ব্রেক্সিটের পরেও মুদ্রাবাজার স্থিতিশীল

যুক্তরাজ্যের জনগণ ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার (ব্রেক্সিট) পক্ষে তাদের রায় দেয়ার পর বিশ্ব মুদ্রা বাজারে এক ধরনের অস্থিরতা সৃষ্টি হলেও গত একমাস যাবৎ বাংলাদেশের মুদ্রা বাজার প্রায় স্থিতিশীল রয়েছে। খবর বাসসর। যুক্তরাজ্য গত ২৩ জুন ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়ার পর প্রথম দিনের লেনদেনে মার্কিন ডলারের বিপরীতে পাউন্ড স্টার্লিংয়ের মূল্য ৮ শতাংশ হ্রাস পায়। এছাড়া গত ৬ জুলাই মার্কিন ডলারের বিপরীতে পাউন্ড স্টালিংয়ের মূল্য ৩০ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন একডলার ২৯ সেন্টে নেমে আসে। পক্ষান্তরে, বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা যায়, গত ২৩ জুন পাউন্ড বিক্রি হয়েছে ১০৭ টাকা ২৪ পয়সায়। আর গত বৃহস্পতিবার পাউন্ড বিক্রি হয়েছে ১০৩ টাকা ৫৫ পয়সায়। এ ব্যাপারে ঢাকায় বিশ্বব্যাংকের মুখ্য অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন বাসসকে বলেন, ‘মুদ্রা বাজারে কোন বড় ধরনের অস্থিরতা দেখা না দেয়ার কারণ হলো দেশের বৈদেশিক মুদ্রা বিনিময় হয় মূলত মার্কিন ডলারের ওপর ভিত্তি করে।’ যুক্তরাজ্য ও বাংলাদেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যিক সম্পর্ক খুব ভাল এ কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, পাউন্ডের বিপরীতে টাকার বিনিময় মূল্যের ওপর বড় রকমের কোন প্রভাব পড়বে না। এ ব্যাপারে বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান অর্থনীতিবিদ বিরুপাক্ষ পাল বলেন, ব্রেক্সিট গণভোটের কোন নেতিবাচক প্রভাব পড়ে কিনা, সে বিষয়টি কেন্দ্রীয় ব্যাংক পর্যবেক্ষণ করছে এবং বৈদেশিক মুদ্রা বাজারে স্বাভাবিক অবস্থা বজায় রাখতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হবে।