ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

শেখ জামালকে রুখে দিল আরামবাগ

প্রকাশিত: ০৫:৫১, ২৫ জুলাই ২০১৬

শেখ জামালকে রুখে দিল আরামবাগ

স্পোর্টস রিপোর্টার, চট্টগ্রাম থেকে ॥ খেলায় যেমন সমতা, তেমনি লাল কার্ডেও সমতা! নতুন আঙ্গিকে রবিবার পর্দা উঠেছে ঘরোয়া ফুটবলের সবচেয়ে বড় আসর বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগ। এতে উদ্বোধনী খেলায় গত দুইবারের চ্যাম্পিয়ন শেখ জামাল ধানম-ি ক্লাব লিমিটেডকে শেষ মুহূর্তে রুখে দিয়েছে দেশীয় ফুটবলের নতুন ফুটবল শক্তি আরামবাগ ক্রীড়া সংঘ। উভয় দলের খেলাটি ড্র হয় ১-১ গোলে। খেলার প্রথমার্ধে শেখ জামাল এগিয়ে ছিল ১-০ গোলে। ফেডারেশন কাপে এই জামালকেই কোয়ার্টার ফাইনালে টাইব্রেকারে ৫-৪ (২-২) গোলে হারিয়ে আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল আরামবাগ। রবিবারের দ্বৈরথে ড্র করে সেই হারের বদলাটা অল্পের জন্য নিতে পারল না জামাল। পেশাদার লীগের সর্বশেষ দুই আসরের চ্যাম্পিয়ন শেখ জামাল (মোট লীগ শিরোপা তিন)। তবে বাস্তবতা হচ্ছেÑ আগের মতো তাদের সেই শক্তিমত্তা আর নেই। তারা এখন ক্ষয়িষ্ণু ও ভঙ্গুর শক্তি। আইনী জটিলতায় তারা হারিয়েছে আট নির্ভরযোগ্য ফুটবলারকে। তার ওপর ক’দিন আগে কোচের পদ থেকে শফিকুল ইসলাম মানিক বরখাস্ত হওয়ায় দল এখন কোচবিহীন! দলের হাইতিয়ান ফরোয়ার্ড ওয়েডসন এ্যানসেলমে ভারতীয় ক্লাব ইস্টবেঙ্গল ও মোহনবাগানে যোগ দেবেন বলে জোর গুজব রটেছে। সদ্যসমাপ্ত ফেডারেশন কাপে অসাধারণ খেলে রানার্সআপ হয়ে তাক লাগায় আরামবাগ। তাদের প্রত্যাশাÑ ভাল ফুটবল খেলা। ফেডারেশন কাপের ফলের ধারাবাহিকতা লীগেও রক্ষা করতে চায় দলটি। তারই কিছুটা ঝলক মিলল রবিবার। আগে গোল হজম করেও লড়াকু মনোভাব প্রদর্শন করে গোল শোধ দিয়ে রুখে দেয় শেখ জামালকে। আরামবাগের কোচ সাইফুল বারী টিটু ম্যাচ শেষে বলেন, ‘হতাশাজনক শুরু। সিলি মিসটেকে গোল খেয়েছি। দ্বিতীয়ার্ধে ভাল খেলেছি কৌশল পাল্টে। তারপরও বলব আমাদের শুরুটা মন্দ হয়নি।’ খেলার অন্তিম মুহূর্তে বল ছাড়াই বাদানুবাদ ও পরে হাতাহাতিতে জড়ান জামালের নাইজিরিয়ান ফরোয়ার্ড এমেকা ডার্লিংটন এবং আরামবাগের ঘানাইয়ান ডিফেন্ডার ইসাহ্ ইউসিফ। রেফারি জালালউদ্দিন কোন দ্বিধা ছাড়াই লাল কার্ড দেখিয়ে দুজনকেই মাঠ ছাড়া করেন। ১৫ মিনিটে আগে গোল করে এগিয়ে যায় জামাল। মিডফিল্ডার রাকিব সরকারের কাছ থেকে পাস পান এমেকা। ডি-বক্সের বাঁদিক দিয়ে ভেতরে ঢুকে পড়েন তিনি। তারপর ডান পায়ের যে জোরালো শটটি নেন, তা পোস্টে লেগে বল আশ্রয় নেয় জালে। ফুল ডাইভ দিয়েও বলের নাগাল পাননি আরামবাগ গোলরক্ষক-অধিনায়ক মিতুল হাসান (১-০)। এরপর উভয় দলই একাধিক আক্রমণ শাণিয়েও গোলের দেখা পায়নি। বিরতির পর খেলার ধরন পাল্টে ফেলে টিটুর শিষ্যরা। তবে কিছুতেই সমতা আনতে পারছিল না তারা। যখনই মনে হচ্ছিল জামালই বুঝি জিতে পূর্ণ তিন পয়েন্ট অর্জন করতে যাচ্ছে, তখনই ঝটিকা আক্রমণ থেকে গোল শোধ করে ফেলে আরামবাগ। ম্যাচের তখন ৯০ মিনিট শেষ। চলছে ইনজুরি সময়ের খেলা। সতীর্থ-ডিফেন্ডার মনসুর আমিনের কাছ থেকে থ্রু পাস পেয়ে প্রতিপক্ষের ছোট বক্সের ভেতর ঢুকে পড়েন জাতীয় দলের ক্যাম্পে ডাক পাওয়া আরামবাগের তরুণ মিডফিল্ডার মোঃ আবদুল্লাহ্। তিনি ডান পায়ের তীব্র যে শটটি নেন, তা জামালের অতন্দ্র প্রহরী মাজহারুল ইসলাম হিমেল ঝাঁপিয়ে পড়েও শেষরক্ষা করতে পারেননি (১-১)। উল্লাসে ফেটে পড়ে আরামবাগ শিবির।
×