ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

‘কেলোর কীর্তি’ চলচ্চিত্র প্রদর্শনে হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা স্থগিত

প্রকাশিত: ০৩:৪৮, ২৫ জুলাই ২০১৬

‘কেলোর কীর্তি’ চলচ্চিত্র প্রদর্শনে হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা স্থগিত

স্টাফ রিপোর্টার ॥ ভারতের কলকাতায় নির্মিত কমেডি চলচ্চিত্র ‘কেলোর কীর্তি’ বাংলাদেশে প্রদর্শনে হাইকোর্টের দেয়া নিষেধাজ্ঞা স্থগিত করেছেন আপীল বিভাগ। ফলে এ চলচ্চিত্র বাংলাদেশের প্রেক্ষাগৃহে প্রদর্শনে আর কোন বাধা রইল না। প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার (এসকে) সিনহার নেতৃত্বে চার সদস্যের আপীল বেঞ্চ রবিবার এ আদেশ দেন। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন এ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। সঙ্গে ছিলেন ডেপুটি এ্যাটর্নি জেনারেল একরামুল হক টুটুল। বিষয়টি নিশ্চিত করে একরামুল হক টুটুল জনকণ্ঠকে বলেন, হাইকোর্টের দেয়া আদেশ আপীল বিভাগে স্থগিত হয়ে যাওয়ায় ‘কেলোর কীর্তি’ চলচ্চিত্রটি বাংলাদেশে প্রদর্শনে আর কোন বাধা নেই। নীতিমালা অনুসরণ না করে আমদানি করা ‘কেলোর কীর্তি’ বাংলাদেশে প্রদর্শনের নিষেধাজ্ঞা চেয়ে করা এক রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ১৯ জুলাই হাইকোর্ট এ চলচ্চিত্র প্রদর্শনে ছয় মাসের স্থগিতাদেশ দেন। পাশাপাশি এ চলচ্চিত্র প্রদর্শন করা কেন অবৈধ হবে না, তা জানতে চেয়ে চার সপ্তাহের রুল জারি করেন। এ আদেশ স্থগিত চেয়ে আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান আরাধনা এন্টারপ্রাইজ ও রাষ্ট্রপক্ষ আপীল বিভাগে আবেদন করে। সেই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আপীল বিভাগ হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করে দেন। কলকাতার পরিচালক রাজা চন্দ পরিচালিত ‘কেলোর কীর্তি’ চলচ্চিত্রটি গত ঈদ উল ফিতরে ভারতে মুক্তি পায়। এ চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন দেব, মিমি চক্রবর্তী, যীশু সেনগুপ্ত, অঙ্কুশ হাজরা, সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়, নুসরাত জাহান, কৌশানী মুখোপাধ্যায়, রুদ্রনীল ঘোষ প্রমুখ। এটি তামিল ‘চার্লি চ্যাপলিন’ চলচ্চিত্রের অনুকরণে নির্মিত হয়েছে। গত ১৯ জুন প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান আরাধনা এন্টারপ্রাইজ লিমিটেডের প্রযোজক কার্তিক দে বাংলাদেশ থেকে ‘রাজা ৪২০’ চলচ্চিত্রটি ভারতে রফতানি করার জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ‘নো অবজেকশন’ সনদ গ্রহণ করেন। কিন্তু এ চলচ্চিত্র ভারতে প্রদর্শন করা হয়েছে এ ধরনের কোন সনদ ভারত সরকার থেকে দেয়া হয়নি। এর মাত্র তিনদিন পর ২২ জুন বাংলাদেশে ভারতীয় চলচ্চিত্র ‘কেলোর কীর্তি’ প্রদর্শনের জন্য আমদানি করা হয়। ২২ জুলাই বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রেক্ষাগৃহে ‘কেলোর কীর্তি’ মুক্তি দেয়ার পরিকল্পনা ছিল আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান আরাধনা এন্টারপ্রাইজের। রিট আবেদনে দাবি করা হয়েছিল, বাংলাদেশের চলচ্চিত্র আমদানি ও রফতানির ক্ষেত্রে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় নীতিমালা ২০১৫-২০১৮ অনুযায়ী বাংলাদেশে ভারতীয় চলচ্চিত্র আমদানি করতে হলে সমান সংখ্যক চলচ্চিত্র রফতানি হতে হবে। তবে এক্ষেত্রে বাংলাদেশ থেকে প্রথমে চলচ্চিত্র রফতানি করার পর আমদানি করতে হবে। এছাড়া বাংলাদেশ থেকে প্রথমে কোন চলচ্চিত্র রফতানি হওয়ার পর ভারতের বিভিন্ন প্রেক্ষাগৃহে এটি প্রদর্শন হতে হবে। বাংলাদেশের চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হয়েছে মর্মে ভারতের সেন্সর বোর্ড ও ফিল্ম বোর্ডের লিখিত সনদ পাওয়ার পর বাংলাদেশে ভারতীয় চলচ্চিত্র আমদানি ও প্রদর্শন করা যাবে। কিন্তু ‘কেলোর কীর্তি’ চলচ্চিত্রটির ক্ষেত্রে এ নীতিমালা অনুসরণ করা হয়নি। নীতিমালা অনুসরণ না করায় চলচ্চিত্রটি প্রদর্শন বন্ধের নির্দেশনা চেয়ে গত ১৮ জুলাই এসএফ ফিল্মসের প্রযোজক শরীফ হোসেনের পক্ষে এ রিট আবেদনটি করা হয়।
×