নিজস্ব সংবাদদাতা, ঝালকাঠি ॥ ঝালকাঠি জেলার মধ্য দিয়ে চলে যাওয়া বরিশাল খুলনা আঞ্চলিক মহা সড়কে চরম ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় মহা সড়কের উপরে হাট বাজার বসছে। এই সড়ক দিয়ে ঢাকা-পাথরঘাটা, ঢাকা-কাউখালী, ঢাকা-ভান্ডারিয়া ও বরিশাল-খুলনা রুটে দূরপাল্লার যাত্রীবাহী বাস সকাল বিকাল যাতায়ত করে। দূরপাল্লার বাসের সাথে আঞ্চলিত রুট গুলোতে বাস সহ প্রতিদিন অসংখ্য যানবাহন ঝাকে ঝাকে চলাচল করে। এই অবস্থায় সপ্তাহে ২ দিন মহা সড়কের উপর হাট বসে। একাধিক বার দূর্ঘটনায় মানুষের মৃত্যু হয়েছে ও মানুষ কিছু কিছু ঘটনায় পঙ্গুত্ব বরণ করেছে। যা ক্রেতা ও বিক্রেতা উভয়ের জন্য ঝুকিপূর্ণ, কিন্তু স্থানীয় প্রশাসন ও ইউনিয়ন পরিষদ এই হাট বাজারগুলি সরিয়ে নিয়ে মানুষের মৃত্যু ঝুঁকি নিরাপদ করছে না।
এই হাটগুলি কয়েক যুগ ধরে চলে আসছে। স্থানীয় লোকজন তাদের উৎপাদিত কৃষি পন্যের শাক সবজি ও তরি তরকারী নিয়ে হাটে আসে এবং একই এলাকার মানুষ ক্রেতা হিসেবে ২ দিনের কাঁচা বাজার এখান থেকেই করে নেয়।
ঝালকাঠির কালিজিরা ব্রীজ থেকে বেকুটিয়া এবং অঞ্চালকে সড়কগুলির মধ্যে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে ঝালকাঠি জেলার গাবখান ধানসিড়ি ইউনিয়নের ছত্রকান্দার হাট এবং রাজাপুর সদর ইউনিয়নের বাগরির হাট। এই বাজারে আসা ক্রেতা বিক্রেতারা স্বীকার করেছেন মহা-সড়কের উপর এই ধরনের বাজার বসা তাদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ কিন্তু কিছুই করার নাই। ছত্রকান্দা ব্রীজের হাট থেকে ১০০ মিটারের মধ্যে গাবখান ইউনিয়ন কমপ্লেক্সের সামনে খোলা মাঠ রয়েছে। কাঁচা বাজারটি এখানে সরিয়ে নেয়া হলে সড়কের উপর হাট বসতে হয় না। ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাকির হোসেনের কাছে এ ব্যপারে জানতে চাওয়া হলে তিনি জানান উপজেলা প্রশাসনের অনুমতি ছাড়া হাট সরানো যায় না এবং উপজেলা প্রশাসনের সাথে একটি স্থায়ী ব্যবস্থার চিন্তা করবেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মকবুল হোসেন জানান সরেজমিন অবস্থা দেখে ইউনিয়ন চেয়ারম্যানের সাথে কথা বলে ব্যবস্থা গ্রহন করা যেতে পারে। আঞ্চলিক মহা সড়কের মধ্যে কালিজিরা থেকে বটতলা, শ্রীরামপুর, ষাইটপাকিয়া, ভৈরবপাশা, হাটগুলি রাস্তার পার্শ্বে হলেও স্ব স্ব হাটের নিজস্ব জায়গার রয়েছে। তবে ছত্রকান্দা হাট টি মহা সড়কের এই ব্রীজের উপর বসে। এছাড়া বাগরির হাটে নিজস্ব বাজার থাকলেও হাটের দিন চারার হাট রাস্তার উপর বসে।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: