ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

জঙ্গী মামলায় সমন্বয় সেল গঠন করতে পারেন এ্যাটর্নি জেনারেল ॥ আইনমন্ত্রী

প্রকাশিত: ০৫:২৭, ২৫ জুলাই ২০১৬

জঙ্গী মামলায় সমন্বয় সেল  গঠন করতে  পারেন এ্যাটর্নি জেনারেল ॥  আইনমন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার ॥ আইনমন্ত্রী এ্যাডভোকেট আনিসুল হক বলেছেন, জঙ্গীদের জামিন দেয়া এবং মুক্ত হওয়ার বিষয়গুলো ঠেকাতে আইনজীবীদের তথ্য দেয়ার জন্য কো-অর্ডিনেশন সেল গঠন করার দায়িত্ব এ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয়ের। রবিবার বেলা আড়াইটার দিকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল পরিদর্শনে এলে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। এ্যাটর্নি জেনারেলের বক্তব্যের প্রেক্ষিতে সরকার সেল গঠনের উদ্যোগ নেবে কিনা- এমন প্রশ্নে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়কমন্ত্রী বলেন, ‘এ্যাটর্নি জেনারেল সাহেব নিজেই কিন্তু এই সেলটা তৈরি করতে পারেন, তার অফিসে। কারণ তার দফতরে পর্যাপ্তসংখ্যক ডেপুটি এ্যাটর্নি জেনারেল ও সহকারী এ্যাটর্নি জেনারেল আছেন। আমি এ ব্যাপারে তার সঙ্গে কথা বলব।’ এর আগে গত ১৯ জুলাই জঙ্গীদের জামিন এবং মুক্তি ঠেকাতে সরকার পক্ষ থেকে আইনজীবীদের তথ্য দিতে একটি কো-অর্ডিনেশন সেল গঠনের কথা বলেছিলেন এ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। এ্যাটর্নি জেনারেল সেদিন বলেছিলেন, ‘অনেক জঙ্গী নানা রকম চালাকির সুযোগ নিচ্ছে। দরখাস্তে লিখছে ১৭ নম্বর কোর্টে মুভ (মামলা নিয়ে যাবে) করবে। কিন্তু মুভ করছে গিয়ে ১৩ নম্বর কোর্টে। ফলে আমার ওই অফিস, ওই কোর্ট এটা জানতে পারে না। যদি সেল সবসময় ট্র্যাক করতে থাকে, কোন্্ জঙ্গী কোন্্ কোর্টে মামলা নিয়ে মুভ করল এবং ইমিডিয়েটলি যদি আমাকে জানানো হয়, তাহলে আমরা বা আমার সহকর্মীরা প্রবলভাবে বাধা দিতে পারি।’ জঙ্গীদের জামিন এড়াতে মামলা লেখায় পুলিশের আরও সচেতনতার ওপর জোর দেন মাহবুবে আলম। এখন সেই সেল গঠনের ভার এ্যাটর্নি জেনারেল অফিসের ওপরই ছেড়ে দিলেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। তিনি আরও বলেন, একজন এ্যাডিশনাল এ্যাটর্নি জেনারেলের নিয়ন্ত্রণে বা নেতৃত্বে উনার অফিসে এই সেল করতে পারেন। যাতে উনি (জঙ্গীদের মামলার ব্যাপারে) ইনফরমেশন পেতে পারেন। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন অফিসের ছাদের প্লাস্টার খসে পড়াসংক্রান্ত একটি সংবাদ ইংরেজী দৈনিকে প্রকাশিত হয়। সে কারণে রবিবার ট্রাইব্যুনালে পরিদর্শনে আসেন আইনমন্ত্রী। সেই ভবন সংস্কারের কাজ নিয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘একটি ইংরেজী দৈনিকে পড়লাম ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইমস ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন অফিসের ছাদের নাকি প্লাস্টার খসে পড়ে গেছে এবং এটা নাকি আইন মন্ত্রণালয়কে জানানো হয়েছে।’ ‘আমি আজকে খবর নিয়ে দেখলাম আইন মন্ত্রণালয়কে জানানো হয় নাই। যেই চিঠির কথা বলা হয়েছে সেই চিঠিটা রেজিস্ট্রার সাহেবের কাছে রবিবার পৌঁছেছে। রেজিস্ট্রার সাহেবের কাছ থেকে চিঠিটা নিয়ে আমি নিজে এসেছি দেখতে। ত্বরিত মেরামত করার ব্যবস্থা আমি নেব। সম্ভবত (আজ) সোমবার থেকেই এর সংস্কার কাজ শুরু হবে।’ ‘নিম্ন আদালতের বিচারককে প্রভাবিত করে বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান খালাস পেয়েছিলেন’-আইনমন্ত্রীর এমন বক্তব্য সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়েছে বিএনপি সমর্থক জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম। এ প্রসঙ্গে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘আমি তো বক্তব্য প্রত্যাহার করবই না। আগামী পরশু একটা মিটিং আছে, সেই মিটিং শেষে প্রেস কনফারেন্স করে জানাব।
×