ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

চাকরি ছেড়ে সরকারী কর্মকর্তা নিখোঁজ

প্রকাশিত: ০৩:৫৪, ২৪ জুলাই ২০১৬

চাকরি ছেড়ে সরকারী কর্মকর্তা নিখোঁজ

সংবাদদাতা, রংপুর, ২৩ জুলাই ॥ বাংলাদেশ সরকারী কর্ম-কমিশনের রংপুর অঞ্চলের সহকারী পরিচালক মশিউর রহমান স্বেচ্ছায় চাকরি ছেড়ে চার মাসেরও বেশি সময় ধরে নিখোঁজ রয়েছেন। সম্প্রতি নিখোঁজ ব্যক্তিদের নিয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তৎপরতা বৃদ্ধি পাওয়ায় ছেলের সন্ধানে শুক্রবার দুপুরে রংপুর কোতোয়ালি থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন বাবা সহিদ আলী। পারিবারিক মনোমালিন্যের কারণে রাগ করে তার ছেলে বাড়ি থেকে বের হয়েছেন বলে দাবি করেন বাবা সহিদ আলী। তবে সাম্প্রতিক সময়ে দেশব্যাপী জঙ্গী উত্থানের ঘটনায় ছেলের নিখোঁজ হওয়ার বিষয়ে উদ্বেগের কথাও জানান তিনি। তিনি জানান, ছোটবেলা থেকেই মশিউর সৎ ও ধার্মিক প্রকৃতির। তার স্ত্রীর চাকরি করার বিষয়টা মেনে নিতে পারেননি। এছাড়া পারিবারিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে পরিবারের লোকজনের সঙ্গে তার মনোমালিন্য চলছিল। রংপুরে সরকারী কর্ম-কমিশন কার্যালয়ে সহকারী পরিচালক পদে কর্মরত অবস্থায় গত ১২ মার্চ স্বেচ্ছায় চাকরি থেকে অব্যাহতি নিয়ে সে নিখোঁজ হয়। সহিদ জানান, সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর এলাকায় তাদের আদিনিবাস। বর্তমানে ঢাকার উত্তরা মডেল টাউন এলাকায় সপরিবারে বসবাস করেন। চার ছেলের মধ্যে নিখোঁজ মশিউর তৃতীয়। মশিউরের স্ত্রীও সরকারী চাকরিজীবী। তিনি চাঁদপুরে কর্মরত। তাদের সাড়ে তিন বছর বয়সের এক মেয়ে ও দেড় বছরের এক ছেলে সন্তান রয়েছে। চাকরি ছেড়ে দিয়ে ছেলের নিখোঁজ হওয়ার বিষয়টি তার অফিস থেকে জানতে পেরে সম্ভাব্য সব জায়গায় খোঁজখবর করেও মশিউরের সন্ধান পাননি। যশোরে মাদ্রাসা ছাত্র স্টাফ রিপোর্টার, যশোর থেকে জানান, শার্শা উপজেলার শ্যামলাগাছি গ্রামের মেহেদি হাসান ওরফে হুসাইন জিম (১৫) গত ১৫ মাস ধরে নিখোঁজ রয়েছে। পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছেÑ সে জঙ্গী তৎপরতায় যুক্ত হয়েছে। জিমের বাবার দাবিÑ গাজীর দরগাহ মাদ্রাসায় থেকে তার ছেলের মাথা বিগড়ে গেছে। গত বছরের ৭ এপ্রিল থেকে জিমের কোন খোঁজ নেই। সে ঝিকরগাছা উপজেলার গাজীর দরগাহ মাদ্রাসার ছাত্রাবাসে থেকে ষষ্ঠ শ্রেণীতে লেখাপড়া করত। এ ঘটনায় মেহেদি হাসানের বাবা আওরঙ্গজেব গত ১২ এপ্রিল শার্শা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। যশোর পুলিশ প্রশাসন সম্প্রতি নিখোঁজদের মধ্যে যে পাঁচজনের জঙ্গী সম্পৃক্ততা সম্পর্কে নিশ্চিত হয়েছে, মেহেদী হাসান তাদের মধ্যে অন্যতম। গত বছরের ৭ এপ্রিল মাদ্রাসায় যাওয়ার কথা বলে সে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায়। এক বছরের মধ্যে স্বজনদের সঙ্গে সে কোন ধরনের যোগাযোগ করেনি। চলতি বছরের মার্চ মাসের শেষদিকে সে বাড়িতে ফিরে আসে। পরদিন দুপুরে চুল কাটাতে যাওয়ার কথা বলে আবার নিখোঁজ হয়। মেহেদির বাবা আওরঙ্গজেব বলেন, তিন মাস আগে মেহেদি বাড়িতে ফিরলে তার আচরণ অস্বাভাবিক মনে হয়েছে। সাধু ভাষায় কথা বলছিল। কারও সঙ্গে তেমন কথা বলেনি। সন্দেহ হলে চিকিৎসকের কাছে নেয়ার চেষ্টা করেও তাকে ঘর থেকে বের করা যায়নি।
×