নিজস্ব সংবাদদাতা, লালমনিরহাট, ২২ জুলাই ॥ বয়স্কভাতার আবেদন করে দুই বছর চেয়ারম্যান-মেম্বারের অফিস-বাড়ি ঘুরে ঘুরে ১০ মাস আগে মোর স্ত্রী মরি গেছে। এখন মুই ঘুরবার নাকছো বাবা। মরণের আগত বয়স্কভাতা পাইমতো।
কথাগুলো বললেন জেলা সদরের হারাটি ইউনিয়নের কিশামত চোংগাদ্বাড়া গ্রামের ধীরেন চন্দ্র দাস (৬৮)। বয়ঃবৃদ্ধ ধীরেন যুবক বয়সে ছিলেন জেলে। তিস্তা নদীতে জাল ফেলে মাছ ধরে সংসার চালাত। এখন সেই সামর্থ্য নেই। সরকার বয়স্কদের জন্য ভাতার ব্যবস্থা করেছে। এই কথা শুনে স্বামী-স্ত্রী দুইজনেই আবেদন করেছিলেন। বয়স্কভাতার জন্য শুরু হয়ে যায় ইউপি দফতর, চেয়ারম্যান ও মেম্বারের বাড়ি বাড়ি ঘোরা। বয়স্কভাতার কার্ড পেতে দুই হাজার টাকা দাদন নিয়ে মেম্বারকে দেয়া হয়। কিন্তু বয়স্কভাতার কার্ড হয়নি। পরে ঘুষের দুই হাজার টাকা ফেরত দিয়েছে। এরই মধ্যে দাদনের জন্য এক হাজার টাকা ঋণের মুনাফা দিতে হয়েছে।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: