ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

তিনটির মুনাফা বেড়েছে কমেছে দুটির

প্রকাশিত: ০৫:৪১, ২৫ জুলাই ২০১৬

তিনটির মুনাফা বেড়েছে কমেছে দুটির

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ চলতি বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকের (এপ্রিল-জুন) আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে পাঁচটি কোম্পানি। কোম্পানি পাঁচটি হলো- ওয়ান ব্যাংক, ইউনাইটেড ফাইন্যান্স, প্রাইম ইন্স্যুরেন্স, যমুনা ব্যাংক এবং ইসলামিক ফাইন্যান্স এ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড। ডিএসইর ওয়েবসাইট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। এর মধ্যে তিন প্রতিষ্ঠানের মুনাফা বেড়েছে, কমেছে দুটির। ওয়ান ব্যাংক ॥ ডিএসইর প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের এপ্রিল থেকে জুন পর্যন্ত সময়ে ওয়ান ব্যাংকের সমন্বিত ইপিএস হয়েছে ৩২ পয়সা, আগের বছরের একই সময়ে যা ছিল ৪৭ পয়সা। আগের বছরের তুলনায় চলতি বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে প্রতিষ্ঠানটির ইপিএস কমলেও অর্ধবার্ষিক (জানুয়ারি-জুলাই) হিসাবে ইপিএস কিছুটা বেড়েছে। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত সময়ে ওয়ান ব্যাংকের ইপিএস দাঁড়িয়েছে ৯৪ পয়সা, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ৭৯ পয়সা। অর্থাৎ চলতি বছরের প্রথমার্ধে আগের বছরের তুলনায় ইপিএস বেড়েছে ১৫ পয়সা। প্রতিষ্ঠানটির নিট এ্যাসেট ভ্যালুতেও (এসএভি) নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। আগের বছরের তুলনায় চলতি বছরে প্রতিষ্ঠানটির এনএভি কমেছে ৩৫ পয়সা। চলতি বছরের জুন মাস শেষে কোম্পানিটির সমন্বিত শেয়ারপ্রতি এনএভি দাঁড়িয়েছে ১৬ টাকা ৫ পয়সা, যা ২০১৫ সালের ডিসেম্বর মাস শেষে ছিল ১৬ টাকা ৪০ পয়সা। ইউনাইটেড ফাইন্যান্স ॥ দ্বিতীয় প্রান্তিকের প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের এপ্রিল-জুন সময়ে প্রতিষ্ঠানটির ইপিএস হয়েছে ৫১ পয়সা, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ৪৪ পয়সা। আর চলতি বছরের জানুয়ারি-জুন সময়ে ইপিএস হয়েছে ৯১ পয়সা, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ৮১ পয়সা। অর্থাৎ চলতি বছরের প্রথমার্ধে প্রতিষ্ঠানটির ইপিএস আগের বছরের তুলনায় বেড়েছে ১০ পয়সা। চলতি বছরের প্রথমার্ধে ইউনাইটেড ফাইন্যান্সের ইপিএস বাড়লেও বড় ধরনের নেতিবাচক অবস্থা বিরাজ করছে শেয়ারপ্রতি পরিচালন নগদ প্রবাহে। চলতি বছরের জানুয়ারি-জুন সময়ে প্রতিষ্ঠানটির শেয়ারপ্রতি পরিচালন নগদ প্রবাহ দাঁড়িয়েছে ঋণাত্মক তিন টাকা ৫৮ পয়সা, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ৫ টাকা ৭০ পয়সা। এদিকে প্রতিষ্ঠানটির এনএভিতে ইতিবাচক প্রভাব দেখা যাচ্ছে। চলতি বছরের জুন মাস শেষে ইউনাইটেড ফাইন্যান্সের এনএভি দাঁড়িয়েছে ১৬ টাকা ৩৫ পয়সা, যা ২০১৫ সালের ডিসেম্বর মাস শেষে ছিল ১৫ টাকা ৯০ পয়সা। ইসলামিক ফাইন্যান্স এ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট ॥ প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের এপ্রিল-জুন সময়ে প্রতিষ্ঠানটির ইপিএস দাঁড়িয়েছে ৪৮ পয়সা, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ৫০ পয়সা। আর চলতি বছরের জানুয়ারি-জুন সময়ে প্রতিষ্ঠানটির ইপিএস হয়েছে ৬৩ পয়সা, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ৫৪ পয়সা। যমুনা ব্যাংক ॥ চলতি বছরের এপ্রিল-জুন সময়ে প্রতিষ্ঠানটির ইপিএস দাঁড়িয়েছে ৯০ পয়সা, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ৬৯ পয়সা। আর চলতি বছরের প্রথমার্ধে অর্থাৎ জানুয়ারি-জুন সময়ে প্রতিষ্ঠানটির ইপিএস হয়েছে ১ টাকা, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ৭৫ পয়সা। চলতি বছরের জানুয়ারি-জুন সময়ে ব্যাংকটির শেয়ারপ্রতি পরিচালন নগদ প্রবাহ দাঁড়িয়েছে ঋণাত্মক ৫ টাকা ৪০ পয়সা, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ঋণাত্মক ৬ টাকা ৬২ পয়সা। প্রাইম ইন্স্যুরেন্স ॥ চলতি বছরের এপ্রিল-জুন সময়ে প্রতিষ্ঠানটির ইপিএস হয়েছে ৬৪ পয়সা, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ৬১ পয়সা। আর চলতি বছরের জানুয়ারি-জুন সময়ে প্রাইম ইন্স্যুরেন্সের ইপিএস দাঁড়িয়েছে ৯৫ পয়সা, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ৯০ পয়সা। প্রতিষ্ঠানটির শেয়ারপ্রতি পরিচালন নগদ প্রবাহের তথ্যে দেখা যাচ্ছে, চলতি বছরের জানুয়ারি-জুন সময়ে প্রতিষ্ঠানটির শেয়ারপ্রতি পরিচালন নগদ প্রবাহ দাঁড়িয়েছে ৪ পয়সা, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ঋণাত্মক ৬৯ পয়সা। তবে প্রতিষ্ঠানটির এনএভিতে কিছুটা নেতিবাচক প্রভাব দেখা যাচ্ছে। চলতি বছরের জুন মাস শেষে প্রাইম ইন্স্যুরেন্সের এনএভি দাঁড়িয়েছে ১৭ টাকা ১২ পয়সা, যা ২০১৫ সালের ডিসেম্বর মাস শেষে ছিল ১৭ টাকা ৪২ পয়সা।
×