ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

মোস্তাফা জব্বার

আমদানিকারক থেকে উৎপাদনকারী আমরা কম্পিউটার বানাব, রফতানিও করব

প্রকাশিত: ০৪:৪৫, ২৪ জুলাই ২০১৬

আমদানিকারক থেকে উৎপাদনকারী  আমরা কম্পিউটার বানাব, রফতানিও করব

‘আমরা বাংলাদেশে কম্পিউটার বানাব এবং সেই কম্পিউটার বিদেশে রফতানি করব।’ স্বপ্ন, ইচ্ছা, নির্দেশনা বা আদেশ যাই বলি না কেন, এটি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্য। এমন স্বপ্নটা তিনি ২০১১ সালেও দেখেছিলেন, যখন তিনি বাংলাদেশের নিজস্ব পণ্য দোয়েল ল্যাপটপের উদ্বোধন করেন। পরনির্ভরশীল একটি দেশকে স্বনির্ভর করার এমন অদম্য ইচ্ছা বাংলাদেশের আর একজন মাত্র সরকারপ্রধানের ছিলÑ তিনি তারই পিতা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের। দুর্ভাগ্যক্রমে বঙ্গবন্ধু সেই পরিমাণ সময় পাননি, যাতে তিনি বাংলাদেশকে একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ দেশে পরিণত করতে পারেন। তবে আমাদের সৌভাগ্য যে, বঙ্গবন্ধুকে হারানোর একুশ বছর পর শেখ হাসিনা সরকার পরিচালনার দায়িত্ব পালন করা শুরু করেন। শুধু কম্পিউটার বানাবার স্বপ্নের কথা কেন বলব, তথ্যপ্রযুক্তির সব খাতে সমৃদ্ধি বা ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তোলা, খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন কিংবা নিজের টাকায় পদ্মা সেতু বানানোর যেসব দুঃসাহসী কাজ তিনি করে চলেছেন তাতে তার দেখানো পথেই বাংলাদেশের ভবিষ্যত রচিত হবে- এটি বলতে আমার নিজের কোন দ্বিধা নেই। দেশবাসীরও নেই। ২০১৫ সালের ৬ আগস্ট অনুষ্ঠিত পুনর্গঠন করা ডিজিটাল বাংলাদেশ টাস্কফোর্সের প্রথম সভায় তিনি কম্পিউটার বানানোর ও রফতানির কথা বলেন। যেহেতু আমি সেই সভাতে উপস্থিত ছিলাম সেহেতু এর প্রেক্ষিতটির বিবরণও আমি দিতে পারি। সেদিন অনেক সময় ধরে তথ্যপ্রযুক্তির সামগ্রিক বিষয় নিয়ে প্রাণবন্ত আলোচনা হচ্ছিল। চমৎকার এজেন্ডা ছিল সভার। এজেন্ডার বিপরীতে প্রধানমন্ত্রী বাস্তবসম্মত সিদ্ধান্তও দিচ্ছিলেন। সভা প্রায় শেষ স্তরে ছিল। আমি তার অনুমতি নিয়ে একটি বিষয়ের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করার সুযোগ পাই। আমি তাকে জানাই যে, আমরা শিক্ষার ডিজিটাল রূপান্তরের কথা বলছি। প্রধানমন্ত্রী আপনি নিজে প্রত্যাশা করেন যে, আমাদের সব ছাত্রছাত্রী ল্যাপটপ হাতে নিয়ে স্কুলে যাবে। আপনি যদি সেই স্বপ্নকে বাস্তবে রূপায়িত করতে চান তবে এখনকার পরিস্থিতিতে আপনাকে কমপক্ষে ৪ কোটি ডিজিটাল ডিভাইস আমদানি করতে হবে। একটু ভেবে দেখুন এর ফলে আমরা কি পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা এই খাতে ব্যয় করব। আমাদের উচিত আমদানিকারক থেকে উৎপাদক হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করা। আমার প্রস্তাবনার প্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী কোন মন্তব্য করার আগেই অনেকে বললেন, বাইরে থেকে আমদানি করলে কম্পিউটারের দাম কম পড়ে। আমরা দোয়েল করে ব্যর্থ হয়েছি সেটিও অনেকে বললেন। প্রধানমন্ত্রী সবাইকে উজ্জীবিত করে তখন বলেন যে, আমরা কম্পিউটার