ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৯

মিউনিখে হামলাকারী একজনই এবং ইরানী বংশোদ্ভূত

প্রকাশিত: ০৩:৪২, ২৪ জুলাই ২০১৬

মিউনিখে হামলাকারী একজনই  এবং ইরানী বংশোদ্ভূত

জার্মান পুলিশ মিউনিখের একটি ব্যস্ত শপিংমল ও এর আশপাশে যে হামলায় নয়জন নিহত হয়েছে তাতে হামলাকারী একজন ছিল বলেই ধারণা করছে। পুলিশ শনিবার এ কথা জানিয়ে বলেছে, সে একাই ঠা-া মাথায় এ ভয়াবহ হামলা চালিয়ে পরে আত্মহত্যা করে। ১৮ বছর বয়সী ওই হামলাকারী একজন ইরানী তরুণ। খবর এএফপি ও বিবিসির। এক সপ্তাহের মধ্যে ইউরোপে বেসামরিক নাগরিকদের ওপর তৃতীয় এ হামলায় অলিম্পিয়া (ওইজি) মলে দোকান মালিকদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এদিকে এলিট পুলিশ হামলার ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতারে ব্যাপক অভিযান শুরু করেছে। তিনজন সন্ত্রাসী এ হামলা চালিয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হয়েছিল। পুলিশ প্রধান হুবার্টাস আন্দ্রায়ি এ হামলার পর সাংবাদিকদের বলেন, হামলাকারীর বয়স ১৮ বছর। সে ইরানী বংশোদ্ভূত জার্মান নাগরিক। হামলাকারীর দ্বৈত নাগরিকত্ব রয়েছে। এর আগে তার বিরুদ্ধে অপরাধের কোন রেকর্ড নেই। এখনও এই হামলার উদ্দেশ্য জানা যায়নি। ওই ব্যক্তি একটি ফাস্ট ফুডের দোকানে ঢুকে প্রথমে গুলি চালায়, এরপর ঢুকে পড়েন মিউনিখ অলিম্পিয়া শপিং সেন্টারে। ওই বিপণিকেন্দ্রে গুলির ঘটনায় শুরুতে পুলিশ ধারণা করেছিল, অন্তত তিনজন বন্দুকধারী হামলা চালিয়েছে। কালো পোশাকধারী এক ব্যক্তি নিরীহ মানুষকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়তে ছুড়তে ম্যাকডোনাল্ডস থেকে বেরিয়ে আসছে- এমন একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে তা আতঙ্ক ছড়াতে থাকে। এদিকে এর আগে বাভারিয়ান রাজধানীতে পুলিশের এক মুখপাত্র এ হামলার সঙ্গে ইসলামী কোন সংগঠনের সম্পৃক্ততার কথা উল্লেখ না করেই একে সন্ত্রাসী হামলা হিসেবে বর্ণনা করেছিল। হামলার দায় কেউ স্বীকার করেনি। তবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আইএস সমর্থকরা এই হামলা নিয়ে উল্লাস প্রকাশ করছে। কয়েকদিন আগে জার্মানিরই ভুর্সবুর্গ শহরে এক হামলার দায়িত্ব স্বীকার করেছিল আইএস। ওই হামলাকারী ছিলেন একজন আফগান তরুণ। সর্বশেষ সরকারী হিসাব অনুযায়ী, শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে শুরু হওয়া এ হামলায় নয়জন নিহত ও ১৬ জন আহত হয়েছে। আহতদের মধ্যে কয়েকটি শিশু রয়েছে এবং তাদের মধ্যে তিনজনের অবস্থা সঙ্কটাপন্ন।
×