলেও স্থানীয় বাজারে এর প্রভাব সবসময় পড়ে না। সম্প্রতি সরকার স্থানীয় বাজারে জ্বালানি তেলের মূল্য কিছুটা কমালে পরিবহন বা অন্যখাতে এর সুফল জনগণ তেমন পায়নি। সংসদে মন্ত্রীর দেওয়া তথ্যানুযায়ী, ২০১১ সালে আন্তর্জাতিক বাজারে যে হারে জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছিল, দেশে জনগণের সুবিধা বিবেচনা করে সরকার সে হারে স্থানীয় বাজারে মূল্যবৃদ্ধি করেনি। এইখাতে বিপিসি তথা সরকার প্রচুর পরিমাণে লোকসান/ ভর্তুকী প্রদান করেছে। ২০১১ সালে লিটার প্রতি সর্বোচ্চ ৩২ দশমিক ২৪ টাকা (ডিজেলে) ভর্তুকী প্রদান করা হয়েছিল। ফলে আন্তর্জাতিক বাজারের মূল্য বৃদ্ধির প্রভাব স্থানীয় বাজারে সম্পূর্ণরূপে পড়েনি।
×