বানাব ও রফতানিও করব। তিনি টেশিসের দায়িত্ব আমার হাতে দেয়ার নির্দেশও দিলেন। ঘটনাচক্রে বিষয়টি সেই সভার মিনিটসে আসেনি। তবে প্রধানমন্ত্রীর এই স্বপ্নটি আমার মতো আরও অনেকের কাছে একটি প্রয়োজনীয় ও বাস্তব উদ্যোগ বলে মনে হয়। বাংলাদেশে কম্পিউটারের যাত্রা শুরু হয় ১৯৬৪ সালে। আইবিএম ১৬২০ কম্পিউটারটি আমদানি করে সেটি নাটোরের সিংড়া উপজেলার হুলহুলিয়া গ্রামের মোঃ হানিফ উদ্দিন মিয়ার হাত দিয়ে আমরা কম্পিউটার প্রযুক্তির যুগে পা দিই। সেই থেকে ২০১৬ সাল অবধি আমাদের কম্পিউটার বা ডিজিটাল ডিভাইস চর্চা আমদানিনির্ভরই রয়ে গেছে। আশির দশক থেকে এখন অবধি বাংলাদেশী ব্র্যান্ডের কিছু কম্পিউটারের খবর আমরা জানি। কয়েকটির কথা আমি স্মরণ করতে পারি। বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতির সাবেক মহাসচিব মুনিম হোসেন রানার এক্সেস পিসি, বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতির সাবেক সভাপতি সবুর খানের ডেফোডিল পিসি, বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতির সদ্য সাবেক সভাপতি এএইচএম মাহফুজুল আরিফের সিএসএম, ফ্লোরা লিমিটেডের ফ্লোরা পিসি ও আনন্দ কম্পিউটার্সের আনন্দ পিসিসহ অনেকেই নানা নামে ক্লোন পিসি বাজারজাত করেছেন। বেসরকারী ক্রেতাদের ডেস্কটপ পিসির বাজারটা প্রধানত ক্লোন পিসির দখলে। যদিও আমাদের নিজস্ব একটি ব্র্যান্ড গড়ে ওঠেনি, তথাপি ডেস্কটপ পিসির জগতে আমাদের নিজেদের হাতে সংযোজন করা পিসির দাপটই প্রধান। কেবল সরকারী প্রতিষ্ঠানগুলো গুণগত মানের নামে ব্র্যান্ড পিসি কিনে থাকে। এই হীনম্মন্যতার জন্য কোন দেশীয় ব্র্যান্ড বিকশিত হতে পারেনি। তবে বেসরকারী খাতে ব্র্যান্ড ডেস্কটপ পিসি কেউ কিনেই না। ল্যাপটপ যখন জনপ্রিয় হতে থাকে তখন ডেস্কটপ পিসির এই বাজারটি সঙ্কুচিত হতে থাকে। ল্যাপটপের কোন ক্লোন দেশে তৈরি হয়নি। তবে ব্যতিক্রম হচ্ছে সরকারের টেলিফোন শিল্প সংস্থার দোয়েল ল্যাপটপ। দুর্ভাগ্যজনকভাবে দোয়েল তার প্রথম চালানে বদনাম কামাই করে। পণ্যের গুণগত মান নিয়ে ব্যাপক প্রশ্ন ওঠে। এর বাইরেও দোয়েলের ব্যবস্থাপনা নিয়ে অসংখ্য প্রশ্ন দেখা দেয়। কিন্তু পরবর্তীতে সরকারী প্রতিষ্ঠানসমূহ দোয়েল ল্যাপটপ কিনে অনেক ক্ষেত্রে ব্র্যান্ড ল্যাপটপের চাইতেও ভালভাবে ব্যবহার করতে সক্ষম হয়। কিন্তু সেই যে একবার বদনাম কামাই করা হলো তার ফলে দোয়েল বেসরকারী ক্রেতাদের কাছে কোন আকর্ষণই তৈরি করতে পারেনি। অন্যদিকে সরকারী কেনাকাটায় প্রথমেই বলা হয়ে থাকে যে, আন্তর্জাতিকভাবে বিখ্যাত ব্র্যান্ড হতে হবে। দোয়েল সেই সীমা অতিক্রম করতে পারে না। কারণ সেটি আন্তর্জাতিক খ্যাতি যোগাড় করতে পারেনি। বাজারজাতকরণে এই প্রতিষ্ঠানটির চরম দুর্বলতাও এজন্য চরমভাবে দায়ী। এই বিষয়টি আমরা অন্য কোন সময়ে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করতে পারি। যা হোক প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য বস্তুত একটি জাতীয় দিকনির্দেশনা প্রদান করেছে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুসারে সরকারের তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগ অর্থ মন্ত্রণালয়কে অফিসিয়ালি কিছু সুপারিশ করেছে। এই বিভাগের সচিব শ্যামসুন্দর সিকদার ৩০ মার্চ ১৬ অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে সরকারের সচিবদের বৈঠকে যে ধরনের প্রস্তাবনা পেশ করেন সেটি হচ্ছে, ‘ বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তির বিকাশের এই সময়ে এখন প্রয়োজন দেশীয় পণ্যকে পৃষ্ঠপোষকতা করা।’ তার বক্তব্যের মূল সুর হচ্ছে, ৯৮/৯৯ সালের বাজেটে কম্পিউটারের শুল্ক ও ভ্যাট প্রত্যাহারের ফলে কম্পিউটারের ব্যবহার বেড়েছে। কিন্তু এখন সেই চাহিদা পূরণে হাজার হাজার কোটি টাকা আমদানি ব্যয় হচ্ছে। আগামীতে দেশের সরকারী অফিস-আদালত ও ছাত্রছাত্রীদের শিক্ষার জন্য ডিজিটাল ডিভাইস দিতে হলে লাখো কোটি টাকার আমদানি করতে হবে। এখন প্রয়োজন স্মার্ট ফোন, ট্যাব, কম্পিউটারের দেশীয় উৎপাদনকে সহায়তা করা। আমদানিকারক থেকে উৎপাদকে পরিণত হওয়া। ৬ আগস্ট ১৫ প্রধানমন্ত্রী ডিজিটাল বাংলাদেশ টাস্কফোর্সের সভায় সে কথাই বলেছেন। ক. এর জন্য সম্পূর্ণ উৎপাদিত কম্পিউটার পণ্যের ওপর করারোপ ও ভ্যাট আদায় করা যায়। যন্ত্রাংশ বা কাঁচামালকে শুল্ক ও ভ্যাটমুক্ত করা যায়। এতে দেশের রাজস্ব বাড়বে এবং ডিজিটাল যন্ত্র দেশে উৎপাদন হবে। বৈদেশিক মুদ্রার সাশ্রয় হবে। খ. সফটওয়্যারের মতো হার্ডওয়্যার উৎপাদনকেও কর সুবিধা প্রদান করা যায়। গ. সরকারী প্রতিষ্ঠানগুলোতে বিদেশী ব্র্যান্ড কেনার বদলে দেশীয় ব্র্যান্ড ডিজিটাল ডিভাইস কেনার বিধান করা যায়। এর মান পরীক্ষা করার দায়িত্ব আইসিটি ডিভিশন নিতে পারে। সচিব মহোদয় দেশীয় সফটওয়্যারের বিষয়েও তার বক্তব্য পেশ করেন। তিনি বলেন, ‘দেশীয় সফটওয়্যার ও সেবা খাত বড় হতে পারছে না। কারণ তারা দেশে কাজ করতে পারে না। বিদেশী সহায়তার বড় প্রকল্প করার ক্ষমতা তাদের নেই, টেন্ডারেও ওরা অংশ নিতে পারে না। সরকারী কাজে দেশী প্রতিষ্ঠানকে অগ্রাধিকার দিতে হবে।’ প্রসঙ্গত, তিনি এই কাজগুলোর সমন্বয়ের দায়িত্ব আইসিটি বিভাগকে দেয়ারও অনুরোধ করেন। সচিব মহোদয় অর্থমন্ত্রীর কাছ থেকে ইতিবাচক সাড়া পাবার পর বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতির সঙ্গে কথা বলেন এবং সমিতির পক্ষ থেকে ৩১ মার্চ ১৬ অর্থমন্ত্রী, আইসিটি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমদ পলক ও আইসিটি বিভাগের সচিব শ্যামসুন্দর সিকদারের কাছে একটি পত্র লেখা হয় এবং তাতে দেশীয় শিল্পকে পৃষ্ঠপোষকতা প্রদানের অনুরোধ জানানো হয়। সমিতির সাবেক সভাপতি এএইচএম মাহফুজুল আরিফ স্বাক্ষরিত এই পত্রে যেসব প্রস্তাবনা পেশ করা হয় সেগুলো হচ্ছে: ১. ডিজিটাল পণ্য তথা কম্পিউটার/ল্যাপটপ/ট্যাব উৎপাদনের ক্ষেত্রে প্রয়োজন হয় বেশ কয়েকটি মৌলিক যন্ত্রাংশ। এগুলো কোন দেশ বা কোম্পানি এককভাবে উৎপাদন করে না। আমদানি করে এ্যাসেম্বলির মাধ্যমে নিজস্ব ব্র্যান্ড নামে বাজারে অবমুক্ত করে। ফলে দেশের কম্পিউটার হার্ডওয়্যার শিল্প গড়ে তুলতে গেলে এসব যন্ত্রাংশ আমদানি পর্যায়ে ধার্যকৃত শুল্কমুক্ত সুবিধা চালু করা দরকার। ২. ডিজিটাল পণ্য উৎপাদনের জন্য আধুনিক মানের প্লান্ট স্থাপন