ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

মোটরসাইকেল চুরির মামলায় সাজা ॥ সিভিল সার্জনের গাড়ি চালক সাময়ীক বরখাস্ত

প্রকাশিত: ০১:২৪, ২৫ জুলাই ২০১৬

মোটরসাইকেল চুরির মামলায় সাজা ॥ সিভিল সার্জনের গাড়ি চালক সাময়ীক বরখাস্ত

নিজস্ব সংবাদদাতা, ঠাকুরগাঁও ॥ মোটরসাইকেল চুরির মামলার রায়ে আদালত ঠাকুরগাঁও সিভিল সার্জনের গাড়ি ও হাসপাতালের এ্যাম্বুলেন্স চালক আব্দুল জলিলকে ২ বছরের সাজা দেওয়ায় তাকে সোমবার চাকুরী থেকে সাময়ীক বরখাস্থ করা হয়েছে। জানা যায়, ২০০৭ সালের ২০ এপ্রিল গভীর রাতে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার ভাতগাঁ গ্রামের বাসিন্দা কৃষক শহিদুর রহমানের বাড়ি থেকে জংশন ১২৫সিসি ও কক্স ১০০সিসি দুইটি মোটর সাইকেল চুরি হয়। এঘটনায় পরবর্তীতে থানায় মামলা দায়ের করা হলে পুলিশ চুরির অভিযোগ তদন্ত শুরু করে। এক পর্যায়ে মোটর সাইকেল চুরির প্রত্যক্ষ এক স্বাক্ষী নোটারী পাবলিকের মাধ্যমে আদালতে চোরদের সনাক্ত করে জানান, ২০০৭ সালের ২০ এপ্রিল রাত ৩ টার ঠাকুরগাঁও বেতার কেন্দ্রের উত্তর পূর্বপার্শ্বে দু’টি মোটর সাইকেল ঠাকুরগাঁও সদর হাসপাতালের এ্যাম্বুলেন্সের ভিতরে তুলে নিয়ে যেতে দেখেছেন চালক আব্দুল জলিলসহ ৫/৬ জন ব্যক্তিকে। পরবর্তীতে আরও স্বাক্ষী সবুদে মামলার অভিযোগ প্রমাণিত হলে ২০১৪ সালের ২১ আগষ্ট ঠাকুরগাঁও চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (ভারপ্রাপ্ত) জুলফিকার আলী খান মোটর সাইকেল চুরি মামলার অভিযুক্ত আসামী এ্যাম্বুলেন্স চালক আব্দুল জলিল ও তার সহচর ইউসুফকে দু’টি ধারায় ২ বছর সশ্রম কারাদন্ড ও ২ হাজার টাকা জড়িমানা অনাদায়ে ২ মাসের বিনাশ্র্রম কারাদন্ডের আদেশ প্রদান করেন। পরবর্তীতে এ আদেশর বিরুদ্ধে ও পূণবিচারের আবেদন জানিয়ে জেলা জজ আদালতে আপীল করা হয়। সেখানে মামলা পূণ বিচার বিশ্লেসনের পর গত ২ জুন অতিরিক্ত দায়রা জজ মো. হায়দার আলী নিু আদালতের আদেশ বহাল রাখেন এবং আসামীদের জামিন বাতিল করেন। এ রায়ের পর আসামীদ্বয় নিু আদালতে আত্মসমর্পন করলে তাদের জেল হাজতে প্রেরণের আদেশ দেন। এব্যাপারে ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন ডা. আবু মো. খয়রুল কবির জানান, সোমবার আদালতের আদেশ হাতে পেয়ে গাড়ি ও হাসপাতালের এ্যাম্বুলেন্স চালক আব্দুল জলিলকে চাকুরী থেকে সাময়ীক বরখাস্ত করা হয়েছে।
×