একটা গলদা চিংড়ির ওজন কত হতে পারে? আবার এই চিংড়ির বয়সই বা কত? এই প্রশ্ন দুটির উত্তর শুনলে যে কারও চোখ কপালে ওঠার যোগাড় হতে পারে। কারণ এবার যুক্তরাষ্ট্রের মেইনে এমন এক প্রকা- গলদা ধরা পড়েছে যেটির আনুমানিক বয়স ১১০ বছর! আর ওজন ১৫ পাউন্ড! ভাগ্যিস চিংড়িটি কাস্টমারদের পাতে যায়নি। তাহলে ল্যারি নামক এই চিংড়ির ইতিহাস বিশ্ববাসী জানতে পারত না। বিষয়টা একটু খোলাসা করা যাক।
সম্প্রতি মেইনে এক চিংড়ি শিকারির জালে এটি ধরা পড়ে। ওজন দেখে শিকারি একটু খুশি হয়। কারণ এই প্রকান্ড চিংড়িটির বাজার দর একটু বেশি হতে পারে। মোটা অঙ্কে তিনি ল্যারিকে একটি চেইন সুপারশপে বেচে দেন। এই সুপারশপ থেকে এটি চলে যায় টিন ফিশ নামক এক রেস্তরাঁয়। রেস্তরাঁ মালিক এটি দেখে যারপরনাই খুশি। কারণ এই চিংড়ির কথা প্রচার করলে কাস্টমাার জুটবে বেশি। এদিকে এই চিংড়ির খবর শুনে এটির স্বাদ চেখে দেখতে টিন ফিশের বুকিং তরতর করে বাড়তে থাকে। এভাবেই চলছিল। কিন্তু বাদ সাধল একটি বন্যপ্রাণী উদ্ধারকারী দল। তারা সোজা হোটেলটির দরজায় কড়া নেড়ে বলল এটি বিলুপ্তপ্রায় একটি গলদা প্রজাতি। এই ধরনের প্রকা- চিংড়ি সচরাচর দেখা যায় না। তাই এটিতে এ্যাকুরিয়ামে রেখে সংরক্ষণ করা হবে। এটির গুরুত্ব বুঝে টিন ফিশ কর্তৃপক্ষ সানন্দে এটি দিয়ে দিতে সম্মত হয়। এটি পেয়ে আইরেস্কিউ ওয়াইল্ড লাইফের প্রধান জন মেরিট বলেন, আমরা এটির নির্মম পরিণতি থেকে রক্ষা করতে পেরেছি। তিনি বলেন, লাখ লাখ পাউন্ড চিংড়ির মধ্যে আপনি এই ধরনের একটি চিংড়িও পাবেন না। আমরা এই ধরনের প্রকা- চিংড়ির কথা জীবনে শুনিনি। এখন এই চিংড়িটি মেইনের কেন্দ্রীয় এ্যাকুরিয়ামে প্রদর্শনের জন্য রাখা হবে। এই চিংড়ির খবর শুনে এটির স্বাদ চেখে দেখতে সেসব চিংড়িপ্রেমী হোটেলে বুকিং দিয়েছিলেন তাদের একজন বলেন, সত্যি খারাপ লাগছে এই চিংড়ির স্বাদ নিতে পারলাম না। তিনি বলেন, এই সুযোগ আমার জীবনে আর আসবে না। আমি পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি বয়সী চিংড়ির স্বাদ নিতে পারলাম না। -মিয়ামি হেরাল্ড ও ইউপিআই।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: