ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

মূল হোতারা চিহ্নিত, যারা দেশে রয়েছে যে কোন সময় গ্রেফতার

প্রকাশিত: ০৫:২৬, ২৫ জুলাই ২০১৬

মূল হোতারা চিহ্নিত, যারা  দেশে রয়েছে যে কোন  সময় গ্রেফতার

শংকর কুমার দে ॥ গুলশান ও শোলাকিয়ায় জঙ্গী হামলার নেপথ্যে থাকা পরিকল্পনাকারী, মদদদাতা ও অর্থের জোগানদাতাসহ মূল হোতারা চিহ্নিত। সরকারবিরোধী বিএনপি-জামায়াতের কট্টরপন্থী একটি গ্রুপ ও একই মতাদর্শের বিদেশী আরেকটি গ্রুপের সহায়তা করার মতো তথ্য রয়েছে গুলশান ও শোলাকিয়া জঙ্গী হামলার নেপথ্যে। নেপথ্যের এই হোতারাই জেএমবি, হুজি, হিযবুত, আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের জঙ্গীদের সমন্বয় করে সুইসাইড স্কোয়াড তৈরি করে গুলশান ও শোলাকিয়ায় জঙ্গী হামলা চালিয়েছে। জঙ্গী হামলার হোতাদের মধ্যে দেশে যারা অবস্থান করছে তাদের যে কোন সময়ে গ্রেফতার করা হতে পারে। জঙ্গীবাদ উস্কে দিতে ধর্মীয় উগ্র মতবাদ প্রচারের অভিযোগে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুকের ৩০টি পেজ ও ৮০ আইডি শনাক্ত করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের সাইবার ক্রাইম ইউনিট। এর মধ্যে জঙ্গীবাদ উস্কে দেয়ার অভিযোগে ৪০টি ফেসবুক আইডি বন্ধ করে দিয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। ফেসবুকের সঙ্গে ভাইবার-টুইটার-হোয়াটস এ্যাপসহ সব ধরনের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম সার্বক্ষণিক নজরদারি করা হচ্ছে। জঙ্গী সম্পৃক্ততা খতিয়ে দেখতে দেশব্যাপী ২৬১ জনের যে নিখোঁজ তালিকাটি নিয়ে বিভ্রাট সৃষ্টি হয়েছে তা সংশোধন করে হালনাগদ করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। তদন্তের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ খবর জানা গেছে। সূত্র জানান, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী থেকে জঙ্গীবাদ উস্কে দেয়া ফেসবুকের ৮০ আইডি এবং ৩০টি ওয়েবপেজ বন্ধের জন্য চিঠি দেয়া হয় বিটিআরসিকে। ধর্মীয় উগ্র মতবাদ প্রচারের অভিযোগে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুকের ৩০টি পেজ ও ৮০ আইডিকে চিহ্নিত করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের সাইবার ক্রাইম ইউনিট। এসব ফেসবুক পেজের মাধ্যমে নানারকম ধর্মীয় উগ্র মতবাদ প্রচার, ধর্মীয় উন্মাদনা সৃষ্টি করা, জঙ্গী কার্যক্রম পরিচালনা, কথিত জিহাদের ডাকসহ রাষ্ট্রবিরোধী নানারকম অপকর্ম করা হচ্ছে। এ কারণে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নজরদারি করার পর এসব পেজকে চিহ্নিত করা হয়েছে বলে জানান ডিএমপির সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। এ ধরনের সাম্প্রদায়িক উস্কানি দেয়া, জঙ্গীবাদে উস্কানি দেয়া, সবই ফৌজদারি অপরাধ বলে জানান ডিএমপি কর্মকর্তারা। তারা বলেন, করা ফেসবুক পেজগুলোতে নিয়মিত ধর্মীয় উগ্র মতামত প্রচার করা হয়। ধর্মীয় নানারকম অপব্যাখ্যা বা সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যা