করতে হলে প্রয়োজন সুবিধাজনক জমি। তাই আমরা আশা করব সকল ইউটিলিটি সুবিধা দিয়ে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে নির্মাণাধীন হাইটেক পার্কে এজন্য উৎপাদক কোম্পানিগুলোকে পর্যাপ্ত জায়গা বরাদ্দ দেয়া হবে। ৩. বহুজাতিক কোম্পানিগুলোর পাশাপাশি দেশী ব্র্যান্ডের আইটি পণ্যকে ভোক্তা পর্যায়ে নিয়ে যেতে হলে প্রতিযোগিতামূলক বাজারে মূল্য সংবেদনশীলতাকে গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করতে হয়। তাই আইটি পণ্য ও সেবা উৎপাদককারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে যদি বিক্রির আগেই উৎপাদিত পণ্যে এ্যাডভান্স ট্রেড ভ্যাট (এটিভি) দিতে হয় তবে তা শুধু চ্যালেঞ্জেরই নয়, বিনিয়োজিত পুঁজি ঝুঁকির মুখেও পড়ে। ৪. স্থানীয় বাজারে নিজেদের অবস্থান সুসংহত করার স্বার্থে ভোক্তা পর্যায়ে এসব পণ্যকে সহজলভ্য করে তুলতে হলে দেশী উৎপাদিত পণ্য খুচরা পর্যায়ে সরবরাহ ও বিক্রির ক্ষেত্রে সকল প্রকার ট্যাক্স এবং ভ্যাটমুক্ত রাখতে হবে। ৫. দেশী উৎপাদক আইটি কোম্পানিগুলো যেন চাপমুক্ত হয়ে পণ্য বাজারজাতকরণে প্রণোদনা চালাতে পারে এবং দ্রুত বাজার সম্প্রসারণ করতে পারে সেজন্য তাদের অর্জিত আয়কে করমুক্ত রাখার দাবি জানাচ্ছি। ৬. দেশে ব্যবসারত আইটি প্রতিষ্ঠানগুলোকে উৎপাদক প্রতিষ্ঠানে মানোন্নয়নের ক্ষেত্রে অন্তত ১০ বছরের জন্য ট্যাক্স হলিডে সুবিধা চালু করা দরকার। ৭. একইভাবে এই খাতকে পোশাক শিল্পখাতের মতো সমৃদ্ধ করতে হলে দেশে উৎপাদিত আইটি পণ্য রফতানির ক্ষেত্রে ৫ শতাংশ ক্যাশ ইনসেনটিভ চালু করতে হবে। ৮. আমাদের দেশে শ্রমিক/কর্মীর প্রাচুর্য থাকলেও প্রযুক্তি দক্ষ মানবসম্পদ মোটেই সমৃদ্ধ নয়। ডিজিটাল শিল্পায়নের ক্ষেত্রে বিদ্যমান এই বাধা অতিক্রমের জন্য কারিগরি ও ব্র্যান্ডিং বিষয়ে উচ্চতর প্রশিক্ষণের জন্য উদ্যোগ নিতে হবে। এজন্য একটি বিশেষায়িত ইনস্টিটিউট গড়ে তোলা যেতে পারে। ৯. সর্বোপরি দেশের বাজার পেরিয়ে বাংলাদেশ ব্র্যান্ড আইটি পণ্যের বৈশ্বিক বাজার ধরতে সিবিটর মতো আন্তর্জাতিক মেলাগুলোতে অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে সরকারের পক্ষ থেকে সর্বাত্মক সহযোগিতা কামনা করি। এসব প্রস্তাবনায় মূলত উৎপাদিত পণ্যের যন্ত্রাংশ আমদানি শুল্ক, উৎপাদিত পণ্যের ওপর এটিভি, খুচরা পর্যায়ে সরবরাহ ও বিক্রির ওপর শুল্ক, কর এবং উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের আয়কর খাতে শূন্য ব্যবস্থা প্রচলনের অনুরোধ করা হয়। এছাড়াও ১০ বছরের কর রেয়াত, শতকরা ৫ ভাগ নগদ ইনসেনটিভ, বিশ্বমেলাসমূহে শতভাগ সমর্থন এবং প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট স্থাপনের দাবি করা হয়। কিন্তু দুঃখজনক দিক হলো এবারের বাজেটে এসব সুপারিশের কোন প্রতিফলন ঘটেনি। ফলে ডিজিটাল যন্ত্র স্বদেশে উৎপাদন করার সুবিধাজনক অবস্থাটি এখনও হয়নি। তবে পরিবেশ অনুকূল না হলেও প্রয়োজনের তাগিদেই বাংলাদেশে নিজস্ব পণ্য উৎপাদন হবে এবং দিনে দিনে আমরা একটি অনুকূল পরিবেশ গড়ে তুলতে পারব। আমি আশা করব অর্থ মন্ত্রণালয় বাজেটের বাইরেও এসব বিষয় নিয়ে ইতিবাচকভাবে ভাববে।
×