ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

উপবৃত্তির টাকা কম দেয়ায় রূপগঞ্জে বিক্ষোভ

প্রকাশিত: ০৪:২৬, ২৩ জুলাই ২০১৬

উপবৃত্তির টাকা কম দেয়ায় রূপগঞ্জে বিক্ষোভ

নিজস্ব সংবাদদাতা, রূপগঞ্জ, ২২ জুলাই ॥ নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলায় উপবৃত্তির টাকা কম দেয়ায় শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা বিক্ষোভ করেছে। এ সময় অভিভাবকদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করার অভিযোগে উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসারের অপসারণ দাবি করে বিক্ষোভকারীরা। শুক্রবার দুপুরে উপজেলার কায়েতপাড়া ইউনিয়নের পূর্বগ্রাম সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠ প্রাঙ্গণে অভিভাবকদের মাঝে এ অসন্তোষ দেখা দেয়। অভিভাবকরা জানান, উপজেলার জনকল্যাণ আদর্শ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, চনপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ও পূর্বগ্রাম সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পাওনা উপবৃত্তির ১২ মাসের টাকা দেয়ার কথা শুক্রবার সকালে। ১৭৬৯ শিক্ষার্থীকে উপবৃত্তির সাত লাখ ৫৭ হাজার ৯৫০ টাকা বরাদ্দ আসে। ওই হিসাবে শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা উপবৃত্তির টাকা নিতে সকালে পূর্বগ্রাম সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে ভিড় জমান। এ সময় উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার মার্জিয়া আক্তারের নির্দেশক্রমে শিক্ষকরা ২০১৫ সালের জুলাই থেকে ডিসেম্বর ও ২০১৬ সালের জানুয়ারি থেকে জুন মাস পর্যন্ত উপবৃত্তির টাকা পরিশোধ করবেন বলে সকল অভিভাবকের কাছ থেকে স্বাক্ষর নিয়ে নেন। পরে উপবৃত্তির টাকা দেই-দিচ্ছি করে ঘোরাতে থাকেন। দুপুরে সহকারী শিক্ষা অফিসার মার্জিয়া আক্তার অভিভাবকদের বলেন, ২০১৬ সালের জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত উপবৃত্তির টাকা পরিশোধ করা হবে। এ সময় অভিভাবকরা ক্ষিপ্ত হন এবং ২০১৫ সালের জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত উপবৃত্তির টাকা পরিশোধের দাবি করেন। এ সময় সহকারী শিক্ষা অফিসার মার্জিয়া আক্তার অভিভাবকদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করেন। পরে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা স্কুল মাঠে বিক্ষোভ শুরু করে এবং উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসারের অপসারণ দাবি করে। উপজেলা শিক্ষা অফিসার সফিকুল ইসলাম সরকার বলেন, বিধিমোতাবেক ও নিয়মানুযায়ী শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তির টাকা পরিশোধ করা হচ্ছে। তবে যেসব শিক্ষার্থী পরিক্ষায় উত্তীর্ণ হয়নি, বিধিমোতাবেক তাদের উপবৃত্তির টাকা কেটে নেয়া হচ্ছে। এখানে অনিয়মের কোন সুযোগ নেই। হয়ত অভিভাবকরা ভুল বুঝে ক্ষিপ্ত হয়েছেন। আর সহকারী শিক্ষা অফিসার যদি অভিভাবকদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করে থাকেন তাহলে তিনি অন্যায় করেছেন। এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেয়া হবে। বরগুনায় অনিয়ম নিজস্ব সংবাদদাতা, বরগুনা থেকে জানান, বেতাগী উপজেলার চান্দখালী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শাহাদাত হোসেন ও বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি উত্তম কুমার দাশের যোগসাজশে শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তির টাকা আত্মসাত করার অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে এক অভিযোগপত্রে এ অভিযোগ করেছেন অভিভাবকরা। এ ঘটনায় প্রধান শিক্ষক ও সভাপতিকে অপসারণের দাবিও জানিয়েছেন ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী। ভুক্তভোগী কয়েকজন অভিভাবকের অভিযোগে উল্লেখ রয়েছে, তৃতীয় শ্রেণীর শিক্ষার্থী ফারজানা আক্তার মীমের নামে (রোল নং ৩০) বরাদ্দ আসে ১২শ’ টাকা। কিন্তু অভিভাবকের কাছ থেকে চারটি স্বাক্ষর নিয়ে তাকে দেয়া হয়েছে ৬শ’ টাকা। চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্র সাকিবের নামে (রোল নং ৯৫) বরাদ্দের ৫শ’ টাকা দিয়ে বিদায় করে দেন শিক্ষকরা, পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্রী মীরাও (রোল নং ৬৮) ১২শ’ টাকার স্থলে পেয়েছে ৬শ’ টাকা। এমন অভিযোগ রয়েছে অসংখ্য। এ ব্যাপারে বরগুনা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আব্দুল মজিদ বলেন, সরকারী বরাদ্দ অনুযায়ী টাকা শিক্ষার্থীদের মাঝে আসবে। ওই টাকা থেকে এক টাকাও যদি কেটে রাখা হয় তাহলে ওই বিদ্যালয় ও শিক্ষকদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
×