দিয়ে কথিত জিহাদের প্রতি আকৃষ্ট করা হয়। এগুলো দেখে অনেকেই ভুল করে এসব পথে পা বাড়াচ্ছে। তদন্তের প্রাথমিক পর্যায়ে যেসব ফেসবুক পেজগুলো চিহ্নিত করা হয়েছে তার মধ্যে আছে, হলো হিজবুল ইসলাম বাংলাদেশ, সালাউদ্দিনের তলোয়ার, বাংলার সৈনিক, গাজওয়া ই হিন্দ বা হিন্দুস্তানের চূড়ান্ত যুদ্ধ, শাইখ মুফতি মুহাম্মদ জসীম উদ্দিন রাহমানি, আবু উবাইদা আল মুজাহির, অনিমেষ রায় ফরইভার, মুফতি জসীমউদ্দিন রাহমানি হাফিজাহুল্লাহ বা এসো আল্লাহর পথে, রাসুল (সা.)-এর দেখানো পথে, আবাবিল মিডিয়া, আমি সেই, নির্ভীক মুজাহিদ, সুলতান সালাউদ্দিন আইয়ুবি, কাকা আমুর, সামস বিন সাবাজ, জংগীর সাথে কথোপকথন, গাজী মুহাম্মদ আব্দুল্লাহ, আবু হুজাইফা হুজাইফা, আল্লাহর পথের ঠিকানা, আশিদ্দাও আলাল কুফ্ফার, নয়ন চ্যাটার্জি, জীবনের হিসাব, বার্বীপ্রিন্স, বাঁশের কেল্লা, রাফি বিন ওয়ালিদ, জঙ্গীনিউজ ২৪, আত-তামাকিন, কাঠ মোল্লা, অর্থহীন রাকিব ও বেহুলার ভেলা ইত্যাদি। ডিএমপির সাইবার ক্রাইম ইউনিটের এক কর্মকর্তা বলেছেন, চিহ্নিত ৩০টি ফেসবুক আইডি বা পেজের বাইরে আরও অনেকগুলো আইডিতে জঙ্গীরা সক্রিয় রয়েছে। পর্যায়ক্রমে সেসব পেজ বা আইডি চিহ্নিত করে বিটিআরসিতে চিঠি পাঠিয়ে বন্ধ করার প্রক্রিয়া চলছে। নিয়মিত অনলাইন মনিটরিং করা হচ্ছে। যেসব ফেসবুক আইডি বা পেজ, ব্লগ, ওয়েবসাইটে ধর্মীয় উগ্র মতবাদ ছড়ানো হচ্ছে, সেগুলো চিহ্নিত করে বন্ধ করার জন্য বিটিআরসিকে চিঠি দেয়ার প্রক্রিয়া অব্যাহত আছে। ডিএমপির কাউন্টার টেররিজমের একজন কর্মকর্তা জানান, জঙ্গীরা এখন অনলাইন বা ইন্টারনেটকে তাদের যোগাযোগ ও সাংগঠনিক কার্যক্রম বিস্তারের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে। পারস্পরিক যোগাযোগ থেকে শুরু করে ধর্মীয় মতবাদ প্রচার করছে অনলাইনে। এসব পেজের এ্যাডমিন বা ব্যবহারকারীর বেশিরভাগই বিদেশে অবস্থান করে। ফলে তাদের শনাক্ত করে গ্রেফতার করা সম্ভব হয় না। গোয়েন্দা সংস্থার একজন কর্মকর্তা বলেন, ফেসবুকের পাশাপাশি বিভিন্ন ব্লগ ও ওয়েবসাইটেও চলছে ধর্মীয় উগ্র-মতবাদের প্রচারণা। এর আগেও বেশ কিছু ফেসবুক পেজ, আইডি, ব্লগ ও ওয়েবসাইট বন্ধ করা হয়েছে। কিন্তু একটি বন্ধ করা হলে জঙ্গীরা নতুন নামে আরেকটি পেজ বা আইডি খুলে একই কাজ শুরু করে। জঙ্গীরা অনলাইনের মাধ্যমে সদস্যও সংগ্রহ করছে। বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি কমিশনের (বিটিআরসি) একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, পুলিশের কাছ থেকে ৩০টি ফেসবুক পেজ বা আইডি চিহ্নিত করে বন্ধ করার সুপারিশের চিঠি এসেছে। আমরা এগুলো যথাযথ নিয়মে ফেসবুক কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠিয়ে দেই। ফেসবুক কর্তৃপক্ষ তা ভেরিফাই করার পর বন্ধ করে দেয়। ধর্মীয় উগ্র-মতবাদ ছড়ানোর অভিযোগে এসব আইডি বা পেজের বিরুদ্ধে জরুরী ভিত্তিতে ফেসবুক কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানোর প্রক্রিয়া নেয়া হয়েছে। এর মধ্যে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ জঙ্গীবাদ উসকে দেয়ার অভিযোগে ৪০টি ফেসবুক আইডি বন্ধ করে দিয়েছে বলে জানা গেছে। শুধু ফেসবুকই নয়, ভাইবার-টুইটার-হোয়াটস এ্যাপসহ সব ধরনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বিটিআরসির সার্বক্ষণিক নজরদারিতে রয়েছে বলে জানান বিটিআরসি কর্মকর্তা। তদন্তকারী সূত্র জানান, রাজধানীর গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারি ও কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দানের কাছে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় সাধারণ মানুষের মধ্যে তৈরি হয় উদ্বেগ। আর এ সুযোগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় সন্ত্রাসী হামলার আগাম গুজব ছড়ায় একটি মহল। তবে এসব গুজবে বিভ্রান্ত না হতে ও গুজবে কান না দিতে পরামর্শ দিয়েছে পুলিশ কর্তৃপক্ষ। ডিএমপি কমিশনার যা বলেছেন ॥ ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া বলেছেন, গুলশানের হলি আর্টিজানের বিষয়টি উদঘাটন করতে পেরেছি। জঙ্গী হামলার হোতারা চিহ্নিত। সবাইকে গ্রেফতার করা সময়ের ব্যাপার। সে কাজ অব্যাহত রয়েছে। ঘটনাস্থলের গুরুত্বপূর্ণ আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে, সন্দেহভাজনদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। সবমিলিয়ে বলা যায়, তদন্তে যথেষ্ট অগ্রগতি হয়েছে। রবিবার নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা জানান ডিএমপি কমিশনার। তিনি বলেন, গত ১ জুলাই গুলশানে নজিরবিহীন সেই জঙ্গী হামলায় ১৭ বিদেশী নাগরিকসহ ২২ জন নিহত হন। পরদিন সকালে সশস্ত্র বাহিনীর কমান্ডে অভিযানে হামলাকারী ৫ জঙ্গীসহ ছয়জন নিহত হন। জিম্মি অবস্থা থেকে উদ্ধার করা হয় ১৩ জনকে। ওই ঘটনায় যে মামলা করা হয়েছে তাতে কমান্ডো অভিযানে নিহত ছয়জনকে আসামি করা হয়েছে। এছাড়া হামলাকারীদের আশ্রয় দেয়ার অভিযোগে নর্থ সাউথের উপ-উপাচার্যসহ চারজনকে গ্রেফতার করে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। জঙ্গী হামলার ঘটনার ২২ দিন পর রবিবার ডিএমপি কমিশনার বলেন, কারা কীভাবে এই ঘটনা ঘটিয়েছে তার সূত্র পেয়েছি। তাদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। তদন্তে যথেষ্ট সাফল্য পাওয়ার দাবি করে তিনি বলেন, অচিরেই তাদের আইনের আওতায় আনতে পারব। সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানান ডিএমপি কমিশনার। গুলশানে জঙ্গী হামলার পর মধ্যপ্রাচ্যের জঙ্গী দল আইএস গুলশান হামলার দায় স্বীকার করেছে বলে খবর এলেও বাংলাদেশের পুলিশ বলছে, জেএমবি ও সমমনা দেশীয় জঙ্গী গোষ্ঠীর সদস্যরা। নেপথ্যের হোতা কারা ॥ গুলশান হামলার নেপথ্যে থাকা পরিকল্পনাকারী, মদদদাতা ও অর্থের জোগানদাতাদের মধ্যে সরকারবিরোধী বিএনপি-জামায়াতের কট্টরপন্থী দেশী ও বিদেশী গ্রুপই জেএমবি, হুজি, হিযবুত, আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের জঙ্গীদের সমন্বয় ও সংগঠিত করেছে এমন তথ্য পেয়েছে তদন্তকারীরা। তাদের কানেকশনের বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে যথেষ্ট তথ্যপ্রমাণও হস্তগত হয়েছে। তাদের বিষয়ে প্রাপ্ত তথ্য-উপাত্ত এখন যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। দেশী ও বিদেশী কয়েকটি শক্তিশালী চক্র এখনও তৎপরতা চালাচ্ছে। তাদের হাতে আরও হামলার ছক ছিল, যা জঙ্গীবিরোধী অভিযানে ভেস্তে গেছে। তবে যাদের দিয়ে পরবর্তী হামলাগুলো করানোর পরিকল্পনা ছিল তাদের অনেকে এখন গোয়েন্দা জালে ধরা পড়েছে বলে জানা গেছে। প্রধানমন্ত্রী এক অনুষ্ঠানে বলেছেন, তদন্তে যা পাওয়া যাচ্ছে তা শুনে তাজ্জব বনে যেতে হয়। বুধবার জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, জড়িতদের খুঁজে বের করা কঠিন হবে না। এটি শুধু সময়ের ব্যাপার মাত্র। সবাইকে ধরে আমরা অবশ্যই দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে পারব। গুলশান ও শোলাকিয়ায় জঙ্গী হামলার পর কারা কিভাবে এসব কাজ করেছে সেই বিষয়ে গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদন সরকারের নীতি নির্ধারক মহলে পাঠানা হয়েছে। এসব গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদন নিয়ে সরকারের উচ্চ পর্যায়ে আলোচনাও হচ্ছে। গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলাপে জানা গেছে, গুলশান ও শোলাকিয়া হামলার পর আটককৃত বিভিন্ন স্তর জঙ্গীদের কাছ থেকে পাওয়া যায় পরিকল্পনাকারী, মদদদাতা ও অর্থের জোগানদাতাদের নাম পরিচয়। এদের কেউ কেউ দেশেই আছেন। এরা দেশে ও বিদেশে একাধিক বৈঠক করে গুলশানে বিদেশী হত্যার নিষ্ঠুর পরিকল্পনা করে। এ হামলায় নেপথ্যে যারা কাজ করেছেন তাদের অন্তত কারও কারও বিষয়ে অকাট্য প্রমাণ রয়েছে এমন দাবিও করছে তারা। হামলার নেপথ্যে বিদেশী লিংকগুলো কিভাবে যুক্ত হয়ে ভূমিকা রেখেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সে বিষয়গুলোও এখন খতিয়ে দেখছে তদন্তকারীরা। গোয়েন্দা সংস্থার একজন কর্মকর্তা বলেন, কয়েকজন বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া বিশ-বাইশ বছরের ছাত্র বা যুবক গুলশান ও শোলাকিয়ার জঙ্গী হামলার মতো ঘটনা ঘটাবে তা অবিশ্বাস্য। নেপথ্যে থেকে প্রভাবশালী মহল যে কলকাঠি নেড়ে এ ধরনের জঙ্গী হামলা ঘটিয়েছে তা সহজেই বোঝা যায়। কথিত খেলাফতের রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার কথা বলে মগজ ধোলাই করা জঙ্গীদের হামলায় নিয়োগ করা হয়। এই নিয়োগের পেছনেও কাজ করেছে ক্ষমতার রাজনীতি ও রাজনৈতিক দলের কিছু বিপথগামী সদস্য। জামায়াত ছাড়া অপর রাজনৈতিক দলটি জামায়াতের আশ্রয় ও প্রশ্রয়দাতা হিসেবে পরিচিত। এ হামলার পেছনেই রয়েছে সরকারের পতন ঘটানো ও দেশের ভাবমূর্তি নষ্টের রাজনীতি। বিএনপি ও জামায়াতের কট্টরপন্থী গ্রুপের নীলনক্সায় গুলশান ও শোলাকিয়ায় জঙ্গী হামলা ঘটেছে এমন তথ্য পাওয়ার পর তার অকাট্য প্রমাণের সত্যতা যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে তদন্তের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট গোয়েন্দা কর্মকর্তা দাবি।
×