ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

আমদানি করা লোহার তেজস্ক্রিয়তা পরীক্ষা বাধ্যতামূলক হচ্ছে

প্রকাশিত: ০৭:১৪, ২৫ জুলাই ২০১৬

আমদানি করা লোহার তেজস্ক্রিয়তা পরীক্ষা বাধ্যতামূলক হচ্ছে

এম শাহজাহান ॥ আমদানিকৃত লোহার তেজস্ক্রিয়তা পরীক্ষা বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে। জনস্বাস্থ্যের জন্য হুমকি হতে পারে এ ধরনের কোন পণ্যই আর পরীক্ষা-নিরীক্ষা ছাড়া বন্দর থেকে খালাসের অনুমতি দেবে না সরকার। এ লক্ষ্যে এবার লোহার তেজস্ত্রিয়তা পরীক্ষা করার বিষটি গুরুত্বের সঙ্গে নেয়া হয়েছে। বিদেশ থেকে আমদানি করা পুরনো ইস্পাত বা লোহার পণ্যে তেজস্ক্রিয়তার দূষণ রয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। এতদিন বিষয়টি আমলে নেয়া না হলেও এখন থেকে বন্দরে নিয়মিত লোহার তেজস্ত্রিয়তা পরীক্ষা করা হবে। এজন্য বাংলাদেশ এ্যাটমিক এনার্জি কমিশন (বিএইসি) এবং বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ড এ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউটের (বিএসটিআই) সক্ষমতা বাড়ানো হয়েছে। খবর সংশ্লিষ্ট সূত্রের। জানা গেছে, দেশের অবকাঠামো খাতে বিনিয়োগ বাড়ায় পুরনো লোহা ও লৌহজাতপণ্যের আমদানি বেড়েছে। গত ২০১৩-১৪ অর্থবছরে ২ লাখ ৫৪ হাজার টন পুরনো লোহার পণ্য আমদানি করা হয়। এর পরের অর্থবছরে তা বেড়ে দাঁড়ায় ৭ লাখ ৯১ হাজার টনে। গত অর্থবছরে আমদানি আরও বেড়েছে। আগে কন্টেনারে আমদানি হতো এসব পণ্য। তবে এখন খোলা (বাল্ক) জাহাজে বোঝাই করে পুরনো লোহা আমদানি করা হচ্ছে। জাপান, চীন ও ভারতসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে পুরনো লোহা আমদানি করা হচ্ছে। লৌহজাত এসব পণ্য তেজস্ক্রিয়তা পরীক্ষা না করেই খালাস করা হচ্ছে বন্দরে। যদিও আমদানি নীতি আদেশ অনুযায়ী পুরনো লোহার পণ্য আমদানির সময় রফতানিকারক দেশের উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে তেজস্ক্রিয়তা পদার্থমুক্ত সনদ লাগবে। শুধু এ সনদ থাকলে বন্দর দিয়ে খালাস করা যাবে এসব পণ্য। তবে একই ধরনের সনদ থাকার পরও গুঁড়াদুধ, ভোজ্যতেলসহ বিভিন্ন খাদ্যপণ্য খালাসের সময় পরমাণু শক্তি কমিশনে তেজস্ক্রিয়তার পরীক্ষা করতে হয়। দুগ্ধ ও দুগ্ধজাত খাদ্যদ্রব্যের সর্বোচ্চ গ্রহণযোগ্য তেজস্ত্রিয়তার সীমা প্রতি কিলোগ্রামে সিজিয়াম-১৩৭-এর ৯৫ বিকিউ এবং অন্য খাদ্যদ্রব্যের জন্য সর্বোচ্চ গ্রহণযোগ্য তেজস্ত্রিয়তার সীমা প্রতি কিলোগ্রাম সিজিয়াম-১৩৭-এর ৫০ বিকিউ। আমদানিকৃত দ্রব্যাদিতে বিদ্যমান সিজিয়াম-১৩৭-এর তেজস্ত্রিয়কতার কোন প্রকার তরলীকরণ, ঘনীভূতকরণ বা প্রক্রিয়াকরণ ব্যতিরেকে যে অবস্থায় বন্দরে পৌঁছবে তদবস্থায় বিবেচ্য হবে। স্থানীয় দ্রব্যাদির ক্ষেত্রে বাজারজাত অবস্থায় সিজিয়াম-১৩৭-এর তেজস্ক্রিয়তার পরিমাণ ধরা হবে। এ সর্বোচ্চ গ্রহণযোগ্য তেজস্ত্রিয়তার সীমা সরকার কর্তৃক সময় সময় পুনঃনির্ধারিত হতে পারবে। বিএনসিসির সন্ত্রাস ও জঙ্গীবিরোধী র‌্যালি বাংলাদেশ ন্যাশনাল ক্যাডেট কোর (বিএনসিসি) আয়োজিত দেশব্যাপী সকল বিভাগীয় শহরে শনিবার সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদ বিরোধী র‌্যালি অনুষ্ঠিত হয়েছে। ঢাকার র‌্যালিতে তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, এমপি প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। তথ্যমন্ত্রী তাঁর বক্তৃতায় বলেন, জাতির জনকের নেতৃত্বে আমরা জয়লাভ করেছি। আজও জঙ্গীবাদ ও সন্ত্রাসবিরোধী যুদ্ধে আমরা বিএনসিসি ক্যাডেটদের ও জনগণকে সঙ্গে নিয়ে জয়লাভ করব। র‌্যালির নেতৃত্ব দেন বিএনসিসির মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এস এম ফেরদৌস। তিনি জঙ্গীবাদের বিরুদ্ধে একযোগে রুখে দাঁড়ানোর জন্য বিএনসিসি ক্যাডেটদেরকে শপথ বাক্য পাঠ করান। র‌্যালির সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন বিএনসিসির রমনা রেজিমেন্ট কমান্ডার লেঃ কর্নেল এস এম সালাহউদ্দিন। -আইএসপিআর
×