ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

ক্যারিবিয়ানদের ফলো অন করালেন বিধ্বংসী শামি, উমেশ

প্রকাশিত: ১৮:৫৮, ২৪ জুলাই ২০১৬

ক্যারিবিয়ানদের ফলো অন করালেন বিধ্বংসী শামি, উমেশ

অনলাইন ডেস্ক ॥ষোলো মাস পর দেশের হয়ে মাঠে ফিরে আবার ম্যাজিক দেখালেন মহম্মদ শামি। সঙ্গে পেলেন উমেশ যাদবকে। শনিবার অ্যান্টিগায় দুই পেসারের বিধ্বংসী বোলিংয়ে প্রথম টেস্টে ইনিংস জয়ের স্বপ্ন দেখা শুরু করল ভারত। তৃতীয় দিন খেলা শেষের আধ ঘন্টা আগে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ২৪৩-এ অল আউট হয়ে ফের ব্যাট করতে নামল। আগের দিন ৫৬৬-৮-এ ডিক্লেয়ার করে স্যর ভিভিয়ান রিচার্ডস স্টেডিয়ামে না হারা নিশ্চিত করে ফেলেছিল ভারত। এ দিন শামি, উমেশরা দলকে টেস্ট জয়ের দিকে নিয়ে গেলেন চারটে করে উইকেট নিয়ে। একই সঙ্গে টেস্টে পঞ্চাশ উইকেটও হয়ে গেল শামির। ১৩তম টেস্টে এল তাঁর ৫০তম শিকার। যা ছিল বেঙ্কটেশ প্রসাদেরও। এর চেয়ে দ্রুত আর কোনও ভারতীয় টেস্টে ৫০ উইকেট নিতে পারেননি। ভারতের হয়ে তাঁর শেষ মাঠে নামা গত বছর মার্চের শেষ সপ্তাহে। বিশ্বকাপ সেমিফাইনালে। তার পর হাঁটুতে অস্ত্রোপচার। এতদিনে চোট সারিয়ে মাঠে ফিরে বিধ্বংসী হয়ে উঠলেন বাংলার পেসার। আগের দিন ওপেনার রাজেন্দ্র চন্দ্রিকাকে ফিরিয়ে দিয়েছিলেন বাংলার শামি-ঋদ্ধিমান সাহা জুটি। শনিবারও একই ভাবে তাঁদের ‘পার্টনারশিপে’-ই ফিরে গেলেন ড্যারেন ব্র্যাভোও। স্কোরবোর্ডে দু’জনেরই নামের পাশে কট সাহা বোল্ড শামি। ঋদ্ধিমান আবার ইনিংসে হাফ ডজন ক্যাচ নিয়ে মহেন্দ্র সিংহ ধোনি ও সৈয়দ কিরমানিদের ছুঁয়ে ফেললেন। তাঁরাও স্টাম্পের পিছনে দাঁড়িয়ে এক টেস্ট ইনিংসে হাফ ডজন ক্যাচ নিয়েছিলেন। এ দিন উইকেট থেকে ভাল বাউন্স আদায় করছিলেন শামি। খাটো লেংথের একটা বলকে ব্র্যাভোর প্রত্যাশার চেয়ে বেশি বাউন্স করিয়ে তাঁকে বিপদে ফেলে দেন তিনি। দুটো ক্যাচই নিখুঁত ভাবে গ্লাভসবন্দি করেন ঋদ্ধিমান। তার পর টিভিতে সুনীল গাওস্কর ওই বলটারই কথা উল্লেখ করে বলেন, ‘‘ভারতীয় বোলারদের এখন সে রকমই লেংথে বল করতে হবে, যে রকম লেংথের বলে শামি ব্র্যাভোকে ফেরাল।’’ ইশান্ত অবশ্য সেই লেংথটা ধরতে পারেননি। ফলে উইকেটও পাননি। বরং উমেশ যাদব ক্রিজে জমে যাওয়া ক্রেগ ব্রেথওয়েট (৭৪) রোস্টন চেজকে (২৩) ফিরিয়ে ক্যারিবিয়ানদের ফলো অন করার দিকে টেনে নিয়ে যান। ভিভিয়ান রিচার্ডস লাঞ্চে বলছিলেন, ‘‘এখন নিখুঁত শট বাছাই ছাড়া বড় ইনিংস গড়ার কোনও রাস্তা নেই। তার জন্য সময় নিতে হবে। প্রচুর ধৈর্য্য চাই।’’ সেই ধৈর্য্য কিছুটা দেখালেন বটে জ্যাসন হোল্ডার, শেন ডাওরিচরা। কিন্তু পরপর দু’বলে হোল্ডার ও কার্লোস ব্রেথওয়েটকে ফিরিয়ে দিয়ে উমেশ তাঁদের খাদের কিনারায় পৌঁছে দেন। সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা
×