ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

ফলোঅনে পড়ে দ্বিতীয়বার ব্যাটিং করছে স্বাগতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজ, ৪/৬৬- শামির দুর্দান্ত প্রত্যাবর্তন, ভারতীয় ‘পেসার হিসেবে’ দ্রুত ৫০ টেস্ট উইকেট শিকারের রেকর্ডে ভেঙ্কটেস প্রাসাদের পাশে নাম লেখালেন এই ডানহাতি

এ্যান্টিগা টেস্টে ভারতের দাপট

প্রকাশিত: ০৫:৫০, ২৫ জুলাই ২০১৬

এ্যান্টিগা টেস্টে ভারতের দাপট

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ প্রথমে অধিনায়ক বিরাট কোহলির ম্যারাথন ডাবল সেঞ্চুরি, রবিচন্দ্রন অশ্বিনের সেঞ্চুরি, এরপর মোহাম্মদ শামি ও উমেশ যাদবের দুর্দান্ত বোলিংÑ সব মিলিয়ে এ্যান্টিগা টেস্টে চলছে ভারতের দাপট। তিন দিনেই কোণ্ঠাসা স্বাগতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজ। প্রথম ইনিংসে সফরকারীদের ৫৬৬/৮ (ডিক্লে.) -এর জবাবে ২৪৩ রানে অলআউট জেসন হোল্ডারের দল ফলোঅনে পড়ে দ্বিতীয়বার ব্যাটিং করছে। তৃতীয় তিন শেষে ১ উইকেট হারিয়ে তাদের সংগ্রহ ২১ রান। ইনিংস হার এড়াতে চাই আরও ৩০২! পরিস্থিতি যা, তাতে বৃষ্টি বা অন্য কোন কারণ ছাড়া চার ম্যাচ সিরিজের প্রথম টেস্টে ক্যারিবীয়দের পক্ষে হার এড়ানো অসম্ভব! ৪ শিকারে ভারতের হয়ে দ্রুত ৫০ উইকেটের রেকর্ডে সাবেক তারকা ভেঙ্কেটেস প্রসাদের পাশে নাম লিখিয়েছেন ইনজুরি কাটিয়ে ফেরা ‘পেসার’ শামি। উইন্ডিজকে গর্তে ঢুকিয়ে দেয়ার পথে দারুণ বোলিং করেছেন যাদব আর অমিত মিশ্রও। রানের পাহাড়ে চাপা পড়ে প্রথম ইনিংসেই খেই হারায় ক্যারিবীয়রা। স্বাগতিকদের হয়ে সর্বোচ্চ ৭৪ রান করে ওপেনার ক্রেইগ ব্রেথওয়েট, আর শেষদিকে শেন ডরিখই যা একটু প্রতিরোধ গড়েছেন। সর্বোচ্চ ৭৪ রান করে আউট হন ব্রেথওয়েট। ১৪৪ রানে ৭ উইকেট হারানো উইন্ডিজকে বড় লজ্জা থেকে বাঁচিয়েছেন ডরিখ। আট নম্বরে নেমে অপরাজিত ৫৭ রান করেছেন উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান। অধিনায়ক হোল্ডারের অবদান ৩৬। ইনজুরি কাটিয়ে ১ বছর ৪ মাস পর ভারতের জার্সিতে নেমেই আগুন ঝরিয়েছেন শামি। ইনিংসে তার বোলিং বিশ্লেষণ ২০-৪-৬৬-৪। এর মধ্য দিয়ে ১৩ টেস্টে ৫০ উইকেটের ল্যান্ডমার্কে পা রাখেন ২৫ বছর বয়সী পেসার। ভারতী ‘পেসার হিসেবে’ সাদা পোশাকে দ্রুততম শিকারের হাফসেঞ্চুরির যৌথ রেকর্ড এটি। এতদিন এককভাবে যেটি ছিল প্রসাদের দখলে। দেশটির হয়ে এমন কীর্তি গড়া বাকি তিনজনই স্পিনার। যাদবের বোলিং ফিগার ১৮-৮-৪১-৪, লেগস্পিনার মিশ্র ২/৪৩। এ ত্রয়ীর বোলিং সাফল্যে অবদান রেখে দারুণ এক কীর্তি গড়েছেন উইকেটরক্ষক ঋদ্ধিমান সাহাও। ইনিংসে ৬ ক্যাচ নিয়ে মহেন্দ্র সিং ধোনি ও সৈয়দ কিরমানির কাতারে নাম লিখিয়েছেন বাংলার এই প্রতিভা। মেধাবী হয়েও যে ধোনির দাপটে এতদিন তিনি দলে জায়গা পাননি! এ্যান্টিগার স্টেডিয়ামটির নাম স্যার ভিভ রিচার্ডস স্টেডিয়াম। ম্যাচের আগে এখানে গ্রেট ভিভের সঙ্গে দেখা করে কোহলি ছিলেন যারপরনাই উচ্ছ্বসিত। সেই অনুপ্রেরণাতেই কিনা মাঠে নেমে হাঁকিয়েছেন ক্যারিয়ারের প্রথম ডাবল সেঞ্চুরি (২০০)। ‘অধিনায়ক হিসেবে’ বিদেশের মাটিতে যা কোন ভারতীয়ের প্রথম কীর্তি, ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে সেরা। ‘কোহলির এই ইনিংস দেখাটাও ছিল দারুণ উপভোগ্য, যদিও এটা আমার দেশের বিপক্ষে, তবুও। আমি সবসময় উঁচুমানের ব্যাটিংকে স্বাগত জানাই। কোহলিরটা তেমনই। এটা দুর্দান্ত এক ডাবল সেঞ্চুরি।’ বলেন ভিভ। জীবন্ত কিংবদন্তি আরও যোগ করেন, ‘আমরা যারা এ্যান্টগায় আছি, তাদের কাছে এটা বিশেষ কিছু। কোহলিকে অভিনন্দন।’ ২০০৬ সালে সর্বশেষ ঘরের মাটিতে ফলোঅনে পড়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ, সেবারও ভারতের বিপক্ষে। কোহলিদের লিড ৩২৩ রান, ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে প্রথম ইনিংসে ভারতের এটি দ্বিতীয় সর্বোচ্চ লিডের নজির, সর্বোচ্চ ৩৭৩, ২০০৬ সালে, সেন্ট লুসিয়ায়। স্কোর ॥ ভারত প্রথম ইনিংস ৫৬৬/৮ ডিক্লে. (১৬১.৫ ওভার; কোহলি ২০০, অশ্বিন ১১৩, ধাওয়ান ৮৪, মিশ্র ৫৩, ঋদ্ধিমান ৪০, রাহানে ২২, পুজারা ১৬, বিজয় ৭, অশ্বিন ২২*; বিশু ৩/১৬৩, ব্রেথওয়েট ৩/৬৫ গ্যাব্রিয়েল ২/৬৫) ওয়েস্ট ইন্ডিজ প্রথম ইনিংস ২৪৩/১০ (৯০.২ ওভার; ক্রেইগ ব্রেথওয়েট ৭৪, ডরিখ ৫৭*, হোল্ডার ৩৬, চেজ ২৩, চন্দ্রিকা ১৬, যাদব ৪/৪১, শামি ৪/৬৬, মিশ্র ২/৪৩) ও দ্বিতীয় ইনিংস ২১/১ (১৩ ওভার; ড্যারেন ব্রাভো ১০*, ব্রেথওয়েট ২, চন্দ্রিকা ৯*; ইশান্ত ১/৩) ** তৃতীয় দিন শেষে
×