ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

২৮ বছর পর মা-মেয়ের দেখা

প্রকাশিত: ০৫:৩৫, ২৫ জুলাই ২০১৬

২৮ বছর পর মা-মেয়ের দেখা

হাতের ছয় আঙ্গুল চিনিয়ে দিল ছোট মেয়েকে তা না হলে ডিএনএ টেস্ট করাতে হতো। অবশেষে জন্মের পর প্রথমবারের মতো মাকে আবেগে জড়িয়ে ধরলেন দুই মেয়ে। ২৮ বছরের ব্যবধান। এতদিনের অদেখায় মেয়েদের মুখ ভুলেই গিয়েছিলেন নাজিয়া সাইদ। ভারতের হায়দরাবাদ নিবাসী এই মহিলার সঙ্গে তার দুই মেয়ের সম্প্রতি যোগাযোগ করিয়ে দিল পুলিশ। ৬০ বছরের নাজিয়া সাইদ। তার মেয়ে আয়শা ও ফাতিমাকে ১৯৮৮ সালে শেষবার দেখেছিলেন। তখন তিনি দুবাইয়ে স্বামী আবেদের সঙ্গে থাকেন। স্বামীর দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রী হয়ে প্রবল অশান্তির মধ্যে জীবন কাটত তার। পরপর কন্যা সন্তান হওয়ায় নাজিয়াকে তালাক দিয়ে ভারতে পাঠিয়ে দেয় স্বামী আবেদ। আর দুই মেয়ে আয়শা ও ফাতিমাকে জোর করে নিজের কাছেই রেখে দেয়। দেশে ফেরার কয়েক বছর পর নাজিয়ার সঙ্গে কর্নাটকের এক ফল ব্যবসায়ীর বিয়ে হয়। এই পক্ষে দুই পুত্র ও এক কন্যার মা তিনি। এদিকে দুবাইতে বড় হওয়া আয়েশা ও ফাতিমা কোনভাবেই মাকে ভুলতে পারেনি। দীর্ঘ অপেক্ষার পর তারা ভারতে আসে। হায়দরাবাদে পৌঁছে নাজিয়া সাইদের খোঁজে পুলিশের সাহায্য চায়। সঙ্গে ছিল মায়ের ছবি। পুলিশ সেই মহিলার ছবি হায়দরাবাদের পুরনো এলাকার সব থানায় পাঠিয়ে দেয়। অনেক খুঁজে মেলে নাজিয়া সাইদের ঠিকানা। পুলিশের কাছে সব শুনে অবাক হয়ে গিয়েছিলেন নাজিয়া সাইদ। দুবাইতে ছেড়ে আসা তার দুই কন্যার মুখ মনেই ছিল না। শুধু জানতেন তার ছোট মেয়ের এক হাতে ৬টি আঙ্গুল ছিল। সেটা জানতে পেরে হায়দরাবাদ পুলিশের তরফে যোগাযোগ করা হয় আয়েশা ও ফাতিমার সঙ্গে। এবার ফাতিমা জানান তার হাতে ৬টি আঙ্গুল ছিল। কয়েক বছর আগে সেটি অপারেশন করে বাদ দিয়েছেন। এরপর হায়দরাবাদে আসেন আয়শা ও ফাতিমা। দেখা হয় তাদের মায়ের সঙ্গে। কত বড় হয়ে গিয়েছে মেয়েরা। ভাবতেই পারছেন না মা। ২৮ বছর পর মেয়েদের কাছে পেয়ে খুশি মা। আর উচ্ছ্বসিত দুই মেয়ে। -ওয়েবসাইট
×